শিরোনাম

শিরোনাম

বিয়ের আগেই যৌতুকের বলি রিমা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিয়ের আগেই যৌতুকের বলি হয়েছেন রিমা আকতার (২০) নামের এক তরুণী। হবু শ্বশুর বাড়ি থেকে ক্রমাগত যৌতুকের দাবির প্রতিবাদে বিয়ের দুদিন আগে আত্মহত্যা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে উপজেলার হাইদগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিমা ওই এলাকার হীরা তালুকদার বাড়ির মনির আহমদের মেয়ে। এদিন রাতেই মেহেদী অনুষ্ঠান ছিলো রিমা আকতারের।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। হলুদ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে আত্মহত্যা করেন এই তরুণী। আত্মহত্যা করার পূর্বে লিখে গেছেন একটি চিরকুট। সেখানে লিখে গেছেন তার না বলা কথা।

সুইসাইড নোটে রিমা লিখে গেছেন- ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে। অনেক ভালোবেসেছো এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছো। আমি পারছি না এতো যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না, ভালো থেকো। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা আমি নিতে পারছি না। আমার পরিবারের কাছ থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না, আমি বাঁচতে পারতাম যদি আমি বেশি মান-সম্মানওয়ালা পরিবারে জন্মগ্রহণ না করতাম। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার পোস্টমর্টেম করে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে আমাকে কবরে পাঠিয়ো।’

চিরকুটের শেষে রিমা আরও লিখে গেছেন- ‘আর আমার পরিবারকে বলছি, মোরশেদকে তোমরা ছাড়বে না। ওকে ওর প্রাপ্য শাস্তি তোমরা দিবা।’

আরও পড়ুন>>নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ট্রাক, টোল আদায়কারী নিহত

রিমার পরিবারের সদস্যদের কাছে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হীরা গাজী তালুকদারের বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টায় বৈদ্যুতিক ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে ঝুলে পড়েন রিমা।

দীর্ঘক্ষণ রিমার ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্বজনরা তাকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পান রিমা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।

তৎক্ষণাৎ রশি কেটে তাকে নামিয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমা বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মারা যান। রিমা পটিয়া সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

আরও পড়ুুন>>সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

রিমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদ একজন ব্যাংকার। তিনি আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করেন। রিমা ও মোরশেদ দুজন একই এলাকার। তাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কও চলছিল।

রিমার ছোট চাচা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে একই এলাকার ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে রিমার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে আমরা উভয় পরিবার ছেলেমেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিকভাবেই শুক্রবার (২৮ জুন) বিয়ের তারিখ ঠিক করি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে হওয়ার কথা ছিল তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রিমা ও মোরশেদ মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলছিল। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে রশিতে ঝুলে পড়ে রিমা।’

আরও পড়ুন>>শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

রিমার বাবা মনির আহমদ ঘটনার জন্য হবু স্বামী মোরশেদকে দায়ী করে তার শাস্তি চেয়ে বলেন, ‘তার লোভের বলি হয়েছে আমার আদরের মেয়ে তারা বরযাত্রীর পরিবর্তে টাকা চেয়েছে, তাতেও আমরা রাজি হয়েছি।

তারা কোনো কিছু (যৌতুক) দাবি নেই বলে আসলেও বিয়ের কয়েকদিন আগ থেকে একের পর এক যৌতুক দাবি করে আসছিল। আমি তার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এবং সরকারের কাছে এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’

রিমার ভাই আজগর হোসেন বলেন, ‘বিয়েতে বরযাত্রী খাওয়া-দাওয়া বাবদ মোরশেদের পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

তারপরও আমার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ এবং বিয়ের খরচ হিসেবে আরও নগদ টাকা দাবি করে। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যৌতুক দাবি করার অপমান সইতে না পেরে আমার বোন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তারা যে এতটা যৌতুক লোভী হবে তা আমাদের জানা ছিল না। নিজের প্রাণ দিয়ে আমার বোন তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে গেছেন।’

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ট্রাক, টোল আদায়কারী নিহত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের তিস্তা টোলপ্লাজায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাসুদ রানা (৪০) নামে টোল আদায়কারী এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় টোলপ্লাজার টোল ঘর ভেঙে দুমরে-মুচরে যায়।

সোমবার (২৪ জুন) সকালে তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাসুদ রানা জামালপুর জেলার বকসিগঞ্জ থানার ফজল হকের ছেলে। তিনি ৩ বছর ধরে রেগনাম পেন্টা নামে টোলপ্লাজার মালিকের অধীনে কর্মরত ছিলেন।

টোলপ্লাজার লোকজন জানান, সকালের দিকে রংপুর থেকে লালমনিরহাটগামী একটি ১০ চাকার পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ঢুকে পড়ে।

এ সময় চাকায় পিষ্ট হয়ে টোল আদায়কারী মাসুদ রানা নামে এক শ্রমিকের শরীর হতে হাত-পা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় । পরে টোলপ্লাজায় ডিউটিরত পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকটিসহ ট্রাকের চালক ও সহকারীকে আটক করে।

খবর পেয়ে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

টোলপ্লাজার স্বত্বাধিকারী রেগনাম পেন্টা গ্রুপের ম্যানেজার শহিদ বলেন, মাসুদ গত তিন বছর থেকে আমাদের কোম্পানিতে সততার সাথে কাজ করে আসছে। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সেই সাথে ঘাতক ট্রাকচালকের কঠিন শাস্তি চাই।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকচালক ও সহকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

রাশিয়ায় গির্জা, পুলিশ পোস্টে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ১৫ পুলিশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের দাগেস্তানের দুটি শহরে একাধিক স্থানে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। একাধিক ‘সন্ত্রাসী হামলার’ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন পুলিশ, একজন অর্থোডক্স ধর্মযাজকসহ অনেকে নিহত হয়েছেন।

এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ছয়জন সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রবিবার ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এ তথ্য জানান দাগেস্তানের গভর্নর সের্গেই মেলিকভ।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় দাগেস্তান অঞ্চলের দেরবেন্ত ও মাখাচকালা শহরে দুটি অর্থোডক্স গির্জা, একটি সিনাগগ এবং পুলিশের একটি তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বরাতে জানিয়েছে যে হামলাকারীদের মধ্যে মধ্য দাগেস্তানের সেরগোকালা জেলা প্রধানের দুই ছেলে ছিল। তারা তদন্তকারীদের হাতে আটক হয়েছে।

আরও পড়ুন:মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত

তবে এই হামলার পেছনে কোন সন্ত্রাসী সংগঠন জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করছে রুশ কর্তৃপক্ষ। দাগেস্তানের গভর্নর জানান, “আমরা বুঝতে পারি যে এই সন্ত্রাসী হামলার পিছনে কারা রয়েছে এবং তারা কী লক্ষ্য নিয়ে হামলা করেছে।”

তবে যদিও দায়ী হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করেননি সের্গেই মেলিকভ। এমনকি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছুই জানাননি তিনি। এছাড়া ভয়াবহ এই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোন সংগঠনই দায় স্বীকার করেনি।

মেলিকভ জানান, হামলার সময় ছয়জন বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পাঁচজন বন্দুকধারীর নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। দেশটির জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মেলিকভ জানান, নিহতদের মধ্যে পুলিশ অফিসার ছাড়াও বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। যার মধ্যে একজন অর্থোডক্স ধর্মযাজক রয়েছেন যিনি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেরবেন্তে কাজ করেছিলেন।

রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুরোহিত নিকোলাই কোটেলনিকভকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। এছাড়া ভয়াবহ এই হামলায় নিহতদের স্মরণে ২৪-২৬ জুন রাশিয়ায় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর পাশে একটি কনসার্ট হলে হামলায় ১৪৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনার মাস তিনেক পর দাগেস্তানে এসব হামলার ঘটনা ঘটল। ইসলামিক স্টেটস (আইএস) ওই হামলা চালিয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সেটা ছিল রাশিয়ার ভূখণ্ডে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা।

google-news-channel-newsasia24

মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত

ফাহিম শাওন: কুষ্টিয়ার খোকসায় মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনটির ১১ জন সদস্য।

শুক্রবার (২১ জুন) মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির উপদেষ্টা সম্রাট হোসাইন এর উদ্যোগে খোকসার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে একশটি নিম গাছের চারা রোপন করা হয়। বৃক্ষরোপন কর্মসূচিটির পরিচালনা করেন সংগঠনটির সদস্য চয়ন, নাসিম ও রাব্বী।

উপদেষ্টা সম্রাট হোসাইন বলেন, মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে আমরা বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের জাগলবা, মুকশিদপুর, চাঁদট, বনগ্রামসহ বেতবাড়ীয়ার বিভিন্ন স্থানে একশতটি নিম গাছের চারা রোপন করেছি। এতে পরিবেশ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

উল্লেখিত, খোকসার প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রামীণ রাস্তার দুপাশে একশতটি নিম গাছের চারা ও মসজিদ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলজ গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে।

আরও পড়ুন:

উক্ত কর্মসূচির পৃষ্ট পোষকতায় পল্লী গ্রুপ, খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকা, সোহান কোচিং কুষ্টিয়া, মধু ফ্যাশন কুমারখালী ও খোকসার মা মাটি মানুষেরা। মিডিয়া পার্টনার ছিলো সাপ্তাহিক তিলোওমা, পাক্ষিক স্বাস্থ্যসেবা ও কুষ্টিয়ার সময়।

google-news-channel-newsasia24

সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়াতে এশিয়ান টেলিভিশনের র্স্টাফ রিপোর্টার হাসিবুর রহমান রিজুর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ।

আজ রবিবার (২৩ জুন) সকালে কুষ্টিয়া- রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসা বাসস্ট্যান্ডে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুমারখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি লিপু খন্দকার, সাধারন সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ, ভোরের কাগজের সাঈদুল ইসলাম প্রবীন, এশিয়ান টিভির খোকসা প্রতিনিধি পুলক সরকার, জবাবদিহির মাল্টিমিডিয়া কুষ্টিয়া প্রতিনিধি নাজমুল হাসানসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ৷

গত ২০ জুন কুষ্টিয়ার হরিপুরে সাংবাদিক রিজুর উপর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে রিজু ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় কুষ্টিয়া থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাধুখালী গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল খালেক (২৫) নামের এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে।

আজ রবিবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে শৈলকুপার উপজেলার সাধুখালী গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত আবুল খালেক কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা । তিনি ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত অফিসে লাইন ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল খালেক তার সহকর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করছিলেন। এ সময় বিদ্যুৎ আহিত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জিএম ওমর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন জানান, আহত যুবককে শৈলকুপা হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ; ট্রাকে ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সুযোগ বুঝে পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এছাড়া টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক মহাসড়কেও সিএনজি ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলেঙ্গা বাস স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিকে, বাড়তি ভাড়ার চাপ এবং যানবাহন স্বল্পতার কারণে অনেক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যান, খোলা ছাদের ট্রাক ও বাসের ছাদে করে বাড়ি যাচ্ছেন। মহাসড়কের নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

আশেকপুর বাইপাস এলাকায় বাসের অপেক্ষায় ছিলেন সিরাজগঞ্জের ইমরুল হাসান মিয়া। তিনি বলেন, ১০০ টাকার ভাড়া ১৮০-২০০ নিচ্ছে। দেখার কেউ নেই। যাত্রীর চাপ থাকায় পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়ি ফেরা, তাই নিরুপায় হয়ে সবার বেশি ভাড়া দিয়েই যাচ্ছে।’

পাবনাগামী শুভ আহমেদ বলেন, ‘অফিস ছুটি হয়েছে। ১০দিনের ছুটি পেয়েছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। যাত্রীর অনেক চাপ, অনেকেই ট্রাকে যাচ্ছেন। বাসের চেয়ে ট্রাকের ভাড়া একটু কম। আগের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।’

উত্তরবঙ্গগামী পিক-আপ চালক কাদের মোল্লা বলেন, ‘চন্দ্রা থেকে যাত্রী নিয়ে বগুড়া পর্যন্ত যাব। বাস ভাড়া দ্বিগুণ নিচ্ছে। সেজন্য ঘরমুখো মানুষের কথা চিন্তা করে কম টাকায় তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি।’

 

google-news-channel-newsasia24

গ্যাস বাবুর ভাষ্যে ফাঁসছেন অনেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর দেওয়া তথ্যে অনেকে ফেঁসে যাচ্ছেন।

পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছে। ঘটনার অন্যতম নায়ক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার আত্মীয় গ্যাস বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকায় কামরুজ্জামানের গুলশানের বাসায় কয়েক দফা বৈঠক হয়েছিল।

যতই দিন যাচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, চোরাচালান এবং রাজনৈতিক কারণে আনারকে হত্যা করা হয়েছে।

কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে ব্যাপারেও অনেকটা নিশ্চিত পুলিশ। ঝিনাইদহ ও যশোরের ছয়জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

আনারকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিস্তৃত বিবরণ দিয়েছে কসাই সিয়াম। তার ভাষ্য শুনে কলকাতা পুলিশ হতবাক। কলকাতা পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে, স্যুয়ারেজ লাইন থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসখন্ড মানুষেরই। দুয়েক দিনের মধ্যে আনারের মেয়ে ডরিনের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুন>>ঠিকানাবিহীন ১৮ হাজারের বেশি পরিবারের আজ ঈদের দিন

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ১২ মে আনার কলকাতায় যাওয়ার পরের দিনই তাকে ব্যবসার কথা বলে নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় হত্যা-পরিকল্পনাকারীরা।

তিনি কলকাতায় যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনারের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। চিহ্নিত ফ্ল্যাটে প্রবেশের ৩০ মিনিটের মাথায় তাকে হত্যা করা হয়।

এর আগে মিনিট দশেক চোরাচালানসহ নানা বিষয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে আনারের তর্কাতর্কি হয়, অশালীন বাক্য বিনিময়ও হয়।

নাম প্রকাশ না করে ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “চোরাচালান ও স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে আনারকে হত্যা করা হয়েছে। এক বছর ধরে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা, ঝিনাইদহ ও যশোরে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কারা হত্যা করবে তার তালিকাও তৈরি করে পরিকল্পনাকারীরা। ওইসব বৈঠকে আখতারুজ্জামানসহ ছয়জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন>>নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

তাদের নাম জানা গেছে। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর মোবাইলে ফোনে সব তথ্য পাওয়া গেছে। বাবু জিজ্ঞাসাবাদেও তথ্য দিয়ে চলেছেন। তারা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেছেন। ‘রাজনৈতিক কাঁটা’ দূর হবে এ আশায় এমপিকে হত্যা করা হয়।”

ওই কর্মকর্তা জানান, ওইসব প্রভাবশালীকে আমাদের জালে আনা হয়েছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যা এবং লাশ গুমের পর ১৫ মে বাংলাদেশে ফেরেন শিমুল ভূঁইয়া।

আখতারুজ্জামান শাহীন শিমুলকে জানান, বাবুর কাছ থেকে টাকা নাও। ১৬ মে বাবুর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন শিমুল। ১৭ মে তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গাড়ির ভেতরে সাক্ষাৎ করেন।

বাবু বলেন, ২৩ মে টাকা দেবেন। কিন্তু তার আগেই হত্যার কথা চাউর হয়ে গেলে তারা আত্মগোপনে চলে যান।

পুলিশ সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, কালীগঞ্জ, শৈলকুপার সীমান্ত এলাকার চোরাচালানসহ সব কারবারের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলেন যশোরের আলোচিত এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।

google-news-channel-newsasia24

তার আধিপত্য বিস্তারে বাধা হয়ে দাঁড়ান এমপি আনার। ফলে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকার একজন হীরা ব্যবসায়ী ও একজন ডেভেলপারও হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নামও জানা গেছে। গ্যাস বাবু বেশ কয়েকজনের নাম বলেছেন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তিনি তার দুটি আইফোন ভেঙে ফেলেন।

পরে মোবাইলগুলো হারিয়ে গেছে বলে ঝিনাইদহ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সন্দেহ দেখা দিলে সদর থানা-পুলিশ ঢাকার ডিবি পুলিশকে জানায়।

আনার হত্যার ঘটনার তদন্ত শেষে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যের কাছাকাছি এসে গেছি।

মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা আপনাদের কাছে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবানবন্দি শুনেছি। মাংসখন্ডগুলো কোথায় তারা রেখেছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

আমাদের গোয়েন্দারা ভারতে গিয়েছিল। তারা যে খন্ড গুলো পেয়েছেন, সেগুলো উদ্ধার করেছেন। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবে না এগুলো আনারের মরদেহের অংশ কি না।’

রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যায় কেন, এক্ষেত্রে কী করবেন?

লিমা পারভীন: রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ক্রমশ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে হিমোগ্লোবিন আসলে কী?

রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পরিবাহিত হয়। রক্তের তিনটি কণিকার মধ্যে লোহিত কণিকায় থাকে বিশেষ ধরনের আয়রন, যাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিন। এর প্রধান কাজ হলো ধমনী থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন সরবরাহ করা।

হিমোগ্লোবিনের অভাব শরীরের একটি সাধারণ সমস্যা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ক্রমশ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।

হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কেন হয়?
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ও খনিজের অভাব হলেই দেখা দেয় হিমোগ্লোবিন স্বল্পতা। ছোট-বড় সবার শরীরেই হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

এর লক্ষণ কী কী?
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। মূলত আয়রনের অভাবে এমনটি ঘটে। রক্তস্বল্পতার কারণে অনেক সময় অবসাদ গ্রাস করে। অনেকের আবার হৃদস্পন্দনের গতিও বেড়ে যায়।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক নারীই রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভোগেন। তবে পুষ্টির অভাবে যে কারও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল করলে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কী খেতে হবে?

শাক-সবজি: রক্তে আয়রনের ঘাটতি পূরণে রোজের খাদ্যতালিকায় পালং শাক, ব্রোকলি, বিটরুট, পনির, ডিম, আপেল, তরমুজ, বেদানা, কুমড়ার বীজ, কাঠবাদাম, অ্যাপ্রিকট ও কিশমিশ রাখতে পারেন।

ভিটামিন সি: ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। এজন্য ভিটামিন সি আছে এমন খাবার ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে। কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, আঙুর ও টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিড এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর মাত্রায় ফলিক অ্যাসিড থাকে। তাই বেশি শাক-সবজি ডায়েটে রাখুন।

ঠিকানাবিহীন ১৮ হাজারের বেশি পরিবারের আজ ঈদের দিন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এক সময় যাদের থাকার মতো জায়গা বলতে ছিলো অস্থায়ী জোড়াতালির ঘর, আজ তাদের নিজের ভূমি, নিজের ঘর, নিজের একটি ঠিকানা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে যাদের অজানা আতঙ্কে দিন কাটতো, তারা এখন নিশ্চিন্তে আশ্রয়ণের বাড়িতে সমৃদ্ধ আগামীর স্বপ্ন দেখে।

এমন একজন মিনজু বেগম। বয়স ১৮। দেশব‌্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আওয়ামী লীগ সরকার ঘর দেওয়ার যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, সেখানে তিনিও ভোলার চরফ‌্যাশন এলাকার চর কচ্ছপিয়াতে একটি ঘর পেয়েছেন। সেখানে স্বামী, শাশুড়ি আর সন্তানদের নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন তিনি।

নিকট অতীতের কষ্টের দিনের কথা বলতে গিয়ে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মিনজু। জানান, ভাঙা একটি ঘরে পরিবারের অনেক মানুষ নিয়ে বাস করতেন। ছোট্ট ঘরে ঠিকমতো থাকা যেতো না। তার ওপর পুরোনো টিন আর পলিথিনের জোড়াতালির ঘর ঝড়-বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়তেন।

সেই তুলনায় এখন অনেক ভালো আছেন জানিয়ে এজন‌্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন‌্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। নিমজু বলেন, এটা তাদের কাছে শুধু আশ্রয় নয়, একটি ঠিকানা নয়, এটা সুন্দর ভবিষ‌্যতের জন‌্য একটি উপহার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ পরিকল্পনার আওতায় মঙ্গলবার (১১ জুন) সারাদেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করবেন।

আরও পড়ুন>>নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

সকাল ১১টায় নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি তিনি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত ঘোষণা করবেন।

চরফ‌্যাশন উপজেলার কচ্ছপিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেকজন সুবিধাভোগী রাজিয়া বেগম। চার সন্তান আর স্বামী নিয়ে যে কষ্টের যাত্রা এতদিন অতিবাহিত করে এসেছেন, তার পরিসমাপ্তি ঘটেছে আশ্রয়ণে ঘর পাওয়ার মাধ‌্যমে।

তিনি বলেন, আগে যেখানে থাকতাম সেটি নিজের ছিলো না। কোনো রকমে একটি ঘর তুলে সেখানে দিন কাটিয়েছি। খুব খারাপ পরিবেশ ছিলো। এখন ভালো পরিবেশে স্বপ্ন দেখি সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করার।

আরও পড়ুন>>খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থককে হত্যা

ভোলা জেলা প্রশাসক ( ডিসি) আরিফুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর প্রদান করবেন। ইতিমধ্যে ভোলা সদর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিঃস্ব, অসহায় মানুষকে যাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুর্নবাসন করা যায়, একই সাথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের যে মূল উদ্দেশ্য, আমাদের সামাজিক সুরক্ষার যে মূল উদ্দেশ্য, সেগুলো কিন্তু এই প্রকল্পের যারা উপকার ভোগে রয়েছেন, তাদেরকে সরকার নিশ্চিত করছে।

বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি যেখানে করা হয়েছে, সেখানে কিন্তু একটি সুন্দর মানসম্পন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের যে সন্তান রয়েছে, সেসব সন্তান যাতে আগামীর উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য যাতে যথাযথভাবে শিক্ষা পায় সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২টি, কক্সবাজারে ২৬১টি এবং ভোলা জেলায় ১ হাজার ২৩৪টি বাড়ি হস্তান্তর করবেন। নতুন ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারাদেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৮টি এবং উপজেলা হবে ৪৬৪টি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

আরও পড়ুন>>পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জেলায় এর আগে গৃহ ও ভূমিহীনদের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৬৬৬টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আরও ২৬১টি বাড়ি হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ২৬১টি বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন।

শাহিন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প জেলার গৃহ ও ভূমিহীন মানুষকে শুধু আশ্রয়ই দেয় না, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম ধাপে মোট ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। মঙ্গলবার আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছিলেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন (একটি পরিবারে ৫ জন ব্যক্তি হিসাবে)।

প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত সারাদেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।