শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ পৌঁছেছে লোহিত সাগরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের ঢেউ গিয়ে পৌঁছেছে লোহিত সাগরে। গাজায় বোমা হামলা শুরুর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে লোহিত সাগরে। কারণ বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানাতেই সেখানে হামলা শুরুর ঘোষণা দেয় হুথি। তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।

The-war-between-Hamas-and-Israel-has-reached-the-Red-Sea-newsasi24

ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯ নভেম্বর ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি জাহাজে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর ১২ ডিসেম্বর ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে একটি নরোয়েজিয়ান ট্যাঙ্কারে হামলা চালানো হয়। যদিও এর মালিকরা জানিয়েছেন জাহাজটি ইসরায়েলগামী ছিল না। লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে ফ্রান্সের যুদ্ধ জাহাজকেও।

আরও পড়ুুুুুুুুুুন>>কে এই ‌‌’খালিদা জারার’?

এরপর একে একে বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালানো হয়। এতে লোহিত সাগর কার্যত অচল হয়ে পড়ে। তবে এই সংকট দূর করার জন্য কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অঞ্চলটিতে উত্তেজনা কোনোভাবেই থামছে না।

এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই কৌতূহল জেগেছে কারা এই হুথি। কেনইবা তারা লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।

হুথি মুভমেন্ট প্রথম শুরু হয়েছে উত্তর ইয়েমেন থেকে। সেখানের অধিকাংশ মানুষই জায়েদিজম অনুসরণ করেন, যা শিয়া মুসলিমদের একটি শাখা। কয়েক শতাব্দী ধরে জায়েদি ইমামরা ওই অঞ্চলে নিজেদের আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায়। ১৯১৮ সালে তারা এক সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।

আরও পড়ুন>>খালিদ জারার গ্রেফতার; ইসরায়েলে আরও অফিসার ও সৈন্যকে হত্যা

এই ইমামরা ১৯৬২ সাল পর্যন্ত শাসন ক্ষমতায় ছিলেন। সেসময় একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইয়েমেন আরব রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা হয়। পরে সুন্নি অধ্যুষিত এলাকার চেয়ে জায়েদি এলাকা তুলনামূলকভাবে গরিব হয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালের দিকে সৌদি ও ইয়েমেনের সরকার উত্তরাঞ্চলে সুন্নি মতবাদকে প্রোমট করে। এমন পরিস্থিতিতে জোয়েদি মুভমেন্টের আবির্ভাব হয়।

১৯৯০ দশকের দিকে জায়েদি ধর্মগুরু হুসেন আল-হুথি সৌদি সমর্থিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও এটি ২০০১ সালের দিকে বিভক্ত হয়ে যায়। কিন্তু তার অনুসারীরাই হুথি নামে পরিচিত হয়।

আরও পড়ুন>>জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় মালয়েশিয়ায় ১৭১ বাংলাদেশি আটক

ধীরে ধীরে হুথিদের বিরুদ্ধে সমর্থন বাড়তে থাকে, যা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে শুরু করে ইয়েমেনের সরকারের জন্য। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন হামলারও সমর্থন করেছিল ইয়েমেনের নেতারা, যা ভালোভাবে নেয়নি ইরাকের জনগণ। তাদের এই ক্ষোভকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেয় হুথি। আল-হুথি ইরানের ইসলামিক বিপ্লব ও লেবনানের হিজবুল্লাহ মুভমেন্টকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করেন। গোষ্ঠীটির মূল স্লোগান ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে নির্মূল।

ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে হুথি বিদ্রোহীদের প্রভাব বাড়তে থাকায় দেশটির সরকার দমনপীড়ন শুরু করে। ২০০৪ সালে সরকারি বাহিনী গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা হুসেন আল-হুথিকে হত্যা করে। হুথি বিদ্রোহীদের অস্ত্রের মূল উৎস কালোবাজার ও কিছু সামরিক বাহিনী।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক শাখা উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশ দখল করে। নাম দেওয়া হয় আনসার আল্লাহ বা আল্লাহর রক্ষক।

আরও পড়ুুুুুুুন>>সিরিয়ায় বিমান হামলায় সিনিয়র উপদেষ্টা সাইদ রাজি মৌসাভি নিহত

এরপর ২০১৪ সালে ইরানের সহায়তায় রাজধানী সানা দখলে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা, মূলত তারা পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বো মনসুর হাদী সৌদি আরবে পলিয়ে যান। ২০১৫ সালে তার অনুরোধে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে সৌদি আরব। কয়েক বছরে ২৫ হাজারের বেশি হামলা চালানো হয়। নিহত হয় ১৯ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক।

২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটিতে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। তারপর থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও চলতি বছরের শুরুর দিকে জাতিসংঘ জানায়, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানবিক সংকটের মুখোমুখি ইয়েমেন। তবে রাজধানী দখলে নেওয়ার পর থেকেই ইয়েমেনের বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নেয় তারা।

আরও পড়ুন>>বড়দিন পালনে সতর্ক করেছেন নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হুথি যোদ্ধারে মূল লক্ষ্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মৃত্যু। কিন্তু ইয়েমেনের বাইরে হামলা করার মতো তাদের তেমন কোনো সক্ষমতা নেই। তবে সম্প্রতি তারা ইসরায়েলে হামলা চালানোর মতো ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেয়েছে।

এই পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র খুব একটা উদ্বেগের না হলেও লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার বিষয়টি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের সহায়তা হুথিদেরকে একটি রাগট্যাগ সেনাবাহিনী থেকে একটি বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে। হুথিদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে ইরান।

বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় বেড়ে যেতে পারে পরিবহন খরচ। কারণ জাহাজগুলোকে আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপে যেতে হবে। এতে দেশে দেশে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়তে পারে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ট্রেনে কাটা পড়ে আনসার সদস্য নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রূপচান (৫০) নামের এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চরভাবলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রূপচান টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া গ্রামের হারু মণ্ডলের ছেলে রূপচান।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে ডিউটিরত অবস্থায় নিখোঁজ হয় রূপচান। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় তার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।

এক পর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়রা আনসার সদস্যের মরদেহ রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখে। পরে রেলওয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

আরও পড়ুুন:

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে রূপচান নিহত হয়েছেন।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

কক্সবাজারে পিকনিক বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষ, নিহত ৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকনিকের বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। নিহতরা সবাই স্থানীয় শ্রমিক।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাংয়ের কলাবাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চকরিয়ার চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রোদ্র।

Pick-up-collide-dwith-picnic-bus-in-Cox's-Bazar-,4-killed-newsasia24

এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন, উত্তর করমহরীপাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে রিদুয়ান, রশিদ আহমেদের ছেলে আবু বক্কর, বাদশা মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন, বত্তাতলীর মোজাফফর আহমদের ছেলে মহিউদ্দিন।

এসআই খোকন রোদ্র জানান, কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমণে আসা জাকির ট্রাভেলের একটি বাস ও চট্টগ্রামমুখী পিকআপ হারবাং এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে চার শ্রমিক নিহত হন। আহত হয়েছেন প্রায় ৮ জন। দুর্ঘটনায় যানচলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও গাড়ি দুটি জব্দ করেছে।

আরও পড়ুন:

তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারে হস্তান্তর ও গাড়ি দুটি হাইওয়ে থানার হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ঢাবির এফ রহমান হলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কারো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল থেকে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি ও এফ রহমান হলের মাঝের সড়কে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। চলমান একটি মোটরসাইকেল থেকে কেউ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন:

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা জেনেছি। বাইরে থেকে হয়তো কেউ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, অবরোধ চলায় আমাদের চেকপোস্টে পুলিশ প্রশাসনের লোকজন কম। তবে আমরা প্রশাসনকে বলেছি যেন নজরদারি বাড়ানো হয়।

google-news-channel-newsasia24

Follow

কে এই ‌‌’খালিদা জারার’?

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ২৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) পশ্চিম তীরের রামাল্লায় খালিদা জারার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা তাকে আটক করার আগে জারারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তল্লাশি চালায়।

জারার, ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য জনপ্রিয় একজন বিশিষ্ট নেতা। ইসরায়েলিদের কাছে সংখ্যবার গ্রেফতার হন এবং কয়েক বছর কারাগারে কাটিয়েছিলেন।

খালিদা জারার এর পরিচয়: 

Khalid-Zara-arrested;-Killing-more-officers-and-soldiers-in-Israel-newsasia24 2
আইকনিক ফিলিস্তিনি নেতা- খালিদা জারার

৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৩ সালে উত্তর পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন খালিদা জারার। তিনি বিরজাইট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

জারার, ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অ্যাডামিয়ার প্রিজনারস সাপোর্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ফিলিস্তিনি আইন পরিষদে (পিএলসি)- ফিলিস্তিনি সংসদে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ফলোআপের জন্য ফিলিস্তিনি জাতীয় কমিটি এবং “পি.এলসি” এর বন্দী কমিশনের প্রধান।

আরও পড়ুন: 

আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ প্রকাশের জন্য একজন ফিলিস্তিনি নেতা হিসাবে খালিদা জারারকে ঘন ঘন গ্রেফ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে, ৮ই মার্চের সমাবেশে অংশ নেওয়ায় এক মাস কারাগারে ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

খালিদ জারার গ্রেফতার; ইসরায়েলে আরও অফিসার ও সৈন্যকে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি নেতা খালিদ জারারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে, গাজায় আরও কয়েকজন অফিসার ও সৈন্যকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

‘‘প্যালেস্টাইন ক্রনিকল’’ এর খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

Khalid-Zara-arrested;-Killing-more-officers-and-soldiers-in-Israel-newsasia24 2
আইকনিক ফিলিস্তিনি নেতা- খালিদা জারার

খবরে বলা হয়, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে বোমা হামলা চলোনো হয়েছে এবং হাসপতালের আশেপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন>> কে এই ‌‌’খালিদা জারার’?

খবরে আরও বলা হয়, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদার সৈন্যরা ফিলিস্তিনি নেতা ও কর্মী, খালিদা জারারকে রামাল্লায় তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন: 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যায় ২০,৬৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৪,৫৩৬ জন। নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

google-news-channel-newsasia24

ইয়েমেনের জন্য সুখবর; ইয়েমেন শান্তি পরিকল্পনা স্বাক্ষর জানুয়ারিতে

জাহিদ হাসান, সৌদি থেকে: জানুয়ারির শুরুতে মক্কায় ইয়েমেনি শান্তি রোডম্যাপে স্বাক্ষর করা হবে। ইয়েমেনের একটি কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, জাতিসংঘের সাথে সৌদি আরব এবং ওমানের নির্ধারিত তারিখে এই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মক্কায় এটি অনুষ্ঠিত আগামী জানুয়ারির শুরুতে হবে।

সূত্রটি আরও জানা গেছে, ইয়েমেনের সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের এক বছরের বেতন দেবে সৌদি আরব। সেই সাথে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য ইয়েমেনি তেল ও গ্যাস রপ্তানি পুনরায় শুরু করা হবে।

ইয়েমেনের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেছেন, ইয়েমেনে যুদ্ধরত পক্ষ উভয়ই যুদ্ধবিরতির দিকে পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও পড়ুন: 

হ্যান্স গ্রুন্ডবার্গ তার কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি “দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, ইয়েমেনে জীবনযাত্রার উন্নতি এবং জাতিসংঘের অধীনে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।

google-news-channel-newsasia24

লন্ডনে ছবি পাঠালেই পুরস্কার: বোমা মাওলানা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মুকিত ওরফে বোমা মাওলানাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবির লালবাগ বিভাগ।

Award-for-sending-pictures-to-London-Boma-moulana3-newsasia24

ডিবি জানায়, গ্রেফতার বোমা মাওলানা গত ২৭ অক্টোবর থেকে গত ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গানপাউডার সংগ্রহ করে প্রায় ৪০০ বোমা তৈরি করেন। পরে এসব বোমা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন।

বোমা বানাতে গানপাউডার সাপ্লাই দেন যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। নাশকতা কিংবা আগুন দেওয়ার যে কোনো ছবি লন্ডনে পাঠানো হলে তাদের পুরস্কৃত করা হতো।

আরও পড়ুন>>পেশাদার সিঁধেল চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে মুকিত হোসাইন ওরফে বোমা মাওলানাকে খুঁজছিলাম। তার নাম হলো মুকিত, তবে সবাই তাকে ডাকে ‘বোমা মাওলানা’ নামে। একসময় সে আলিয়া মাদরাসা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও সভাপতি ছিলেন।

পরবর্তীসময়ে ছাত্রদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩-১৪ সালে বোমা বানাতে গিয়ে তার ডান হাতের কব্জি উড়ে যায়। এরপর থেকে তার নাম হয় বোমা মাওলানা। দলীয় আনুগত্য এবং উগ্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তাকে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনোনীত করেন স্বয়ং তারেক রহমান।

আরও পড়ুন>>কুমিল্লায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে কোপাল নৌকার সমর্থকরা

হারুন অর রশীদ বলেন, মহানগর জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে যে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছিল তার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বোমা মাওলানা। ২৭ অক্টোবর রাতে মতিঝিল ব্যাংক কলোনিতে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পাঠানো ১০ কেজি গানপাউডার বোমা মাওলানা রিসিভ করে ।

এই গানপাউডার দিয়ে গত ২৭ অক্টোবর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় প্রায় চারশ হাতবোমা তৈরি করে সে। পরে এসব বোমা সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন থানা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের কাছে। তার সরবরাহ করা হাতবোমা থেকে একটি বোমা যুবদলের সদস্য সোহেল খান ও অভি আজাদ চৌধুরীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর জজ কোর্ট আদালত প্রাঙ্গণে বিস্ফোরিত করে ওয়ারীর আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী হাফসা আক্তার।

আরও পড়ুন>>ফেনীতে আগুনে ঝলসে গেছে ন্যাশনাল কলেজের এক শিক্ষার্থী

জিজ্ঞাসাবাদে মুকিত ওরফে বোমা মাওলানা ডিবিকে জানায়, প্রতিটি যানবাহনে আগুন দেওয়ার জন্য অগ্নিসংযোগকারীকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া বিস্ফোরণ ঘটানো ও মশাল মিছিলের জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রায় ৬-৭ হাজার লোকের মিছিলে নেতৃত্ব দেয় বোমা মাওলানা।

তিনি বলেন, লন্ডন থেকে আসা নির্দেশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি ছড়ানোর কাজে ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণে ৮টি টিম গঠন করা হয়। মুকিতের দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রীয় যুবদল ও মহানগর যুবদলের সঙ্গে সমন্বয় করা। সমন্বয় করে বোমা বানিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো।

আরও পড়ুন>>ময়মনসিংহে ট্রাকের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ৪

এছাড়া গ্রেফতার মুকিত ওয়ার্ড এবং থানা পর্যায়ের যুবদল কর্মীদের দিয়ে যানবাহনে আগুন দেওয়ায় কমপক্ষে ৬টি ঘটনার সমন্বয় করেছে। আমরা তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি।

google-news-channel-newsasia24

Follow

জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় মালয়েশিয়ায় ১৭১ বাংলাদেশি আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় মালয়েশিয়ায় ১৭১ বাংলাদেশিকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। তারা মালয়েশিয়ার কোটা টিংগি এলাকায় দল বেধে হাটছিলেন। যা স্থানীয়দের জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।

নিউ স্ট্রেইটস টাইমস এর খবরে বলা হয়, গত ২০ ডিসেম্বর ১৭১ বাংলাদেশিকে আটকের ঘটনাটি ঘটে। কোটা টিংগি জেলার পুলিশপ্রধান সুপ্ত হুসেন জামোরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সুপ্ত হুসেন জামোরা বলেন, এমএএফ কর্মীরা যাদের আটক করেছেন তারা সবাই পুরুষ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা তাদের হোস্টেল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বেউ দামাই থানার দিকে যাচ্ছিলেন। বিদেশি এসব শ্রমিক তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় যাচ্ছিলেন। তাদের অভিযোগ, গত তিন থেকে ছয় মাসেও এজেন্ট তাদের কাজে নিয়োগ দেয়নি।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এ ব্যাপারে সুপ্ত হুসেন আরও বলেন, তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে, কারণ তারা গন্তব্য না জেনে তেলুক রামুনিয়া বায়ু দামাই মোড়ের সামনের এলাকায় হাঁটছিল। বড় জমায়েত দেখে স্থানীয়রা ভয় পেয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে যে তারা থানায় যাচ্ছিলেন। তাদের সবার কাছে বৈধ নথি ছিল। এ থেকে বোঝা যায়, আটকদের এজেন্টরা এখনো তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান খুঁজে পায়নি।

আরও পড়ুন: 

হুসেন আরও বলেন, আটকরা সবাই ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সের। আমাদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ১৫(১)(সি) এর অধীনে অতিরিক্ত অবস্থানের কারণে অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের সবাইকে জোহর বারুর সেটিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

সিরিয়ায় বিমান হামলায় সিনিয়র উপদেষ্টা সাইদ রাজি মৌসাভি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়া ও ইরানের মধ্যকার সামরিক জোটের সমন্বয়কারী ও ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সিনিয়র উপদেষ্টা সাইদ রাজি মৌসাভি নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের বিমান হামলায় তার মৃত্যু হয়। তাকে সিরিয়ায় আইআরজিসির সবচেয়ে অভিজ্ঞ উপদেষ্টা হিসেবে বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। তবে, তার মৃত্যু নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

Senior-adviser-Said-Razi-Mousavi-was-killed-in-an-airstrike-in-Syria-newsasia24 2

আরও পড়ুন: 

তিনি ছিলেন জেনারেল কাসেম সোলাইমানির সহচরদের একজন কমান্ডার। ২০২০ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় সোলাইমানি নিহত হন। ইরানের আঞ্চলিক তৎপরতা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতেন সোলাইমানি।

google-news-channel-newsasia24