শিরোনাম

শিক্ষা

এই বিদ্যালয়ের চাকরি করেন একই পরিবারের ১২ জন

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের কবিরাজের বাজারে অবস্থিত কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ে একই পরিবারের ১২ জন চাকরি করছেন। প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের।

বর্তমানে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত কর্মরত আছেন ১৮ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের একজন শিক্ষক ছাড়া বাকিরা সকলেই সনাতন ধর্মের। এর মধ্যে ১২ জন প্রধান শিক্ষকের পরিবারের।

অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসন আমলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এমন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালে প্রায় এক একর জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হয় ২০০২ সালে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে জমিদাতা কুলোদা মোহন রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়।

kishamot bodi high school newsasia24

তৎকালীন সভাপতি কুলোদা মোহল রায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে অন্তত কুমারকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন।

অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ায় পর প্রতিষ্ঠানে নিজের আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ভাই, স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে নিয়োগ পাইয়ে দেন।

পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায়ের মৃত্যুর পর প্রধান শিক্ষক নিজের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ছেলে বিমল চন্দ্র রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন:

দীর্ঘ ১৬ বছরে কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়টিকে প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমারের পরিবারতন্ত্রে রূপান্তরিত করার একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে অসন্তোষের দানা বাঁধে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিউ্জ এশিয়া২৪ কে জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই আমি সব করেছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফ-উজ-জামান সরকার বলেন, আমি এখানে নতুন। এ বিষয়ে কিছু জানি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে ডেকেছিলাম। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

১১ আগস্ট হবে না এইচএসসি পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার দফা স্থগিতের পর আগামী ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

তবে নতুন এ সময়সূচিতেও পরীক্ষা হচ্ছে না। কবে নাগাদ স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্তও এখনো হয়নি।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ১১ তারিখ থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না। অনেক কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামত করা প্রয়োজন। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিও বিবেচনা করা হচ্ছে৷

স্থগিত পরীক্ষাগুলোর জন্য আবারও নতুন সময়সূচি করা হবে কি না, জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমরা বসতে পারিনি। এটা নিয়ে আগামীকাল নোটিশ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।

google-news-channel-newsasia24

এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

আজও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই মুহূর্তে সেই পরিস্থিতি তো নেই। আপনারা যেমনটি বলছেন কয়েকজন নেমেছে, কয়জন নেমেছে সে বা কি হয়েছে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারবো।

আরও পড়ুন:

আজ কেবিনেটে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করবো না। কেবিনেটে কী আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের প্রায় ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। কিন্তু সমাধান না আসায় ফের আন্দোলন চালু রাখেন তারা।

google-news-channel-newsasia24

আইনি প্রক্রিয়ায় সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলা সংকট আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সম্প্রতি আদালত এটি বাতিল করে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে সুযোগ দেওয়া হয়। নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাস চরিতার্থ করতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেলো। আপনজন হারানোর বেদনা কত কষ্টের, আমার থেকে আর কে বেশি জানে। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমি সব হত্যার নিন্দা জানাই।’

‘যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। কাদের উসকানিতে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা তদন্ত করে বের করা হবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারাদেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও অনেকে।

এ অবস্থায় দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সরকারের এ সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে সই করেছেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

এরও আগে গতকাল কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চলমান এইচএসসি ও সমমানের বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

ছাত্রসমাজ আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবে, বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আদালতের রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। ’

উচ্চ আদালতের রায়ে শিক্ষার্থীরা হতাশ হবে না, আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না। ’

বিস্তারিত আসছে…

ঢাবিতে পুলিশের হামলায় দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ, আহত অন্তত ৪০

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তা।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর একে একে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের আফসানা জুঁই (২২) ও ইংরেজি বিভাগের আব্দুল হান্নান মাসুদ (২৪)।

জাবিতে পুলিশ-শিক্ষার্থী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ারশেল নিক্ষেপজাবিতে পুলিশ-শিক্ষার্থী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ারশেল নিক্ষেপ
এ ছাড়া আহত হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ি, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জানালিস্ট রতন মজুমদার, কালবেলা পত্রিকার আকরাম হোসেন ও জনি রায়হান, আলোকিত প্রতিদিনের ইমরান হোসেনসহ আরও কয়েকজন।

নীলক্ষেত মোড়ে আহত হয়েছেন আজিমপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ইব্রাহিম খলিল। লালবাগ থানার এসআই নাজমুজ্জামান জানান, ইডেন কলেজের ১ নম্বর গেট থেকে রিকশায় করে আজিমপুর ফাঁড়িতে যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম। পথে নীলক্ষেত কোয়ার্টারের গেটে আন্দোলনকারীরা তাকে ধাওয়া হয়। ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে তার মাথায় গিয়ে আঘাত লাগে।

শাবি ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রীত কক্ষ থেকে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারশাবি ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রীত কক্ষ থেকে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাবির ভিসি চত্ত্বর, টিএসসি, শাহবাগ, নীলক্ষতসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আহত অন্তত ৩৫ জন এসেছেন চিকিৎসা নিতে। আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বেশ কয়েকজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

উপাচার্য ভবনে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটাল জাবি ছাত্রলীগ

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শতাধিক শিক্ষার্থী। সেখানে ঢুকে তাদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিভিন্ন হল থেকে কয়েকশ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে রাত ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেওয়ার ১০ মিনিট পর তাদের ওপর হামলা করে বহিরাগতসহ শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী। হামলাকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রাচীরের মূল ফটকের বাইরে থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কাঁচের বোতল ও ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হামলাকারীদের অধিকাংশের মাথায় হেলমেট ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় তাদেরকে পেট্রোলবোমাও ছুঁড়তে দেখা যায়।

রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ছেড়ে রাস্তায় চলে যান। পরে রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশের সামনে ফটক ভেঙে বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন হামলাকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমা ছুড়ে বাসভবনের প্রধান ফটকের লাইটসহ বিভিন্ন লাইট ভাঙচুর করেন তারা। এরপর আন্দোলনকারীদের ব্যাপক মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপাচার্য বাসভবনেই ছিলেন। হামলাকারীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালালেও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রাত সোয়া একটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া একজন শিক্ষার্থী ফেসবুক লাইভে গিয়ে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত বাকী শিক্ষার্থী ও আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা চান। মুহূর্তের মধ্যে ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ওই শিক্ষার্থীর আশেপাশে আহত শিক্ষার্থীদের চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।

পরে রাত সোয়া দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য বাসভবনের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী বহিরাগতসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় হামলাকারীদের ছন্নছাড়া হয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে সেখানে অবস্থানরত পুলিশের ওপর চড়াও হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও অন্তত ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে পুলিশ। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখান থেকে চলে গিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্তব্যরত সাংবাদিকদেরও লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত অন্তত তিনজন সাংবাদিক আহত হন।

এদিন আন্দোলনকারীদের উপর হামলার শুরু থেকেই সাংবাদিকদের ওপর আগ্রাসী আচরণ করতে থাকে হামলাকারীরা। কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অস্ত্র নিয়ে চড়াও হওয়াসহ ইটপাটকেল নিয়ে সাংবাদিকদের আক্রমণ করে তারা। হামলাকারীরা উপাচার্যের বাসভবনে ভেতরে ঢোকার আগে ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল ছুঁড়ে ধাওয়া করে উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন উপ-উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত সাংবাদিকদের উপর। পরে সাংবাদিকরা সেখান থেকে সরে যান। এছাড়া হামলা চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে একাধিকবার সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে যান এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে হামলায় আহত হন সেখানে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ একটি জলকামান নিয়ে আসে। রাত চারটার দিকে পুলিশ জলকামানসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে ধাওয়া করতে শুরু করে। এরপর তারা বহর নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও ছররা গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে একাধিক টিয়ারশেল ছোঁড়ে বলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন>>নবজাতককে ঝোপে ফেলে গেলেন নারী

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও পুলিশের গুলিতে আহত সাংবাদিকরা হলেন, ‘বণিক বার্তায় কর্মরত মেহদি মামুন, দৈনিক বাংলায় কর্মরত আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ টুডেতে কর্মরত জেবায়ের আহমেদ, সময়ের আলোয় কর্মরত মুশফিকুর রিজওয়ান, অনলাইন পোর্টালে কর্মরত সাকিব আহমেদ।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহীসহ প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শী। এদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়ার ফলে সাভারের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রাত চারটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঢাকা জেলার পুলিস সুপার মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কল পেয়েই এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমার অনেক আগেই পুলিশ ফোর্স এসেছিল। এটা যেহেতু শিক্ষার্থীদের ঝামেলা সেহেতু পুলিশ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছিল। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই আমরা।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আসলে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ। হামলার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

google-news-channel-newsasia24

শিক্ষার্থীরা লিমিট ক্রস করে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সীমা লঙ্ঘন (লিমিট ক্রস) করছে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের আন্দোলন অব্যাহত রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালতের যে নির্দেশনাটা এসেছিল, শিক্ষার্থীরা মনে করেছেন তাদের যে চিন্তা-ভাবনা, সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সেজন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে আমরা বলেছি, এদের ডিমান্ড যেটা আছে, সেটা আমরা শুনবো। কিন্তু শোনারও একটা লিমিট বোধহয় থাকে। তারা বোধহয় এগুলো ক্রস করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন হলো তারা (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) কিন্তু একই কাজ করছেন। এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, যে নির্দেশনা হাইকোর্ট দিয়েছেন সেটি স্থগিত। যে মামলাটি চলছে সেটির রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তাই হাইকোর্ট যে নির্দেশনা (কোটা বহাল করে) দিয়েছিলেন সেটি অচল, সেটি এখন নেই।

‘আমার মনে হয় ছাত্রদের এক্ষেত্রে বোঝা উচিত, জানা উচিত। রায় যখন নেই তাহলে আন্দোলন করছে কেন? তাদেরও আত্মীয়-স্বজনকে বিভিন্ন কাজে ছুটতে হয়, হাসপাতালে যেতে হয়, চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। রাস্তা বন্ধ করে দিলে কীভাবে চলবে?’

google-news-channel-newsasia24

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা আদালতে গিয়ে তাদের যা বলার তা যাতে বলে। এটা স্পষ্ট সুন্দরভাবে বলে দিয়েছেন। কাজেই এরপর রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন আমার মনে হয় নেই। তারা যেটা চেয়েছিলেন সেদিকেই তো যাচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি কোর্টে আছে এজন্য কোর্টের মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি হবে।

বাল্য বিবাহ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে: বাবুল আখতার (ভিডিও সহ)

ফাহিম শাওন: চাঁদট এম.বি মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসার সভাপতি ও খোকসা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল আখতার বলেছেন, শির্ক্ষাথীদের বাল্য বিবাহ রোধে অভিভাববকদের সচেতন হতে হবে। তাদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অল্প বয়সে তাদের বিয়ে দেয়া যাবে না।

আজ মঙ্গলবার (০৫ জুন) কুষ্টিয়া খোকসার চাঁদট এম.বি মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদরাসার অভিভাবক সামাবেশে এসব কথ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার এখন পড়ালেখা অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমাদের সময়ে পড়ালেখা এত সহজ ছিল না। দীর্ঘদিন পুরাতন বই নিয়ে পড়তে হতো। তারপর নতুন বই পেতাম। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই নতুন বই হাতে পাচ্ছে।

এছাড়াও তিনি বলেন, অভিভাবকদের শুধু প্রতিষ্ঠানের উপর দায় চাপিয়ে দিলে হবে না। তার সন্তান ঠিকমত স্কুলে যাচ্ছে কিনা, বাসায় ঠিকমত পড়ছে কি না সব কিছু খেয়াল রাখতে হবে।

chadot mb modinatul ulum fazil madrasha gurdian meeting babul akthar newsasia24 2

উক্ত সমাবেশে মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ শহিদুজ্জামান অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এই যুগে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান স্মার্টফোনে কি করছে সেটা আপনাকে নজর রাখতে হবে। তাদের হাতে ফোন ছেড়ে দেয়া যাবে না। তারা যখন ফোন ব্যবহার করবে তখন তাদের নজর রাখতে হবে, কাজ হয়ে গেলে ফোন নিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

এছাড়াও অভিভাবকদের সচেতনতায় তিনি বলেন, আপনার দুইটা সন্তান থাকলে, দুই সন্তানকেই সমান চোঁখে দেখতে হবে। অনেক বাবা-মা আছেন, তারা যে সন্তান মেধাবী তাকে বেশী খেয়াল করেন অপরদিকে কম মেধাবী সন্তানকে কম খেয়াল করেন। এটা করা যাবে না। বরং যে সন্তান কম মেধাবী তাকে বেশী খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে সেও মেধাবী হয়ে উঠবে।

উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠানে মাদরাসার শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: এসএসসি’র প্রকাশিত ফলাফল যদি সন্তোসজনক না হয় তাহলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে। এ কার্যক্রম আজ সোমবার (১৪ মে) থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ মে (রবিবার) পর্যন্ত।

বিষয়টি জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

আবেদন করার নিয়ম:

প্রার্থীরা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে 16222 নম্বরে Send করতে হবে।

এরপর ফিরতি এসএমএস -এ আবেদনের জন্য কত টাকা কেটে নেওয়া হবে সেটি জানিয়ে একটি পিন দেওয়া হবে। এতে প্রার্থী সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (এখানে যেকোন নাম্বার) লিখে 16222 নম্বরে Send/ পাঠাতে হবে।

ফল পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী একই এসএমএস’র মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC <Space> Dha <Space> Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। প্রতিটি পদের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে অ্যাকাউন্ট থেকে।

আরও পড়ুন:

 

চ্যালেঞ্জকৃত খাতার যেভাবে মূল্যায়ন করা হয় :

শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করলে প্রার্থীর উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এসব হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের নম্বর সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা।

এই চারটি বিষয় পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে ফের ফল প্রকাশ করা হয়।

google-news-channel-newsasia24