শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করত শেখ আবির হোসেন (৩৪) নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি টেক্সাসের বিউমন্টে একটি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

গত শুক্রবার টেক্সাসের ক্রিস ফুড মার্টে তিনি নিহত হন। সেখানে তিনি স্টোর ক্লার্ক হিসেবে কাজ করতেন। দোকান থেকে সিগারেট নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই সন্দেহভাজন তাকে গুলি করে।

A-Bangladeshi-student-was-shot-dead-in-a-robbery-incident-in-the-United-States-newsasia24

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি লামার ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা সহকারী ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চ্যানেল কেএফডিএম জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবিরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

আরও পড়ুন:

আবিরের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিউইয়র্কে বসবাসরত এক পরিবারের সদস্য তার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর তাকে জানান।

বিউমন্ট পুলিশ এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ, নিহত ২

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে বালুবাহী ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। নিহতদের মধ্যে একজন ট্রাকের চালক ও অপরজন বাসের যাত্রী বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ট্রাকের চালক ও যাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

Bus-collided-with-truck--2 -killed-newsaia24

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতক্ষীরা থেকে আসা বিআরটিসির একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলা এলাকায় পৌঁছালে সামনে থাকা একটি বালুবাহী ট্রাক হঠাৎ ব্রেক করে থেমে যায়।

এ সময় বাসটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সড়ক ডিভাইডারের ওপরে উঠে সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই চালকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান বাসের এক যাত্রী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুুুুুুন:

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

রাজশাহীতে জামায়াত নেতাসহ দুই কারাবন্দির মৃত্যু

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামায়াত নেতাসহ দুই কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

Two-prisoners-including-Jamaat-leaders-died-in-Rajshahi-newsasia24

মৃত দুই কারাবন্দি হলেন, রাজশাহীর দামকুড়া থানা জামায়াতের আমির আবদুল লতিফ (৬৬) ও নওগাঁর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল হক (৯০)। জামায়াত নেতা আবদুল লতিফকে গত ১৮ ডিসেম্বর দামকুড়া থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এরমধ্যে জামায়াত নেতা আবদুল লতিফ হাজতি হিসেবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দী ছিলেন। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আজিজুল নওগাঁ জেলা কারাগারে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুুন>>ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আবদুল জলিল বলেন, নওগাঁ কারাগার থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) আজিজুলকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়। সেদিনই আজিজুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার আবদুল লতিফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শনিবার সকালে তারা দুজনেই মারা গেছেন। এই দুই বন্দি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

আরও পড়ুন>>প্রেমিকের উপর অভিমান করে শরীরে আগুন দেয়া প্রেমিকার মৃত্যু

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মেদ বলেন, তারা শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এরমধ্যে লতিফের হার্ড ও কিডনির সমস্যা ছিল। আর আজিজুল হক বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।

আরও পড়ুন>>জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। বিকেলের দিকে মরদেহগুলো নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তারা হলেন, ওই এলাকার অটোরিকশাচালক জামাল উদ্দিন (৩২), তার মা আনোয়ারা বেগম (৬৫), দুই মেয়ে আনিকা আক্তার (৪), মোছা. ফাইজা (৬)।

Four-members-of-the-same-family-died-due-to-electrocution-in-Mymensingh's-Nandale-newsa2ia24

চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জামাল উদ্দিন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিজের বসতঘরে অটোরিকশা চার্জ দিতেন তিনি।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জামাল উদ্দিন ঘর থেকে অটোরিকশা বের করতে যান। অসাবধানতাবশত অটোরিকশাটি বিদ্যুতায়িত হয়ে জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তার চিৎকারে মেয়ে আনিকা ও ফাইজা দৌড়ে বাবার কাছে গেলে তারাও বিদ্যুতায়িত হন।

আরও পড়ুন:

এসময় জামাল উদ্দিনের মা তাদের উদ্ধারের জন্য গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

google-news-channel-newsasia24

Follow

আদালতে ক্ষমা চাইলেন নৌকার প্রার্থী বাদশা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: দোষ স্বীকার করে আদালতে কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা এমপি।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রতিনিধির মাধ্যমে ওই আসনের অনুসন্ধান কমিটির প্রধান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আসাফ উদ দৌলার কার্যালয়ে লিখিত জবাব পাঠিয়েছেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না মর্মে শোকজ নোটিশের জবাবে তিনি লিখিতভাবে ক্ষমা চান পাশাপাশি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এর আগে নির্বাচনী পথসভা চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘নৌকায় ভোট দিতেই হবে, বাদশাকে ভোট দিতে হবে না হলে সব সোজা করে দেব’। এছাড়াও নানা ভাষায় সাধারণ ভোটারদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। ফলে, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ব্যাহত, আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ নোটিশ দেন।

লিখিত জবাবে তিনি বলেছেন, অজ্ঞাতসারে বা অসাবধানতাবশত অথবা বাক্য উচ্চারণের প্রকাশভঙ্গিতে কোনো ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। তবে আগামীতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না মর্মে অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: 

উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা এমপি তার নির্বাচনী প্রচারনার একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যাহত হয়। পরে ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এর ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। গত শুক্রবার লিখিত জবার দেওয়ার দিন ধার্য ছিল।

google-news-channel-newsasia24

ফজরে ঘুম থেকে উঠতে পারছেন না? জেনে নিন ৭ টি কৌশল !

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মুসলিমদের জন্য ঈমান আনার পরেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর জামাতে নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

কেউ কেউ এটাকে ওয়াজিবও বলেছেন। হাদিস শরিফে জামাতের প্রতি বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে ।

এক হাদিসে এসেছে, ‘জামাতের নামাজ একাকি নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদা রাখে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৬৫০)

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মধ্যে এশা ও ফজরের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ দুই সময়ে মানুষ সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে।

ফলে জামাতদুটিতে যথেষ্ট অবহেলা ও গাফিলতি হয়ে থাকে। এজন্য হাদিসে এর প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই।

তিনি বললেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত রয়েছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে আসতে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫৪)

সুন্নত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত। হাদিসে এর প্রভূত ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, যা অন্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়নি। এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও তোমরা এই দুই রাকাত কখনো ত্যাগ করো না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)

আরও পড়ুন>> জুমআর দিনের ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো জেনে নিন

ফজরের সময় জাগ্রত হওয়ার কিছু কৌশল তুলে ধরার হলো,

আল্লাহকে চেনা: আ্লাহতে চিনতে ও জানতে হবে। আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি জানেন যে অঅপনি কার ইবাদত করছেন? তাহলে ফজরে ঘুম থেকে উঠবেনই।

আন্তরিকতার সাথে প্রতিজ্ঞা: ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার ব্যাপারে আন্তরিকার সাথে প্রতিজ্ঞা করতে হবে। য্ভোবেই হোক আমি জেগে উঠবোই। এমন ভাবে প্রতিজ্ঞা করতে হবে। তবে এটা ভাবা যাবে না যে, যদি উঠতে পারি তাহলে উঠবো, বরং এভাবে ভাবুন যে, আমি ফজরের সময় জেগে উঠবোই, ইনশাল্লাহ।

ওজু করা: ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওজু করার অনেক ফজিলত রয়েছে। পাক-পবিত্র হয়ে ঘুমালে অনেক অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ফেরেস্তারা আপনার কাছে আসতে পারবে। এছাড়াও মহানবী (সা.) ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওজু করার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন ওজু করবে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৮৪)

বিতরের নামাজের পর দোয়া: শেষ রাতে উঠার অভ্যাস না থাকলে বিতরের নামাজ আদায় না করে ঘুমাবেন না। আর বিতরের নামাজ আদায়ের সময় আল্লাহর কাছে অনুনয়-বিনয় করুন, যাতে তিনি আপনাকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে সাহায্য করেন।

আরও পড়ুন> মসজিদের ইমাম-খতিবদের সম্মানী তিনগুন বাড়ানোর আশ্বাস

কোরআন পাঠ করা: ঘমাতেযোওয়ার কোরঅন পাঠ করার অনেক সওয়াব রয়েছে। আল-কোরআন টাঠের মাধ্যমেই মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি অবশ্যই আপনাকে ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার দিকে নিবদ্ধ করবে। ঘমাতে যাওয়ার আগে সুরা সাজদাহ ও সুরা মূলক পড়ে ঘুমাবেন। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে বলেছেন, ঘমাতে যাাওয়ার আগে এ দুটি সুরা পড়ে ঘুমানোর অনেক ফজিলত রয়েছে।

ফজর নামাজের ফজিলত পুরস্কার: মুনাফেকীর হাত থেকে বেচে যাবেন, কিয়ামতের মাঠে আল্লাহর সামনে আলোকিত হয়ে দাঁড়ানো, সারাাদিন আল্লাহর হেফাজতে থাকা, অলসতা কেটে যাওয়া ইত্যাদি পুরস্কারের কথা স্মরন করুন। এটা আপনাকে ফজরে উঠতে সাহায্য করবে।

google-news-channel-newsasia24

বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের জাগিয়ে দেওয়ার জন্য বলা: পরিবারের অনান্য সদস্য কিংবা বন্ধুদের বলুন আপনাকে জাগিয়ে দিতে। একে অপরকে জাগিয়ে দেয়ার জন্য সাহায্য করুন। যদি আপনি আগে জেগে উঠেন, তাহলে অন্যদেরও জাগিয়ে তুলুন।

আরও পড়ুন:

ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর… ( পর্ব-২ )

ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর… ( পর্ব-৩ )

জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে জিহাদ হোসেন বাবু (১৮) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৯ডিসেম্বর) উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিলকপুর পূর্বপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জিহাদ হোসেন বাবু ওই এলাকার ছামিউল হক গেল্লার ছেলে।

A-young-man-died-due-to-electrocution-in-Jamalpur-newsaia24

জানা গেছে, জিহাদ নিজের ঘরে বিদ্যুতের কাজ করতে থাকে। হঠাৎ বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়। সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়।

জিহাদের মা জেসমিন বেগম জানান, জিহাদ বিদ্যুতের কাজ জানতো। মাঝে মাঝে সে বাড়ির বিদ্যুতের কাজ করতো। কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

আরও পড়ুন:

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, জিহাদ হোসেন বাবুর মৃত্যুর বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

আবুধাবির সর্ব প্রথম মন্দির উদ্বোধন করবেন ভারতের মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবু ধাবির সর্ব প্রথম মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সেই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংযুক্ত আরব আমিরাত মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবু ধাবি যাওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজা। হিন্দু ধর্মের পবিত্র দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে মন্দির উদ্বোধনের জন্য। সেদিন সকালে হবে মূর্তি প্রতিষ্ঠা। এর পর সন্ধ্যায় হবে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মোদি।

India's-Modi-will-inaugurate-the-first-temple-in-Abu-Dhabi-newsasia24

এর আগে, আবু ধাবিতে মন্দিরটির ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন মোদি। এবার তিনিই সেই মন্দিরের উদ্বোধনও করবেন।

আরও পড়ুন: 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ। মোট ৫৫ হাজার বর্গমিটার জমিতে তৈরি হয়েছে মন্দিরটি। এটিই সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্মিত প্রথম হিন্দু মন্দির। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মন্দিরটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

google-news-channel-newsasia24

কামরাঙ্গীরচরে শিশুকে ধর্ষণ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বাসার ছাদে খেলতে যাওয়া ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ওই শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসেক)।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এ ঘটনা ঘটে। যাদের বিরুদ্ধে শিশুটির পরিবার অভিযোগ করছে তারা দুজন কিশোর। তাদের একজনের বয়স ১৫ ও অপরজনের ১৪ বছর।

শিশুর বাবা মো. মনির হোসেন বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী কাজের জন্য বাইরে থাকি। পরে খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখি মেয়ের যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। পরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ছাদে খেলতে গেলে দুজন তাকে মুখ চেপে ধরে সিঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে আমরা তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।

আরও পড়ুন:

মনির হোসেন জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। তিনি একটি স্টিল মিলে কাজ করেন।

ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানাকে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ পৌঁছেছে লোহিত সাগরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের ঢেউ গিয়ে পৌঁছেছে লোহিত সাগরে। গাজায় বোমা হামলা শুরুর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে লোহিত সাগরে। কারণ বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন জানাতেই সেখানে হামলা শুরুর ঘোষণা দেয় হুথি। তাদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।

The-war-between-Hamas-and-Israel-has-reached-the-Red-Sea-newsasi24

ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯ নভেম্বর ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি জাহাজে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর ১২ ডিসেম্বর ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে একটি নরোয়েজিয়ান ট্যাঙ্কারে হামলা চালানো হয়। যদিও এর মালিকরা জানিয়েছেন জাহাজটি ইসরায়েলগামী ছিল না। লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে ফ্রান্সের যুদ্ধ জাহাজকেও।

আরও পড়ুুুুুুুুুুন>>কে এই ‌‌’খালিদা জারার’?

এরপর একে একে বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালানো হয়। এতে লোহিত সাগর কার্যত অচল হয়ে পড়ে। তবে এই সংকট দূর করার জন্য কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অঞ্চলটিতে উত্তেজনা কোনোভাবেই থামছে না।

এমন পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই কৌতূহল জেগেছে কারা এই হুথি। কেনইবা তারা লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।

হুথি মুভমেন্ট প্রথম শুরু হয়েছে উত্তর ইয়েমেন থেকে। সেখানের অধিকাংশ মানুষই জায়েদিজম অনুসরণ করেন, যা শিয়া মুসলিমদের একটি শাখা। কয়েক শতাব্দী ধরে জায়েদি ইমামরা ওই অঞ্চলে নিজেদের আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায়। ১৯১৮ সালে তারা এক সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।

আরও পড়ুন>>খালিদ জারার গ্রেফতার; ইসরায়েলে আরও অফিসার ও সৈন্যকে হত্যা

এই ইমামরা ১৯৬২ সাল পর্যন্ত শাসন ক্ষমতায় ছিলেন। সেসময় একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইয়েমেন আরব রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা হয়। পরে সুন্নি অধ্যুষিত এলাকার চেয়ে জায়েদি এলাকা তুলনামূলকভাবে গরিব হয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালের দিকে সৌদি ও ইয়েমেনের সরকার উত্তরাঞ্চলে সুন্নি মতবাদকে প্রোমট করে। এমন পরিস্থিতিতে জোয়েদি মুভমেন্টের আবির্ভাব হয়।

১৯৯০ দশকের দিকে জায়েদি ধর্মগুরু হুসেন আল-হুথি সৌদি সমর্থিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও এটি ২০০১ সালের দিকে বিভক্ত হয়ে যায়। কিন্তু তার অনুসারীরাই হুথি নামে পরিচিত হয়।

আরও পড়ুন>>জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করায় মালয়েশিয়ায় ১৭১ বাংলাদেশি আটক

ধীরে ধীরে হুথিদের বিরুদ্ধে সমর্থন বাড়তে থাকে, যা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে শুরু করে ইয়েমেনের সরকারের জন্য। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন হামলারও সমর্থন করেছিল ইয়েমেনের নেতারা, যা ভালোভাবে নেয়নি ইরাকের জনগণ। তাদের এই ক্ষোভকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেয় হুথি। আল-হুথি ইরানের ইসলামিক বিপ্লব ও লেবনানের হিজবুল্লাহ মুভমেন্টকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করেন। গোষ্ঠীটির মূল স্লোগান ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে নির্মূল।

ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে হুথি বিদ্রোহীদের প্রভাব বাড়তে থাকায় দেশটির সরকার দমনপীড়ন শুরু করে। ২০০৪ সালে সরকারি বাহিনী গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা হুসেন আল-হুথিকে হত্যা করে। হুথি বিদ্রোহীদের অস্ত্রের মূল উৎস কালোবাজার ও কিছু সামরিক বাহিনী।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক শাখা উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশ দখল করে। নাম দেওয়া হয় আনসার আল্লাহ বা আল্লাহর রক্ষক।

আরও পড়ুুুুুুুন>>সিরিয়ায় বিমান হামলায় সিনিয়র উপদেষ্টা সাইদ রাজি মৌসাভি নিহত

এরপর ২০১৪ সালে ইরানের সহায়তায় রাজধানী সানা দখলে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা, মূলত তারা পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বো মনসুর হাদী সৌদি আরবে পলিয়ে যান। ২০১৫ সালে তার অনুরোধে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে সৌদি আরব। কয়েক বছরে ২৫ হাজারের বেশি হামলা চালানো হয়। নিহত হয় ১৯ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক।

২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটিতে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। তারপর থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও চলতি বছরের শুরুর দিকে জাতিসংঘ জানায়, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানবিক সংকটের মুখোমুখি ইয়েমেন। তবে রাজধানী দখলে নেওয়ার পর থেকেই ইয়েমেনের বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নেয় তারা।

আরও পড়ুন>>বড়দিন পালনে সতর্ক করেছেন নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হুথি যোদ্ধারে মূল লক্ষ্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মৃত্যু। কিন্তু ইয়েমেনের বাইরে হামলা করার মতো তাদের তেমন কোনো সক্ষমতা নেই। তবে সম্প্রতি তারা ইসরায়েলে হামলা চালানোর মতো ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেয়েছে।

এই পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র খুব একটা উদ্বেগের না হলেও লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার বিষয়টি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের সহায়তা হুথিদেরকে একটি রাগট্যাগ সেনাবাহিনী থেকে একটি বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে। হুথিদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে ইরান।

বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় বেড়ে যেতে পারে পরিবহন খরচ। কারণ জাহাজগুলোকে আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপে যেতে হবে। এতে দেশে দেশে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়তে পারে।

google-news-channel-newsasia24

Follow