শিরোনাম

শিরোনাম

ইলেকট্রনিক মুদ্রা গ্রহণকারীদের সুরক্ষায় নতুন আইন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেনে গ্রাহকদের ঝুঁকি কমানো ও সুরক্ষায় শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে। এই আইনের আওতায় বিকাশ, নগদ, উপায়, ই-ওয়ালেট প্রভৃতি ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেনে গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য এ সংক্রান্ত একটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হবে।

এই আইনের নামকরণ করা হয়েছে, ‘ইলেকট্রনিক মুদ্রায় সেবা প্রদানে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল ২০২৪।’ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই আইনটি প্রণয়ন করেছে।

আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন বা লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক-কোম্পানি কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না।আরও বলা হয়েছে পরিশোধ সেবা দেওয়ার নিয়মাবলি হতে হবে নৈর্ব্যক্তিক, বৈষম্যহীন ও সঙ্গতিপূর্ণ। বিধিবিধান লঙ্ঘন করে কোনো প্রতিষ্ঠান লেনদেন ব্যবসা পরিচালনা করলে প্রস্তাবিত আইনে  তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৩০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুুুুুন>>ডিগ্রি ছাড়াই অ্যাপলে চাকরি, জানালেন টিম কুক

লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করলে সেক্ষেত্রে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা দিলে এক লাখ টাকা হতে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

বলা হয়েছে, অনুমোদন বা লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ, পদ্ধতি অনুসরণ ও ফি প্রদান সাপেক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আইন কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান তাদের যাবতীয় কার্যক্রম আইনের বিধানাবলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করবে এবং ইতোমধ্যেই পরিশোধ সেবা পরিচালনাকারী ব্যাংক-কোম্পানিগুলোকে আইন কার্যকর হওয়ার এক বছরের মধ্যে লাইসেন্স নিতে হবে।

এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনেক ধরনের লেনদেন হচ্ছে। মূল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে ইন্টারনেট ও এজেন্ট ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডসহ বিকাশ, নগদ, রকেট, বিভিন্ন ব্যাংকের ই-ওয়ালেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মুদ্রা, ইলেট্রনিকভাবে তহবিল স্থানান্তর, চেক ইলেট্রনিকভাবে উপস্থাপন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা, ট্যাংকেটেড চেক, ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট, সরকারি সিকিউরিটিজ সেটেলমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ, অর্থ গ্রহণ ও গ্রাহকের অর্থ চাহিদা নিস্পত্তি হচ্ছে। আর এসব পদ্ধতি ব্যবহার করছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট। গ্রাহকের জন্য এ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>>ইন্টারনেটের খরচ কমেছে

এই আইনের আওতায়, মূল ব্যাংকিং সেবার বাইরে অর্থ লেনদেন পরিশোধ ব্যবসায় আগ্রহী ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ সেবা দেওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক অনুমোদন নিতে হবে। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূলধন, মালিকানা ও পরিচালনার বিষয়ে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১’-এর ১৪ নম্বর আইনের সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।

এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান-বহির্ভূত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি অর্থ লেনদেন পরিশোধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুসরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হবে এবং ব্যবসা পরিচালনাকারীকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়মে সময়ে সময়ে নির্ধারিত পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে, পরিশোধ সেবা প্রদানকারী পরিশোধ সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রাহকের হিসাব খোলা, ইলেকট্রনিক মুদ্রা ইস্যু করা ও ইলেকট্রনিক মুদ্রায় লেনদেন সম্পাদন এবং ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনাকারী, পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী ও পরিশোধ সেবাদানকারী নিস্পত্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সেবাগ্রহীতার অর্থ ধারণ করলে, ওই অর্থের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্ট ও সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন করবে।

আরও পড়ুন>>পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

অন্যদিকে, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধের মধ্যে রয়েছে এ আইনের অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ‘অগ্রিম পরিশোধিত দলিল’ ইস্যু বা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না এবং জনগণ থেকে কোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয় এমন কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করতে পারবে না।

বিলে বলা হয়েছে, পরিশোধ ব্যবস্থা সেবা প্রদানে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মাবলি অনুসরণ-করে নিজস্ব নিয়মাবলি প্রণয়ন ও প্রকাশ করবে। নিয়মাবলিতে তারল্য, নিষ্পত্তি, কারিগরি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সুশাসন, নিরবচ্ছিন্ন পরিচালন, আপৎকালীন ব্যবস্থা, বিরোধ নিস্পত্তি, গ্রাহকসেবা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে, নিয়মাবলি নৈর্ব্যক্তিক, বৈষম্যহীন ও সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং গ্রাহকের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো বিধান অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। পরিশোধ সেবা পরিচালনাকারী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নীতিমালার আওতায় কোনো তৃতীয় পক্ষ থেকে আউটসোর্সিং সেবা নিতে পারবে বা এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট পরিশোধ সেবা দিতে পারবে।

google-news-channel-newsasia24

বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিল

স্পোর্টস ডেস্ক: চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজে এই প্রথম আগে ব্যাটিং করলো বাংলাদেশ।

অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী জিম্বাবুয়ের বোলিং লাইন আপ সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা হওয়ার কথা ছিল লিটনের। কিন্তু তার বাজে ফর্ম ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি এতোটাই যে আজও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি।

পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগে ফিরে গিয়েছেন অধিনায়ক শান্তও। সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হওয়ার আগে শান্ত করেন ৪ বলে ৬ রান। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৪২ রান।

২২ বলে ২১ রান করে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিমও। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করার পরের দুই ম্যাচে ঠিক হাসলো না তানজিদের ব্যাট।

৬০ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিকের দৃঢ়তায় ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ৫৮ বলে ৮৭ রানের খুব কার্যকর জুটি গড়েন দুজন।

আরও পড়ুন:

৩৪ বলে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা পান হৃদয়। ১৯তম ওভারে মুজারাবানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৩ চার ও ২ ছয়ে ক্যারিয়ারসেরা ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস।

১ বল পরেই জাকেরকেও একইভাবে ইয়র্কার লেন্থের বলে বোল্ড করেন মুজারাবানি। জাকেরের ব্যাটে আসে ৩৪ বলে ৪৪ রান। তিনিও হাঁকান ৩টি চার ও ২টি ছক্কা।

পরে চার বল করে খেলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৯ ও রিশাদ হোসেনের ৬ রানের সুবাদে দেড়শ ছাড়ায় বাংলাদেশের পুঁজি। ব্লেসিং মুজারাবানি শিকার করেন তিন উইকেট।

google-news-channel-newsasia24

ব্রাজিলে বন্যায় ৭৮ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে কয়েকদিন ধরে চলা টানা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ জনে।

আজ সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রিও গ্রান্ডে দো সুলের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭৮ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি এখনও ১০৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী এ রাজ্যের প্রায় ৫০০টির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

বন্যার কারণে রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও অসংখ্য সেতু ধসে পড়েছে। প্রবল ঝড়ের কারণে একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বেন্টো গনকালভস শহরের একটি শহররক্ষাবাঁধের আংশিক ধসে পড়েছে। ফলে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে রিও গ্রান্ডে দো সুলের চার লাখেরও বেশি মানুষ।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েক কয়েক দিনের প্রবল ঝড়, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে রিও গ্র্যান্ডে দো সুলের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা যুদ্ধের ক্ষতির সমতুল্য। এ রাজ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’

গত বৃহস্পতিবারের পর, গতকাল রোববারও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তার মন্ত্রীসভার বেশিরভাগ সদস্যদের নিয়ে বন্যাকবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। তিনি রাজ্য সরকারকে সব রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

হামাসের রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা, নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলার জবাবে রাফায় পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজা উপত্যকার রাফা সীমান্তের কাছে হামাসের একটি সশস্ত্র শাখার রকেট হামলায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, হামলাটি ক্রসিং এবং এর আশেপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফায় ১০টি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানান, আহত ১২ জন সেনার মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। হামাসের সশস্ত্র শাখাটি রকেট হামলার দাবি করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। ওই ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন:

মিশর সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফা শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে হামাসের হামলার পর রাফার একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎকররা নিশ্চিত করেছেন।

পিটার লার্নার বলেন, দ্রুত গতিতে হামাসের হামলার জবাব দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।

তিনি বলেন, এটি আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। সেখানে ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে বিমানবাহিনী। ওই এলাকায় অবস্থানরত ভারী যন্ত্রপাতি, ট্যাঙ্ক এবং বুলডোজার পাহারা দেওয়ার সময় সৈন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঠিক আগে রাফা শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তারা বলছেন, রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস

আব্হাওয়া ডেস্ক: আজ দেশের তিনটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার (৬ মে ২০২৪ ) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দর সমূহের জন্য আব্হাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত (পুন.) দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহে ৮৩ মিলিমিটার, নেত্রকোনায় ৬৭, কুমিল্লায় ৩১, নিকলিতে ২৯, সিলেটে ৩৪, শ্রীমঙ্গলে ১১, বগুড়ায় ১০, কক্সবাজারে ৮ মিলিমিটার ও ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুুুুুুুুুুুুন:

google-news-channel-newsasia24

অতিরিক্ত ঘামের কারন যে খাবারগুলো, জেনে নিন!

লিমা পারভীন: কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত ঘামে, একদম ভিজে যায়, তারা ভুলেও খাবেন না এই খাবারগুলো ।

জেনে নেই কি সেই খাবারগুলো,

১. কফি: অনেকেরই দিন শুরু হয় কফি দিয়ে, নয়ত দিন চাঙ্গা কাটে না। কিন্তু পুষ্টিবিদের মতে, এই গরমে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়তে রাশ টানা জরুরি। ক্যাফেইন শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এটি হাতের তালু, পা এবং আন্ডারআর্মের ঘাম বাড়িয়ে দেয়। আর তাই অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে কফির কাপে পরিমিতভাবে চুমুক দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

২. তেলে ভাঁজা খাবার: গরমের ক্লান্তি কাটাতে মাঝেমাঝে একটু মুখরোচক ভাজাভুজি খেলে ভালো লাগে সবারই। তবে ডুবো তেলে ভাজা খাবার বেশি খেলে ঘাম হতে থাকে অনবরত। তবে ঝাল, মসলাদার খাবার আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৩. চিনিযুক্ত খাবার: বেশি চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি ঘামের কারণ হতে পারে। ওয়েবএমডির মতে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে। ইনসুলিনের এই আকস্মিক বৃদ্ধির ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামে পরিচিত। তাই গরমে বেশি চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন:

৪. অ্যালকোহল: অ্যালকোহলও কিন্তু ঘামের উৎপাদন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। হেলথলাইনে উল্লিখিত, অত্যাধিক অ্যালকোহল গ্রহণ পেরিফেরাল রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে, যা আপনার শরীরে ঘামের সৃষ্টি করে। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।

৫. কোমল পানীয়: এই গরমে অনেকেই ঠান্ডা কোমল পানীয়তে চুমুক দিয়ে প্রশান্তি অনুভব করেন। বিশেষ করে রাস্তায় বের হলেও কোমল পানীয় ছাড়া চলে না। কোমল পানীয় কখনোই শরীরের জন্য ভালোা নয়। অতিরিক্ত চিনি থাকার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রার ওঠানামার কারণ হতে পারে, সেখান থেকে দেখা দেয় ঘাম।

google-news-channel-newsasia24

ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা, নিহত তিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

এ হামলায় তিন সৈন্য নিহত ও বেশ কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং ও এর আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছেন ।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে যা গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ থেকে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে ওই এলাকার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসের অন্যান্য সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ধেয়ে আসা রকেটগুলো ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে যে, আহত ১২ জন সেনার মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। হামাসের সশস্ত্র শাখাটি রকেট হামলার দাবি করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলার পর গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশের প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এই ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছিল।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশের সাহায্যের জন্য ক্রসিংটি ছিল অন্যতম প্রধান পথ। গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপে পরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ক্রসিংটি পুনরায় চালু করে।

আরও পড়ুুন:

google-news-channel-newsasia24

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ। ১২০ বলে ১৩৯ রান করতেও ঘাম ঝরাতে হয় টাইগারদের। ৬ উইকেটে জয় পেলেও বাংলাদেশ দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।

কিন্তু অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

রবিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে সময়ের ব্যবধানে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেস বোলার তাসকিন আহমেদ। তিনি বোলিংয়ে এসেই ওপেনিং জুটি ভাঙেন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার তদিওয়ানাশে মরুমণি। তিনি ৩.৬ ওভারে দলীয় ১৫ রানে আউট হন।

এরপর ৭.১ ওভারে দলীয় ৩০ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি। এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে পরপর আঘাত হানেন রিশাদ হোসেন। তার শিকার হয়ে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও ক্লাইভ মানদান্দে।

সাবেক অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনকে আউট করেন শেখ মাহেদি হাসান। ১০.২ ওভারে মাত্র ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

৬২ বলে মাত্র ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন মিডলঅর্ডার দুই ব্যাটসম্যান জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তারা ষষ্ঠ উইকেটে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। তাদের রান তোলার লাগাম টেনে ধরেন শরিফুল ইসলাম। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচে ধরা পড়েন ক্যাম্পবেল। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৪টি চার আর ৩ ছক্কার সাহায্যে ৪৫ রান করে ফেরেন।

এরপর সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে লুকি জঙ্গিকে ফেরান তাসকিন আহমমেদ।

অষ্টম উইকেট জুটিতে মাত্র ৮ বলে ১৮ রান আদায় করে নেন ব্রায়ান বেনেট ও অ্যাশলে এনডিলুভু। শেষদিকে তাদের এ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে বলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে জিম্বাবুয়ে।

দলের হয়ে ২৯ বলে দুই চার আর তিন ছক্কায় ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রায়ান বেনেট।

আরও পড়ুন: 

 

বাংলাদেশ দলের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও শেখ মাহেদি হাসান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২০ বলে ১৩৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারায়। দলীয় ৯৩ রানে ফেরেন জাকির আলি অনিক।

শেষদিকে জয়ের জন্য ৩৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৮ রান। তখন মনে হয়েছিল ম্যাচটি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে সেট হতে কিছুটা সময় নেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

রিয়াদ উইকেটে সেট হয়ে যাওয়ার পর দলকে টেনে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনিই দলের জয় নিশ্চিত করেন। রিয়াদ ১৬ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।

২৫ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। ২৩, ১৮ ও ১৬ রানে আউট হন লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

google-news-channel-newsasia24

গরমে দুই সপ্তাহে ১৫ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিটস্ট্রোকে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন । তাদের মধ্যে মারা গেছেন একজন। সংস্থাটি জানায়, এ নিয়ে গত ১৪ দিনে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন ৩৪জন। আর মারা গেছেন ১৫ জন।

সোমবার (৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এ তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল থেকে আজ (রবিবার) সকাল পর্যন্ত ১৪ দিনে সারাদেশে ৩৩ জন হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন।

আরও পড়ুন:

তাদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন, এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি নড়াইলের বাসিন্দা।

অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে মাগুরায়, ৭ জন। এছাড়া মারা গেছে চট্টগ্রাম, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান এবং মাদারীপুরে।

google-news-channel-newsasia24

জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুক হামলা, নিহত ১ আহত ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মিরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলায় এক জওয়ান নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ মে) বিকেল সোয় ৬টার দিকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সেসময় সেনারা জরানওয়ালি থেকে বিমান বাহিনী স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার পুঞ্চের সুরনকোট শহরে জওয়ানদের বহরের দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলি ছোড়েন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা। পাল্টা গুলি চালান বিমানবাহিনীর সদস্যরাও।

বিমানবাহিনীর সূত্রে বলা হয়েছে যে, দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ে মোট পাঁচজন আহত হলেও তাদের এক সেনা একজন নিহত হয়েছেন। আর আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি তিনজনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

হামলার পরপরই সেখানে বাড়তি সেনা মোতায়েন ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় রাইফেলস ইউনিট পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো জঙ্গি সংগঠন।

এক এক্স বার্তায় ভারতীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার শাহসিতারের কাছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি গাড়িবহরে ‘সন্ত্রাসীরা’ হামলা চালায়।

আরও পড়ুন:

স্থানীয় সামরিক ইউনিটগুলো বর্তমানে ওই এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। আর যে গাড়িবহরে তারা আক্রমন করেছিল তা বর্তমানে সুরক্ষিত আছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বছর ওই অঞ্চলে প্রথমবারের মতো এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটলো। গত বছর অঞ্চলটিতে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে একাধিক ভয়াবহ হামলা হয়েছিল।

এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই এই হামলার ঘটনায় আবারও জম্মু-কাশ্মিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

google-news-channel-newsasia24