শিরোনাম

শিরোনাম

গোপালগঞ্জে এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলা; কেন্দ্রীয় নেতা নিহতসহ আহত ৩৫

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সংগঠনটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার (৪৫) নিহত হয়েছেন।

এ সময় অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলাদলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ আরও অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভা শেষে এস এম জিলানীর বাড়ি টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে ঘোনাপাড়া মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, তিনজনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হাসপাতাল ও চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:

আহত অন্যান্যদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত শওকত আলী দিদার ঢাকায় ক্রিকেট আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন বলে জানা গেছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

ফের বিপদের মুখে নোয়াখালী; আবারও বন্যার আশঙ্কা

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ বন্যার পানি এখনো পুরোপুরি নামেনি। নীচু এলাকায় এখনো রয়েছে পানি। ঘর বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় বানভাসীরা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। রাস্তাঘাটে পানি থাকায় স্কুলে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।

বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় নোয়াখালীতে এই জলাবদ্ধতা যেন স্থায়ী রুপ নিচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই জলাবদ্ধতার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে খাদ্য ও কর্ম সংকটে। এদিকে বন্যার রেশ না কাটতেই জেলাতে আবার দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। সাথে সাথে বয়ে যাচ্ছে বাতাস। বন্যার কবলে পড়া মানুষের কপালে দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ।

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে লগুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এত সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত মেনে চলতে বলা হয়েছে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।

সুবর্নচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের কৃষক সিরাজ মিয়া জানান, বন্যার পানিতে আমন ধানের চারা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। পানি একটু কমাতে আবার চারা রোপণ করেছিলাম। হঠাৎ আবার পানি বেড়ে গিয়ে সেটাও তলিয়ে যায়। তৃতীয় বারের মতো আবার চারা রোপণের জন্য জমিতে চাষ দিয়েছি। এখন আবার আবহাওয়ায় দেখা দিয়েছে পরিবর্তন নতুন করে বৃষ্টির সাথে হচ্ছে বাতাস। ধান চাষ না করলে আমাদের বড় ধরণের লোকসান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:

চরবাটা ইউনিয়নের কৃষক জহির বলেন, ৯ একর জায়গার উপর মাছের ঘের করেছিলাম। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিটি ঘেরের মাছ ভেসে যায়। বিশাল লোকসান হয়েছে। অল্প কিছু রয়েছে, তবে তা ক্ষতি পুুষিয়ে নেওয়ার মতো নয়। নতুন করে কিছু মাছের পোনা ছেড়েছিলাম। যদি আবার বন্যা হয় পথে বসে যাবো।

একই ইউনিয়নের কল্পনা রানী দাস নামে একজন বলেন, বাড়ির পাশে পুকুরের চারিপাশে সবজির চাষ করেছিলাম। পুকুরের মাছও ভেসে গেছে, সাথে সবজিরও ক্ষতি হয়েছে। আমার স্বামী নতুন করে আবার মাছের পোনা ছেড়েছেন, সাথে নতুন করে সবজির চারা রোপণ করেছি। আবার যদি বন্যার কবলে পড়ি, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জেলায় ৩৪৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ৩৫ হাজার ৪৪১ জন বানভাসি এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো রয়েছে। ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে।

নতুন করে প্লাবন দেখা দিলে তা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দু’হাতে দুই পিস্তল নিয়ে হামলা ও গুলি চালানো সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তার নাম জহিরুল ইসলাম রুবেল (২৬)।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আরও পড়ুন:

র‍্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি চালান জহিরুল ইসলাম রুবেল। তার দুই হাতে দুটি অস্ত্র নিয়ে গুলি চালানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

google-news-channel-newsasia24

সাভারে অস্ট্রোলিয়ান নারীর মরদেহ উদ্ধার

সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রোলিয়ান নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়নের মনোদিয়া চৌরাপাড়া এলাকার বাড়িটি থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। মারা যাওয়া রেহানা পারভীন (৩৭) গত দুই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবার।

এর আগে, গত ৩ জুলাই তার মা আইরিন আক্তার চার জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অপহরণের লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- নিহতের স্বামী আওলাদ হোসেন (৪৭), তিনি একই গ্রামের মৃত আ. মান্নানের ছেলে। একই থানার ছোট রাজপাড়া গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেন (৬৪), তিনি নিহতের চাচা শ্বশুর। নিহতের ননদ পাপিয়া আক্তার ( ৩৬) ও মাকসুদা নামে অপর এক নারী। এরমধ্যে আমজাদ হোসেন ও পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রেহানা পারভীন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাতিল গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্বামী আওলাদ হোসেন ও পাঁচ ছেলে মেয়ে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ জুন ছেলেসহ বাংলাদেশে আসেন রেহানা পারভীন। একদিন পর তিনি বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যান। গত ৩ জুলাই বিকেলে মায়ের সঙ্গে রেহানা পরভীনের ফোনে কথা হয়। এরপর থেকেই তার সঙ্গে পরিবারের কারও যোগাযোগ হয়নি।

এমনকি তিনি অস্ট্রেলিয়াতেও ফিরে যাননি। দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে রেহানা পরভীনের পরিবার জানতে পারেন, তার স্বামী গত ১৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন। রেহানা পারভীনের সন্ধান পেতে থানায় অভিযোগ করেন তার মা।

আরও পড়ুন:

পুলিশ আরও জানায়, গত ৩ জুলাই নবাবগঞ্জ থানায় পাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে রেহানা পারভীনের আশুলিয়ার স্বরলতা হাউজিংয়ে একটি বাড়ি ছিল। প্রাথমিকভাবে পাপিয়া ও আমজাদকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে রেহানা পরভীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

যে কারণে এ হত্যাকাণ্ড
ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) মো. আশরাফুল আলম বলেন, জুন মাসের শেষ দিকে রেহানা পারভীন দেশে আসেন। এর কয়েকদিন পর দেশে আসেন তার স্বামী আওলাদ হোসেন। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।

প্রায় ২০ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়াতে সংসার তাদের। সংসারে রয়েছে পাঁচ সন্তান। তাদের বেশিরভাগ সম্পত্তি রয়েছে বাংলাদেশে। সেসব দেখভাল করতে রেহানা পারভীন মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশে আসেন। সম্পত্তির অধিকাংশের মালিকানাই রেহানা পরভীনের নামে। এরই জেরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে তুলে নিয়ে হত্যার পর আশুলিয়ার চৌরাবাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা হয়।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হওয়ায় দেশে আসার সময়ই ফিরে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় জানিয়ে আসতে হয়। তবে, সেই সময়েও তিনি না ফেরায় দূতাবাস পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করে। তবে, এরপরও রেহানা বা তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:

১৩ জুলাই পরিবার জানতে পারে, রেহানার স্বামী অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে একটি সাধারণ ডায়রি ও পরে মামলা করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় রেহানা পারভীনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

যা বলছে পরিবার
রেহানা পারভীন হত্যার ঘটনায় শোক নেমে এসেছে পরিবারটিতে। তার মা আইরিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্টে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। তারপর তাকে অষ্ট্রেলিয়া পাঠাই। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পায় সে। আওলাদ আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করেছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় থাকার সময় আমার মেয়ে পরিশ্রম করে সহায় সম্পত্তি করেছিল। সেই সম্পত্তির জন্য আওলাদ ও তার পরিবারের সবাই আমার মেয়েকে কৌশলে হত্যার পর লাশ গুম করে। দুই মাস পর পুলিশ আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।

নিহতের ভাই রবিন বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে স্বামী ও তার পরিবার। আমি সব খুনির ফাঁসি চাই।

google-news-channel-newsasia24

ভারতেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: পালালেন ‌‍”রাজ্যপাল”

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে মণিপুর ছেড়ে চলে গেছেন রাজ্যটির গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য। তিনি মূলত আসামের রাজ্যপাল, অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মণিপুরের রাজ্যপালের দপ্তরও চালাচ্ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সেখানে পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা চলাচ্ছিলেন লক্ষ্মণ প্রসাদ। কিন্তু চেষ্টা নিষ্ফল হওয়ায় রাজধানী ইম্ফল ছেড়ে আসামের গুয়াহাটিতে গেছেন রাজ্যপাল।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ায় রাজ্য সরকারের ডিজিপি এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল।

এই দাবি পূরণে শিক্ষার্থীদের দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর ছাত্র এবং তাদের সমর্থকরা রাজভবন ঘেরাও করতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী আহত হয়।

আরও পড়ুন:

আর সেই ঘটনার একদিন পর বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) মণিপুরের গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য আসামের গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল ত্যাগ করেন।

সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক স্তরের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করেছে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলসের দু’টি ব্যাটালিয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর রাজ্যটিতে দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্যদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় বাবার সাথে যেয়ে ছেলে নিখোঁজ

ফাহিম শাওনঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় সাব্বির মোল্লা নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। শিশুটির বয়স ৮ বছর। তার বাড়ী উপজেলার ভবানীপুর পশ্চিম পাড়ায়।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ভবানীপুর ঘাটে এ ঘটনাটি ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ সাব্বির মোল্লার বাবা চুন্নু মোল্লার সাথে ভবানীপুর ঘাটে গড়াই নদীতে গরু গোছল করাতে নিয়ে যায়। বাবার সাথে পিছন পিছন যেতে থাকে শিশুটি। বাবা গরু নিয়ে নদীতে নেমে গেলে শিশুটি নদীর কিনারে খেলা করতে থাকে।

এক পর্যায় তার বাবা নদী থেকে উঠে এসে ছেলে সাব্বিরকে দেখতে না পেয়ে ভাবে সে হয়ত বাড়ি চলে গেছে। কিন্তু বাড়ীতে এসে জানতে পারেন সাব্বির বাড়ী ফেরে নি।

এ সময় আশেপাশে অনেক খোঁজাখুজি করেন তারা। না পেয়ে মসজিদে এবং মাইক দিয়ে সারা গ্রামে সাব্বিরকে না পাওয়ার খবরটি জানিয়ে দেয়া হয়।

এক পর্যায় তারা নদীতে নেমে সাব্বিরকে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ী ফেরেন সবাই।

সাব্বির এলাকার বামনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র।

sabbir molla newsasia24 school
বামনপাড়া স্কুলে নিখোঁজ শিশু সাব্বির মোল্লা। ছবি: নিউজ এশিয়া২৪

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, সাব্বির আমাদের স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র। সে খুব মেধাবী। আমি দুপুরে একটি বিশেষ কাজে নদীর ঘাটে যাই। এসময় সাব্বিরকে তার বাবার সাথে নদীর ঘাটে যেতে দেখি। পরে বাড়ি এসে শুনি সাব্বিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:

এ ব্যাপারে খোকসা ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় তাদের কাছ থেকে কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি।

google-news-channel-newsasia24

কবর থেকে আন্দোলনে নিহত শ্রাবণ ও সাইদের মরদেহ উত্তোলন

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ ও সাইদুর রহমান সাইদের মরদেহ দাফনের ৩৭ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের কালীরহাট গ্রাম থেকে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তে জন্য ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুর রহমান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী এলাকা থেকে সাইদুল ইসলাম সাঈদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:

এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ ও ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলামিন উপস্থিত ছিলেন। নিহত সাইদ ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

গত ১৬ আগস্ট মহিপালে নিহত শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

নিহত শ্রাবণ ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের নেছার আহমেদের একমাত্র ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ফের দাফন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সাগরকে কুপিয়েছে কালা মাসুদ বাহিনী

বরিশাল প্রতিনিধি: সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সাগর মৃধাকে (২৩) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল নগরীর কলেজ এভিনিউ পুকুর পাড়ে তার ওপর আক্রমণ করা হয়।

আহত সাগর মৃধাকে বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার জন্য হত্যা, ডাকাতিসহ বহু মামলার আসামি কালা মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিউজ এশিয়া২৪কে জানান, সাগর মৃধা ও তার দুই বন্ধু বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কালা মাসুদসহ ২০-২৫ জন সাগরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেস। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কালা মাসুদ বাহিনী পালিয়ে যায়।

থানা সূত্রে জানা যায়, কালা মাসুদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে আছে। কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিএম কলেজের সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন বলেন, কী কারণে সাগরকে কোপানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তবে সন্ত্রাসী কালা মাসুদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ ২১টি মামলা রয়েছে। তারপরও এরকম সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি কালা মাসুদকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোপানোর ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কালা মাসুদকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

google-news-channel-newsasia24

১ অক্টোবর থেকে বন্ধ হচ্ছে পলিব্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো পলিথিন শপিং ব্যাগ ও পলিপ্রোপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না।

বিকল্প হিসেবে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের কেনার জন্য রাখা হবে।

আজ সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ১ অক্টোবরে শপিং ব্যাগে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ইএসডিওর সঙ্গে মিলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি/পাট/বস্ত্রের ব্যাগের উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করবে। মেলায় সুপার শপের কর্তৃপক্ষ এবং উৎপাদনকারীরা নিজেদের চাহিদা এবং সরবরাহার বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সুপার শপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

পিলখানার হত্যাকান্ডের আসল ঘটনা বললেন মঈন ইউ আহমেদ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহে ওই সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেক সাবেক সেনা কর্মকর্তা পিলখানার বিদ্রোহ নিয়ে কথা বলেছেন।

অনেকে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের নাম বলেছেন। এবার এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন সেসময়কার সেনাবাহিনী প্রধান মইন ইউ আহমেদ।

আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র প্রধানতম চরিত্র মঈন ইউ আহমেদ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেন। ওই ঘটনায় এবারই প্রথম কথা বললেন বিদেশে অবস্থানরত মঈন।

তিনি বলেন, সেদিন (২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৭টায় সেনাসদরের প্রতিদিনের মত কাজ শুরু হয়। সকালে আমি সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

আরও পড়ুন:

এমন সময় সিজিএস লেফটন্যান্ট জেনারেল সিনহা আমার কাছে এসে বলেন, আমাদের কাছে কিছু মর্টার আছে, যা সেনাবাহিনী ব্যবহার করে না। এর গুদামজাত এবং রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের জন্য কঠিন। বিডিআর এগুলো ব্যবহার করে। এগুলো তারা নিয়ে গেলে আমাদের উপকার হবে।

‘এরপর আমি বিডিআরের ডিজির জেনারেল শাকিলের সঙ্গে কথা বললে তিনি এগুলো নিতে রাজি হন। আমার বিশ্বাস তিনি তখন পর্যন্ত এই বিদ্রোহ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এরপর আমি আর সিজিএস মিটিংয়ের জন্য যাই। ৯টায় সেই মিটিং শুরু হয়। আমরা সবাই তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ি সেখানে।

সাড়ে ৯টায় তার দিকে আমার প্রিন্সিপল সেক্রেটারি কর্নেল ফিরোজ রুমে প্রবেশ করেন এবং আমাকে বলেন, পিলখানায় গণ্ডগোল হচ্ছে। আপনার দিক-নির্দেশনা প্রয়োজন। কিছুক্ষণ পর আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের ফোন ব্যস্ত পাই। ’

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সামরিক গোয়েন্দারা তখন আমাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আমি তখন সময় বাঁচাতে কারও নির্দেশ ছাড়া সেনাবাহিনীর আরেকটি ব্রিগেডকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেই। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে যার নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন রেস্টোর অর্ডার’।

তিনি বলেন, ৯টা ৪৭ মিনিটে ডিজি বিডিআরকে (শাকিল) ফোনে পাওয়া যায়। তিনি আমাকে বলেন, ‘দরবার চলাকালীন দুইজন সশস্ত্র সৈনিক প্রবেশ করে একজন আমার পেছনে দাঁড়ায়। এরপরই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসে। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে থাকা সৈনিকরা দরবার হল থেকে বের হয়ে যায়।

এগুলো সবই মনে হয় প্ল্যান করা এবং প্ল্যান অনুযায়ী সব চলছে। আমি সেক্টর কমান্ডার এবং ব্যাটালিয়ান কমান্ডারদের পাঠিয়েছি তাদের ফেরত আনার জন্য। ’ তখন আমি তাকে অপারেশনের কথা জানাই।

মইন ইউ আহমেদ আরও বলেন, ৯টা ৫৪ মিনিটে আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই। এর মধ্যেই তিনি বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গেছিলেন।

এ সময় আমি তাকে অপারেশনের কথা জানালে তিনি জানতে চান, কতক্ষণ সময় লাগবে এই ব্রিগেডকে তৈরি করতে? আমি সময় জানিয়ে ব্রিগেডকে পিলখানায় যাওয়ার জন্য তার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় লাগলেও ৪৬ ব্রিগেড এক ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা শুরু করে।

‘এদিকে বিদ্রোহীরা বিডিআর গেটগুলোর সামনে আক্রমণ প্রতিহত করতে রকেট লাঞ্চার, মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্র মোতায়েন করে। বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম গাড়িটি মেইন গেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা একটি পিকআপ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। এতে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসের ধারণা অনুযায়ী, সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই ডিজি, ডিডিজি, কর্নেল আনিস, কর্নেল কায়সারসহ অনেক অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আমাদের টিম পৌঁছায় ১১টার পরে। ’

বিদ্রোহের সময় টিভি চ্যানেলে লাইভ কাভারেজের সমালোচনা করে তৎকালীন সেনাপ্রধান বলেন, ঘটনার সময়ে গণমাধ্যমে চলা লাইভ কাভারেজ বিডিআর বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিতে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।

সাবেক সেনাপ্রধান জানান, ক্যাপ্টেন শফিক তার নেতৃত্বে ৩৫৫ জন র‍্যাব সদস্য নিয়ে পিলখানায় পৌঁছান ১০টার আগেই। এ সময় তিনি তার ঊর্ধতন কর্মকর্তার কাছে পিলখানায় প্রবেশের অনুমতি চাইলেও তিনি তা পাননি। তিনি অনুমতি পেলে হয়তো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সুবিধা হতো এবং এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।

মঈন বলেন, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিএসও এএফডি জানায়, সরকার রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, কোনো আলোচনার আগে সেনাবাহিনীকে এই এলাকা থেকে চলে যেতে হবে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা না হলে তখন সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বেলা ১২টায় তিনি আমাকে ফোন করে জরুরিভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যমুনায় দেখা করতে বলেন। বেলা ১টার দিকে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং হুইপ মির্জা আজম আলোচনার জন্য পিলখানায় যান।

তিনি আরও বলেন, আমি যমুনায় যাবারও ঘণ্টাখানেক পর বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান সেখানে আসেন। অর্থাৎ তাদের আমার পরে ফোন করে আসতে বলা হয়েছে। অনেকক্ষণ পর তারা সেখানে এলে আমাদের জানানো হয়, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং হুইপ মির্জা আজম বিদ্রোহীদের একটি দল নিয়ে যমুনাতে আসছেন এবং তারা (বিদ্রোহীরা) সাধারণ ক্ষমা চায়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে আমরা যেন তাদের বলি। তখন আমি তাকে বলি, ‘অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের কোনো দাবি মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন প্রথমত, অফিসার হত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সবাইকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমপর্ণ করতে হবে এবং চতুর্থত, সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। ’

plkhana bdr murder newsasia24

আরও পড়ুন:

ঘটনার তদন্তে সরকারের সাহায্য পায়নি সেনাবাহিনী

মঈন ইউ আহমেদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দেই, তখন আমাকে বলা হয়; যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী? এই তদন্ত করতে সরকারের কাছ থেকে যে সাহায্য প্রয়োজন তা আমরা পাইনি।

সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা)। তিনি তার কাজ সঠিভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি, কারণ অনেকে জেলে ছিল, অনেককে প্রশ্ন করা সম্ভব হয়নি। আমার কাছে এসে (জাহাঙ্গীর আলম) বেশ কয়েকবার তার সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

মঈন ইউ আহমেদ বলেন, আমি আশা করি, তিনি এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হয়েছেন। তিনি এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে জড়িতদের বের করতে সক্ষম হবেন। আমি সরকার গঠনের পর তাকে এই বিষয়ে অনুরোধ করেছি।

নিজের ভিডিওতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন মইন ইউ আহমেদ। এসময় বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তার লেখা বই খুব শিগগির প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

google-news-channel-newsasia24