শিরোনাম

স্বাস্থ্য

কাঁচা ডিম খেলে যা হয়; না জানলে জেনে নিন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্কঃ ডিম এমনিতেই সুষম খাদ্য। একটি ডিম থেকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন এ, ডি প্রচুর পরিমাণে থাকে ডিমে। আর থাকে কোলিন।

লিভারের জন্য এই খনিজ খুব ভালো। ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুম— ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর। এখন কথা হলো, সিদ্ধ ডিম খাওয়া তো পুষ্টিকর, কিন্তু কাঁচা ডিম?

এই বিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

চিকিৎসকের মত, কাঁচা ডিমে সালমোনেল্লার মতো ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। এই ব্যাক্টেরিয়া পেটে গেলেই বিষক্রিয়া হবে। আরও একটা ব্যাপার হলো, ডিম কত দিন ধরে রেখে দেওয়া হয়েছে, তা আপনার জানা নেই। ভেতরে ভেতরে পরজীবী বাসা বেঁধেছে কি না তা-ও অজানা। উচ্চ তাপমাত্রায় সিদ্ধ করার সময়ে সমস্ত ব্যাক্টেরিয়া-পরজীবী নষ্ট হয়ে যায়। তাই সিদ্ধ ডিম খেলে ভয় থাকে না।

রোজ কাঁচা ডিম খেলে ডায়ারিয়া হতে বাধ্য। তাছাড়া পেটে সংক্রমণও হতে পারে। জ্বর, বমি, পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেবে। শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতীদের কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। যদি শরীরে বিভিন্ন রকম অসুখবিসুখ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, তা হলে কাঁচা ডিম খেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।

আরও পড়ুন:

কাঁচা ডিমে অ্যাভিডিন নামে এক রকম উপাদান থাকে, যা ভিটামিনের কার্যকারিতা নষ্ট করে। তাই কাঁচা ডিম খেলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজগুলোর কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে। ডিম অর্ধ সিদ্ধ করে খাওয়াও ঠিক নয়। সেখানেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।

তাই ডিম পুরো সিদ্ধ করে খাওয়াই ভালো। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে এক থেকে দুটি ডিম খেতে পারেন। তবে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে ডিমের পরিমাণ কমাতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাই শ্রেয়।

google-news-channel-newsasia24

মাইগ্রেন নারীদের বেশি হয়

লিমা পারভীন: মাথার ভেতরের রক্ত চলাচলের তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হয়। রক্ত চলাচল কমে গেলে হঠাৎ করে চোখে সব অন্ধকার দেখা যায় এবং পরে রক্ত চলাচল হঠাৎ বেড়ে গিয়ে প্রচ- মাথাব্যথার অনুভূতি তৈরি হয়।

চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজন মহিলার একজন এবং প্রতি পনেরোজনে একজন পুরুষের মাইগ্রেন হয়ে থাকে।

কারণ মহিলাদের হরমোনাল চেঞ্জ বেশি হয়। মাসিক, প্রেগনেন্সি ও মেনোপজÑ এগুলো মাইগ্রেন পেইনের সঙ্গে রিলেটেড। অনেক সময়ে মেনোপজের পর মাইগ্রেনের সমস্যা কমতে থাকে, আবার পিরিয়ডের আগে এটি বেশি হয়ে থাকে।

সাধারণ লক্ষণ : মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তি বোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। চোখের ওপর হালকা চাপ দিলে আরাম লাগে। মাথার দুই পাশে কানের ওপর চাপ দিলে এবং মাথার চুল টানলেও ভালো লাগে। তখন শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় মাথাব্যথা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন>>দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে, জানেন কী?

করণীয় : মাইগ্রেন থাকলে প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। যেসব খাবার খেলে ব্যথা শুরু হতে পারে, যেমন কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রিম, মদ ইত্যাদি একদম বাদ দিতে হবে। বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। জন্মবিরতিকরণ ওষুধ যারা খায়, তাদের সেটা সেবন না করাই শ্রেয়। প্রয়োজনে অন্য পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেতে পারে। পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেন অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।

আরও পড়ুন>>বিয়ের পর স্ত্রীকে একঘেয়ে লাগলে কী করবেন?

চিকিৎসা : নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন মাইগ্রেন সমস্যা নিয়ে। বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানোর জন্য ডাক্তার সাধারণত পিজোটিফেন, অ্যামিট্রিপটাইলিন, বিটাব্লকার-জাতীয় ওষুধ কার্যকর। মাথাব্যথা শুরু হলে প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ওষুধ ভালো। বমির ভাব কমানোর জন্য মেটোক্লোর প্রোমাইড, ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ওষুধে মাথাব্যথা না কমলে সুমাট্রিপটান, আরগোটামাইন-জাতীয় ওষুধে অনেক সময় যথেষ্ট স্বস্তি পাওয়া যায়।

google-news-channel-newsasia24

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ (০৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসটি উদযাপন করছে বাংলাদেশও। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে’।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে এ বছর গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম।

আরও পড়ুন:

১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন।

সেই সঙ্গে গৃহীত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এই আইন। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে নির্ধারিত হয় দিনটি।

দিবসটি ঘিরে প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।

google-news-channel-newsasia24

সেহরিতে কী খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা?

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আমরা সাধারনত সেহরিতে তেল জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি। যেটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পুষ্টিবিদরা বলেন, সেহরিতে এমন খবার খেতে হবে যেটা সহজেই হজম হয় এবং স্বাস্থ্যকর। অর্থাৎ যে খাবারগুলোতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম ও আশঁযুক্ত।

চলুন, জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলোর তালিকা।

★ লাল চালের ভাত খেতে পারেন ঘন ডাল দিয়ে, কারণ সাদা চাল তাড়াতাড়ি হজম হয় ও ক্ষুধা লেগে যায়। তাছাড়া হোলগ্রেইন জাতীয় খাবার খেতে পারেন। যেমন- ওটস বা চিড়া।

★ ভালো মানের প্রোটিন এর জন্য সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন ।

★ বাদাম খেতে পারেন, কারণ বাদামে থাকে ভালো মানের চর্বি। ডিম উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত। এই খাবার হজমে সময় নেয়।

★ খেজুর খেতে পারেন, যাতে আছে ফাইবার ও ভিটামিন-বি। এগুলো শক্তির ভালো উৎস।

★ সেহরিতে ফল জাতীয় খাবারের মধ্যে কলা,আপেল,কমলা, তরমুজ ইত্যাদি মৌসুমী ফল খেতে পারেন।

★ শরবত হিসেবে চিয়া সিডের শরবত খেতে পারেন। কারন, এটি যা ফাইবার রিচ, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল সমৃদ্ধ। এটি হজমে সাহায্য করে।

★ ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। যেন শরীরে সারাদিনে পানিশূন্যতা তৈরি না হয়।

সুস্থ থাকতে হলে সেহরিতে অতিরিক্ত খাবেন না।

আরও পড়ুন: 

পেঁয়াজের খোসার জাদুকারি ৬ গুণ

গাড়িতে উঠলেই বমি পায়? জেনে নিন সমাধান

প্রেমে এই ৫টি লক্ষণ থাকলে বিয়ে নিশ্চিত

ব্রকলির এই উপকারিতা জানলে চমকে উঠবেন!

google-news-channel-newsasia24

ডায়াবেটিস এ চিন্তা দূর করবে ডায়া-ফিক্স

দেশের বেশীরভাগ মানুষই ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত। কোন ধরনের পূর্ব লক্ষন ছাড়াই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবেটিস এ। বয়স চল্লিশাদ্ধার্ধ হলেই যেন আক্রামন করে বসে এ রোগটি।

তাই এ রোগের হাত থেকে রেহাই পেতে বাজারে এসেছে ডায়া ফিক্স।
Dia Fix সেবন করা খুবই সহজ। প্রতিবার খাবারের আগে একটি Dia Fix- ক্যাপসুল খান। পণ্যটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, তাই আপনার কোন ব্যবস্থাপত্রের প্রয়োজন হবে না।

diabetes-medicine-dia-fix-newsasia24

Dia Fix প্রাকৃতিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে একটি সর্ব-প্রাকৃতিক প্রতিকার – গ্লুকোজ স্ট্যাবিলাইজার। । তাই কোন ব্যবস্থাপত্রের প্রয়োজন নেই। এটি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Dia Fix এর রয়েছে 100% সন্তুষ্টির নিশ্চয়তা। যার অর্থ আপনার কিছুই হারানোর নেই।

এটি কোথা থেকে কিনবেন?

সস্তায় ও নকল পন্য কেনার জন্য অনলাইনে ঝাঁপিয়ে পরেন না। আসল Dia Fix কেনার জন্য তাদের ওয়েবসাইটে যান এখনই।

Dia-Fix কিনতে এখানে ক্লিক করুন

খালিপেটে দুধ চা খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে, জেনে নিন?

লিমা পারভীন: বর্তমান সময়ে অনেকেই সকালে উঠে খালিপেটে এক কাপ গরম গরম দুধ চায়ে চুমুক দেন। এতে করে সকাল সকাল এনার্জি পাওয়া যায় বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে দুধ চা খাওয়া এমনিতেই ভালো না তারউপর নিয়মিত সকালে খালি পেটে দুধ চা খেলে একাধিক জটিল অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।এনার্জি বেড়ে যায়।

প্রতিদিন খালি পেটে দুধ চা খেলে হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপার মত সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি অনিদ্রার সমস্যাও হয়। খাবার খাওয়ার অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট পরে দুধ চা খাওয়া উচিত। এতে করে গ্যাস-অ্যাসিডিটি সমস্যার শঙ্কা কমবে।

দুধ-চিনি মেশানো চায়ের স্বাদ বেশি ভালো হলেও চায়ের মধ্যে লাল চা বেশি উপকারী। এজন্য গবেষকরা হালকা লাল চা পানের কথাই বেশি বলেন। ​চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান শরীরে প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন:

বিশেষজ্ঞদের মতে সুস্থ থাকতে চাইলে দুধ চা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এ ছাড়া সকালে খালিপেটে দুধ চা খেলে গ্যাস-অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এমনকী খালিপেটে দুধ চা খেলে ক্রনিক গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা ও হতে পারে।

তাই এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে রোজ সকালে খালিপেটে দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত। তবে রং চায়ে চিনি না মিশিয়ে খাওয়া ভালো। এতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডায়াবেটিসও বশে থাকবে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

কুষ্টিয়ায় বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস ২০২৪ পালিত (ভিডিও)

https://youtu.be/ZCMhGqU1KMw

নাজমুল হাসান, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হলো বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস-২০২৪ ।

“আত্মমর্যাদার পরিবেশ, কুষ্ঠ-কলঙ্কের হবে শেষ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ শনিবার(২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহরস্থ এনএস রোড প্রদক্ষিন করে।

পরে র‌্যালি শেষে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যলয়ের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এইপি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী আহসান হাবীব রিপন কুষ্টিয়া জেলার ছয়টি উপজেলাতে কুষ্ঠ রোগীদের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

World-Leprosy-Day-2024-is-celebrated-in-Kushtia-newsasia24 2

আরও পড়ুন: 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, সিভিল সার্জন,কুষ্টিয়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাঃ আব্দুল্লাহ আল রশিদ, ডাঃ নোওরিন আলম সিজা (ডিষ্টিক সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার), দি ল্যাপ্ররী মিশন বাংলাদেশের এর রিসার্স অফিসার মোঃ মুশফিক রহমান।

আলোচনা শেষে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য দিন ব্যাপি স্কীন ক্যাম্প অনুষ্টিত হয়। এ ছাড়া ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মাঝে কুষ্ঠ রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

google-news-channel-newsasia24

করোনার নতুন ধরন, টিকা নেওয়ার নির্দেশ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানান, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হয়েছে।

আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন আজ(১৮ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আতঙ্ক ছড়ায় করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের উপধরন জেএন.১।

jn.1-virus-like-corona-newsasia24 2

ডা. তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো খবর নেই। তারা দেশেই ছিলেন।

ওমিক্রন ধরনের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই বলে জানিয়ছেন আইইডিসিআর-এর পরিচালক।

আরও পড়ুন:

এদিকে দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেছেন, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ জন্য ফাইজার কভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ (তৃতীয়, চতুর্থ ডোজ) বিতরণ এবং টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ‘জেএন.১ ভাইরাস; স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ‘জেএন.১ ভাইরাস। বিষেজ্ঞরা জানিয়েছেন, জেএন.১ করোনার একটি নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট। এই বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ইতমধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশে এই ভাইরাস টি ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এতে করোনার মত ঝুঁকি নেই বলে জানান স্বাস্থ্য সংস্থা।

jn.1-virus-like-corona-newsasia24 2বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রমণ রোধ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, কোভিড ও ফ্লু টীকা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট খবর রাখতে হবে, অসুস্থ হলে বাসায় থাকতে হবে এবং লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করাতে হবে।

অন্যদিকে, জনবহুল এলাকাগুলোতে মাস্ক পরতে হবে, হাঁচি-কাশির সময় মুখ বন্ধ রাখতে হবে, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, নিয়মিত হাত পরিষ্কার করতে হবে।

আরও পড়ুন:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, নতুন শনাক্ত করা জেএন.১ হলো ওমিক্রনেরই সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এতে ভারতে কোভিড ১৯-এর একটি ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতায় আক্রান্ত সব রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তার মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগই কোভিড পজিটিভ। আশপাশের অনেকের দেহে কোভিড পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে।

google news newsasia24

Follow

অ্যান্টিবায়োটিক প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে গেছে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মানুষের শরীরে প্রধান রোগ সৃষ্টিকারি জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিক প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে গেছে— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণায় উঠে এসেছে এমন একটি তথ্য।

antibiotic-medicine3-newsasia24

গবেষণায় বলা হয়েছে, এর প্রধান কারণ অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ‘সংক্রামক ব্যাধি চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও কার্যকারিতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয় বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে।

আরও পড়ুন>>খুলনায় তথ্য মিলবে ভারতের আমরি হাসপাতালের

গত জানুয়ারি ২০২২-জুন ২০২৩ পর্যন্ত রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে আসা ৭২ হাজার ৬৭০ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এই গবেষণা করে মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগ।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না। অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানুষ এখন প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুুন>>কিভাবে বাসন মাজলে মানসিক চাপ কমে!

দেশে প্রতিবছর এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ মারা যায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০৫০ সালে গিয়ে দেখা যাবে করোনার থেকেও বেশি রোগী মারা যাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে।

antibiotic-medicine2-newsasia24

হাসপাতালে দর্শনার্থীরা রোগীদের দ্বারা সংক্রমিত হয় জানিয়ে উপাচার্য বলেন, অনেক সময় দেখা যায় রোগীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে সাধারণ মানুষও রোগী হয়ে যায়। এটি ক্রস ইনফেকশন। এজন্য হাসপাতালে রোগী দেখতে গেলে একটু দূরে থেকে দেখতে হবে ও দ্রুত হাসপাতাল থেকে চলে যেতে হবে।

আরও পড়ুন>>শীতে সুস্থ থাকতে এই ৮ টি খাবার অব্যশই খাবেন! জেনে নিন বিস্তারিত..

গবেষণায় আরও বলা হয়, দেশে অন্তত ৭৫ শতাংশ সংক্রমণ হয় টাইফয়েড, ই-কোলাই, স্ট্যাফাউরিয়াস, ক্লিবসিয়েলা ও সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে। এসব ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকসেস ও ওয়াচ গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অকেজো হয়ে গেছে।

এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) রোগীদের যে অ্যান্টিবায়োটিকে চিকিৎসা চলত— তা এখন ওয়ার্ডের রোগীদেরও দিতে হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় পরিস্থিতি কত খারাপের দিকে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন>>একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৫ নবজাতকই মারা গেছে

গবেষণায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য কয়েকটি ব্যাকটেরিয়াকে ভবিষ্যতে আশঙ্কা কারণ হিসাবে দেখানো হয়। এগুলো হলো— এমডিআর টিবি, কুইনোলোন এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী টাইফয়েড, ইএসবিএল, ই-কোলাই ও ক্লেবসিয়েলা সংক্রমণ এবং কার্বাপেনাম প্রতিরোধী এন্টিরোকোসি সংক্রমণ।

google news newsasia24

Follow