শিরোনাম

সারাদেশ

ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে মাদক ব্যবসা; অতঃপর কারাগারে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মো. কামরুজ্জামান কাজল (২৭) বেসরকারি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকুরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে চলছিলও বেশ।

তবে চাকুরি থেকে মাদক ব্যবসা লাভজনক মনে করে প্রায় তিন মাস আগে চাকুরি ছেড়ে শুরু করেন মাদক ব্যবসা। অত:পর ৬৮ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হলেন এবার। কাজল উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মো. হাসান আলীর ছেলে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকায় তার পাকা বাড়িতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অন্তত ৩৪ জন সদস্যের একটি দল। অভিযানে ৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তার বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) ধারার একটি মামলা করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।

দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত মো.কামরুজ্জামান কাজল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরি করতেন। তবে লোভে পড়ে প্রায় তিন মাস আগে চাকুরি ছেড়ে তিনি মাদক ব্যবসা শুরু করেন।

আরও পড়ুন:

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে তার বাড়িতে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কুমারখালী থানায় একটি মামলা করা হয়।

চাকুরি ছেড়ে মাদক ব্যবসায়ীয় আসার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল নিজেই স্বীকার করেছেন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কামরুজ্জামান কাজলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

ফের বিপদের মুখে নোয়াখালী; আবারও বন্যার আশঙ্কা

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ বন্যার পানি এখনো পুরোপুরি নামেনি। নীচু এলাকায় এখনো রয়েছে পানি। ঘর বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় বানভাসীরা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। রাস্তাঘাটে পানি থাকায় স্কুলে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।

বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় নোয়াখালীতে এই জলাবদ্ধতা যেন স্থায়ী রুপ নিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই জলাবদ্ধতার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে খাদ্য ও কর্ম সংকটে। এদিকে বন্যার রেশ না কাটতেই জেলাতে আবার দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। সাথে সাথে বয়ে যাচ্ছে বাতাস। বন্যার কবলে পড়া মানুষের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ।

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে লগুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এত সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত মেনে চলতে বলা হয়েছে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।

সুবর্নচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের কৃষক সিরাজ মিয়া জানান, বন্যার পানিতে আমন ধানের চারা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। পানি একটু কমাতে আবার চারা রোপণ করেছিলাম। হঠাৎ আবার পানি বেড়ে গিয়ে সেটাও তলিয়ে যায়। তৃতীয় বারের মতো আবার চারা রোপণের জন্য জমিতে চাষ দিয়েছি। এখন আবার আবহাওয়ায় দেখা দিয়েছে পরিবর্তন নতুন করে বৃষ্টির সাথে হচ্ছে বাতাস। ধান চাষ না করলে আমাদের বড় ধরণের লোকসান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:

চরবাটা ইউনিয়নের কৃষক জহির বলেন, ৯ একর জায়গার উপর মাছের ঘের করেছিলাম। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিটি ঘেরের মাছ ভেসে যায়। বিশাল লোকসান হয়েছে। অল্প কিছু রয়েছে, তবে তা ক্ষতি পুুষিয়ে নেওয়ার মতো নয়। নতুন করে কিছু মাছের পোনা ছেড়েছিলাম। যদি আবার বন্যা হয় পথে বসে যাবো।

একই ইউনিয়নের কল্পনা রানী দাস নামে একজন বলেন, বাড়ির পাশে পুকুরের চারিপাশে সবজির চাষ করেছিলাম। পুকুরের মাছও ভেসে গেছে, সাথে সবজিরও ক্ষতি হয়েছে। আমার স্বামী নতুন করে আবার মাছের পোনা ছেড়েছেন, সাথে নতুন করে সবজির চারা রোপণ করেছি। আবার যদি বন্যার কবলে পড়ি, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জেলায় ৩৪৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ৩৫ হাজার ৪৪১ জন বানভাসি এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো রয়েছে। ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে।

নতুন করে প্লাবন দেখা দিলে তা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দু’হাতে দুই পিস্তল নিয়ে হামলা ও গুলি চালানো সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তার নাম জহিরুল ইসলাম রুবেল (২৬)।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আরও পড়ুন:

র‍্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি চালান জহিরুল ইসলাম রুবেল। তার দুই হাতে দুটি অস্ত্র নিয়ে গুলি চালানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

google-news-channel-newsasia24

সাভারে অস্ট্রোলিয়ান নারীর মরদেহ উদ্ধার

সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রোলিয়ান নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়নের মনোদিয়া চৌরাপাড়া এলাকার বাড়িটি থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। মারা যাওয়া রেহানা পারভীন (৩৭) গত দুই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

এর আগে, গত ৩ জুলাই তার মা আইরিন আক্তার চার জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অপহরণের লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- নিহতের স্বামী আওলাদ হোসেন (৪৭), তিনি একই গ্রামের মৃত আ. মান্নানের ছেলে। একই থানার ছোট রাজপাড়া গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন (৬৪), তিনি নিহতের চাচা শ্বশুর। নিহতের ননদ পাপিয়া আক্তার ( ৩৬) ও মাকসুদা নামে অপর এক নারী। এরমধ্যে আমজাদ হোসেন ও পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রেহানা পারভীন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাতিল গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্বামী আওলাদ হোসেন ও পাঁচ ছেলে মেয়ে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ জুন ছেলেসহ বাংলাদেশে আসেন রেহানা পারভীন। একদিন পর তিনি বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যান। গত ৩ জুলাই বিকেলে মায়ের সঙ্গে রেহানা পরভীনের ফোনে কথা হয়। এরপর থেকেই তার সঙ্গে পরিবারের কারও যোগাযোগ হয়নি।

এমনকি তিনি অস্ট্রেলিয়াতেও ফিরে যাননি। দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে রেহানা পরভীনের পরিবার জানতে পারেন, তার স্বামী গত ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন। রেহানা পারভীনের সন্ধান পেতে থানায় অভিযোগ করেন তার মা।

আরও পড়ুন:

পুলিশ আরও জানায়, গত ৩ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় পাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে রেহানা পারভীনের আশুলিয়ার স্বরলতা হাউজিংয়ে একটি বাড়ি ছিল। প্রাথমিকভাবে পাপিয়া ও আমজাদকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে রেহানা পরভীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

যে কারণে এ হত্যাকাণ্ড
ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম বলেন, জুন মাসের শেষ দিকে রেহানা পারভীন দেশে আসেন। এর কয়েকদিন পর দেশে আসেন তার স্বামী আওলাদ হোসেন। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।

প্রায় ২০ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াতে সংসার তাদের। সংসারে রয়েছে পাঁচ সন্তান। তাদের বেশিরভাগ সম্পত্তি রয়েছে বাংলাদেশে। সেসব দেখভাল করতে রেহানা পারভীন মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশে আসেন। সম্পত্তির অধিকাংশের মালিকানাই রেহানা পরভীনের নামে। এরই জেরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে তুলে নিয়ে হত্যার পর আশুলিয়ার চৌরাবাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা হয়।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হওয়ায় দেশে আসার সময়ই ফিরে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় জানিয়ে আসতে হয়। তবে, সেই সময়েও তিনি না ফেরায় দূতাবাস পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করে। তবে, এরপরও রেহানা বা তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:

১৩ জুলাই পরিবার জানতে পারে, রেহানার স্বামী অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে একটি সাধারণ ডায়রি ও পরে মামলা করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় রেহানা পারভীনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

যা বলছে পরিবার
রেহানা পারভীন হত্যার ঘটনায় শোক নেমে এসেছে পরিবারটিতে। তার মা আইরিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্টে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। তারপর তাকে অষ্ট্রেলিয়া পাঠাই। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পায় সে। আওলাদ আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করেছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় থাকার সময় আমার মেয়ে পরিশ্রম করে সহায় সম্পত্তি করেছিল। সেই সম্পত্তির জন্য আওলাদ ও তার পরিবারের সবাই আমার মেয়েকে কৌশলে হত্যার পর লাশ গুম করে। দুই মাস পর পুলিশ আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।

নিহতের ভাই রবিন বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে স্বামী ও তার পরিবার। আমি সব খুনির ফাঁসি চাই।

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় বাবার সাথে যেয়ে ছেলে নিখোঁজ

ফাহিম শাওনঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় সাব্বির মোল্লা নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শিশুটির বয়স ৮ বছর। তার বাড়ী উপজেলার ভবানীপুর পশ্চিম পাড়ায়।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ভবানীপুর ঘাটে এ ঘটনাটি ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ সাব্বির মোল্লার বাবা চুন্নু মোল্লার সাথে ভবানীপুর ঘাটে গড়াই নদীতে গরু গোছল করাতে নিয়ে যায়। বাবার সাথে পিছন পিছন যেতে থাকে শিশুটি। বাবা গরু নিয়ে নদীতে নেমে গেলে শিশুটি নদীর কিনারে খেলা করতে থাকে।

এক পর্যায় তার বাবা নদী থেকে উঠে এসে ছেলে সাব্বিরকে দেখতে না পেয়ে ভাবে সে হয়ত বাড়ি চলে গেছে। কিন্তু বাড়ীতে এসে জানতে পারেন সাব্বির বাড়ী ফেরে নি।

এ সময় আশেপাশে অনেক খোঁজাখুজি করেন তারা। না পেয়ে মসজিদে এবং মাইক দিয়ে সারা গ্রামে সাব্বিরকে না পাওয়ার খবরটি জানিয়ে দেয়া হয়।

এক পর্যায় তারা নদীতে নেমে সাব্বিরকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ী ফেরেন সবাই।

সাব্বির এলাকার বামনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র।

sabbir molla newsasia24 school
বামনপাড়া স্কুলে নিখোঁজ শিশু সাব্বির মোল্লা। ছবি: নিউজ এশিয়া২৪

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, সাব্বির আমাদের স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র। সে খুব মেধাবী। আমি দুপুরে একটি বিশেষ কাজে নদীর ঘাটে যাই। এসময় সাব্বিরকে তার বাবার সাথে নদীর ঘাটে যেতে দেখি। পরে বাড়ি এসে শুনি সাব্বিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:

এ ব্যাপারে খোকসা ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় তাদের কাছ থেকে কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি।

google-news-channel-newsasia24

কবর থেকে আন্দোলনে নিহত শ্রাবণ ও সাইদের মরদেহ উত্তোলন

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ ও সাইদুর রহমান সাইদের মরদেহ দাফনের ৩৭ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের কালীরহাট গ্রাম থেকে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তে জন্য ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুর রহমান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী এলাকা থেকে সাইদুল ইসলাম সাঈদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:

এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ ও ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলামিন উপস্থিত ছিলেন। নিহত সাইদ ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

গত ১৬ আগস্ট মহিপালে নিহত শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

নিহত শ্রাবণ ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের নেছার আহমেদের একমাত্র ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

খোকসার পৌরসভার পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য প্রদান

ফাহিম শাওন: খোকসার পৌরসভার পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতন কর্তন করে এ সাহায্য জমা করা হয়। পরে জমাকৃত অর্থ কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এর ব্যাংক একাউন্ট এ প্রেরণ করা হয়।

গতকাল রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে পৌরসভায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

khoksa pourosova flood donation newsasia24 2

এ সময় মোট টাকার পরিমান দাড়ায় ১৯,২৬৫ টাকা।

বন্যা কবলিত মানুষদের বিপদের মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়ানো, এবং সাহায্য করতে পেরে অনেক খুশি পৌরসভায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

google-news-channel-newsasia24

জিয়ারখীতে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী সোহেলের ষড়যন্ত্রে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের মঠপাড়া গ্রামে প্রতারক শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী মূল হতা সোহেল মন্ডলের ষড়যন্ত্রের শিকার এলাকাবাসী।

সে মঠপাড়া গ্রামের আকছেদ মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সোহেল সিঙ্গাপুর প্রবাসী হওয়ায় মাঝেমধ্যে এলাকায় ছুটিতে আসে। এসে বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্র দিয়ে মামলা দেয়া এবং এলাকায় তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে আবার সু কৌশলে সে প্রবাসে চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে একই গ্রামের আমিরুলের ছেলে নাসির ইকবাল পাঞ্জু জানান, কিছুদিন আগে সোহেল ছুটিতে এসে সদর উপজেলার চর কমলাপুর গ্রামের হাবিল শেখের ছেলে বিপুল কে দিয়ে অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে কুষ্টিয়ার র‍্যাব বারো এর জালে ধরা পড়ে।

র‍্যাব গোপন সূত্রে জানতে পারে, সেনের চাতাল পাগলা পুকুর এলাকায় অস্ত্র কেনা বেচা হচ্ছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র সহ বিপুল সেখ কে গ্রেপ্তার করে।

অপর ব্যক্তি মটপাড়া এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনেীর মুল হোতা সোহেল মন্ডল দৌড়ে পালিয়ে যায় ।

সোহেলের মূল আশ্রয়দাতা ৬ নং জিয়ারাখি ইউনিয়নের রকিব, জালাল মন্ডল, রাজুসহ আরো অনেকে রয়েছে বলে একটি সুত্র দাবী করে। সোহেল মন্ডল এর মূল অস্ত্র ব্যবসায়ী র্যাব হাতে ধরা পড়ে বিপুল শেখ নিজেই স্বীকার করেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মূল্য ৩০ হাজার টাকা । যা সোহেল কে বিক্রয় করতে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন:

ওই টাকা থেকে বিপুল শেখকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।

বিপুল শেখ জানিয়েছেন, সোহেল মন্ডল ষড়যন্ত্র করে অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে দিয়ে ধরিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন পাঞ্জু জানান, প্রতারক সোহেল তার কাছে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি জমি বিক্রয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। জমি দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করে লেখালেখি করছে। এ বিষয়ে মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে যার নং ৮৬১তারিখ ২১/৮/২৪।

এদিকে ষড়যন্ত্রের শিকার চর কমলাপুর গ্রামের বিপুল সেখ জানান, সোহেল তার কাছে একটা ব্যাগ দিয়ে বলে সেটা ভাদালিয়ায় পৌঁছে দিলে ত্রিশ হাজার টাকা দেবে।

৫হাজার টাকা তুমি নেবে বাকিটা সোহেলকে দিতে হবে। পরে সেখানে যাওয়ার আগেই রাস্তার মধ্যেই গোপন সূত্রে র‍্যাব ১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের চৌকোস অভিযানীর দল অস্ত্র বেচাকেনার খবর পেয়ে তাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে সোহেলের দেয়া ব্যাগের মধ্যে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে।

এদিকে সোহেলে মন্ডল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা, স্থানীয় ডাকাত বাহিনীর সাথে সক্রিয় ভূমিকা রাখা ও নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজল হক চৌধুরী জানান, জিডি হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলাকাবাসীর দাবি, রকিব, জালাল মন্ডল ও নাজমুল মেম্বারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সোহেলের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী সোহেলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।

google-news-channel-newsasia24

কুষ্টিয়া মডেল থানার খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৫ আগষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা থেকে খোয়া যাওয়া বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রায় সহস্রাধিক বিভিন্ন মাপের গুলি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

বৃহষ্পতিবার (২২ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় উদ্ধারকৃত এসব অস্ত্র ও গোলা বারুদ পুলিশে সৌপর্দ করার সময় এক প্রেস ব্রিফিংএ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লামইয়ানুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে এধরণের বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় আজ আমরা অস্ত্র উদ্ধার করতে পেরেছি। কুষ্টিয়া মডেল থানা থেকে যে সব অস্ত্র খোয়া গিয়েছিল তার সব কয়টিই আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি।

আরও পড়ুন:

আরো যদি কোন অস্ত্র বাহিরে থাকে ওই সব অস্ত্র ছাত্র জনতা, পুলিশ ও সেনা বাহিনী একত্রিত ভাবে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে পারবো বলে আশা রাখি।

এসময় কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম জুবায়ের হোসেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

শিপনকে একা পেয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে তালেব

ফাহিম শাওন: কুষ্টিয়ার খোকসায় দুর্বত্তের হামলায় শিপন(৪২) নামের এক ব্যক্তি মারাত্বক আহত হয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিপন খেকসা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

গত শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) খোকসার বেতবাড়ীয়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত শিপন এলাকার হোসেন মন্ডলের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আহত শিপনের সাথে একই এলাকার তালেব মন্ডল (৫০) এর দীর্ঘ দিন জমি চাষাবাদ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শিপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে তালেব মন্ডল। সেই সুযোগ পেয়েও যায় তালেব।

গত শুক্রবার মাঠের কাজ শেষ করতে শিপনের সন্ধ্যা হয়ে যায়। এই সুযোগে আগে থাকা ওৎ পেঁতে থাকা তালেব তাকে হত্যার প্রস্তুতি নেয়। এক পর্যায় শিপন পাওয়ারটিলার নিয়ে মাঠ থেকে রাস্তায় উঠা মাত্রই লোহার রড দিয়ে মাথায় এলোপাথারি আঘাত করতে করতে থাকে তালেব।

shipon news khoksa newsasia242
রডের আঘাতে আহত শিপন মন্ডল। মাথার দুপাশে শেলায় দেয়া হয়েছে। ছবি: নিউজএশিয়া২৪

রডের আঘাতে মাথে ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় শিপনের। একপর্যায় শিপনের চিৎকার দিলে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসলে তালেব দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এক পর্যায় শিপন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তারা তাকে উদ্ধার করে খোকসা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আজ রবিবার (১৮ আগষ্ট) শিপনের বড় ভাই লিটন মন্ডল খোকসা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় কঠোর শাস্তির দাবি করেন শিপনের পরিবারের লোকজন।