শিরোনাম

সারাদেশ

শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ৪

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

আরও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (৩ জুলাই) উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ সকাল ৬টায় শিমুল বাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি ১২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্ট ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও সদর উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ী। অন্যদিকে নিমজ্জিত হয়েছে পাট,আমন বীজতলা ও সবজির ক্ষেত। ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার পরিবার।

অপরদিকে,সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমারে পানি ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের নামাচর এলাকার লিটন মিয়া বলেন, গতকাল থেকে খুব পানি বাড়ছে। আমার এখানকার রাস্তাগুলো তলিয়ে গেছে। এখন নৌকা ও গলা গাছের ভেলায় যাতায়াত করছি আমরা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ও পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:

ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল শিশুসহ খালা-ভাগনির

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ট্রাক চাপায় শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে খালা ও ভাগনি।

সোমবার বিকাল ৬টায় উপজেলার পাত্রীকুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম পাত্রীকুল এলাকার মৃত কলিম উল্লার মেয়ে পিয়ারা বেগম (৫৫) ও আলিশারকুল এলাকার মৃত দুদু মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (৮)। তারা সম্পর্কে খালা-ভাগনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভূনবীর-মির্জাপুর সড়কে পিয়ারা বেগম ও তার ভাগনি সাদিয়া আক্তার ভূনবীর দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় দুটি খালি ট্রাক ভূনবীর দিকে বালু আনার জন্য বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। এসময় ট্রাক দুটি ওভারটেক করার সময় তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই পিয়ারা বেগম নিহত হন। এছাড়া সাদিয়া মারাত্মক আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়।

google-news-channel-newsasia24

এ ঘটনার পরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবিতে লাশ নিয়ে ওই রাস্তা রাত ১০টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী।

এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানু লাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ জানান, ঘাতক দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালককের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

কলকাতায় ছিনতাই হওয়া আইফোন মিললো কেরানীগঞ্জে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলকাতার বেনিয়াপুকুরের পার্ক সার্কাস থেকে এক বছর আগে ছিনতাই হওয়া আইফোন-১৩ ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (৩০ জুন) সকালে শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলটন কুমার দেব দাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর থেকে আইফোনটি উদ্ধার করা হয়।

এসআই মিলটন কুমার দেব দাস বলেন, গত বছরের ২৬ জুলাই কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার পার্ক সার্কাস থেকে মৌটুসী গাঙ্গুলি নামের এক নারীর ব্যবহৃত আইফোনটি ছিনতাই হয়। পরে তিনি বেনিয়াপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

একপর্যায়ে ভারতীয় সাইবার পুলিশ জানায়, তার আইফোনটি আর কলকাতায় নেই, বাংলাদেশে পাচার হয়ে গেছে। এখন আর তাদের কিছুই করার নেই। পরে মৌটুসী তার জিডি কপি নিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেন।

google-news-channel-newsasia24

সেখান থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার ফোনটির সন্ধান পাই। কেরানীগঞ্জে আগানগর এলাকা থেকে ফোনটি উদ্ধার করি।

তিনি আরও বলেন, যিনি ফোনটি দেশে ব্যবহার করছিলেন তিনি একজন মোবাইলের দোকানদার। ফোনটি তিনি আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছিলেন। ওই বিক্রেতা তাকে বলেছিলো, ভারত থেকে মোবাইলটি তিনি কিনেছেন। কীভাবে ভারত থেকে ফোনটি বাংলাদেশের আসলো আর দোকানদার কার কাছ থেকে সেটি কিনেছেন এসব বিষয় তদন্তের পর জানা যাবে।

শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজত কুমার সাহা ভারতীয় নাগরিকের মোবাইলটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরও পড়ুন:

দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে তিস্তার পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের তিস্তা নদীতে ফের দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) সকাল ৯টায় পাওয়া তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্য নদ-নদীর পানিও বেড়েই চলেছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও ভাঙন শঙ্কায় রয়েছে।

তিস্তা ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এ সময় পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রংপুর জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তিস্তার তীরবর্তী কিছু এলাকার সবজিক্ষেত ডুবে গেছে।

পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

google-news-channel-newsasia24

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া গদাই এলাকার শাহ জামাল, শমসেল, ইলিমাসহ বেশ কয়েকজন জানায়, গত প্রায় মাস খানেক ধরে কাউনিয়া রেল গেটে এই এলাকা থেকে যাওয়া রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন প্রতিরোধে আমরা নিজেরাই বস্তায় বালু ভরাট করে চেষ্টা করছি। তারপরেও আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বারবার জিও ব্যাগ চেয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।

গঙ্গাচড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না জানান, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়।

আরও পড়ুুন>>আসছে চোরাই পথে অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার ফোন, গ্রেপ্তার ৪

তিস্তা নদী তীরবর্তী কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে দুর্ভোগের আতঙ্ক রয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সোমবার ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। প

রিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ কিছুটা বাড়ছে। এছাড়া ভাটি অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

আসছে চোরাই পথে অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার ফোন, গ্রেপ্তার ৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৮০৮টি চোরাই অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার মোবাইল ফোনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার ও নগদ টাকা জব্দ করে র‍্যাব।

এসব ফোন ভারতীয় কারখানায় তৈরিকৃত এবং চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের ৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে জানায় তারা।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবু তাহের (২৬) এই চক্রের মূলহোতা। আবু তাহের মোবাইল ফোনের শো-রুমের বিক্রয়কর্মী থেকে হয়ে ওঠেন সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দলের নেতা। গ্রেপ্তারকৃত অন্য ৩ জন হলেন- মো. মেহেদী হাসান (২২), মো. রুবেল হোসেন (২৯) ও মো. নূর নবী (৩২)।

রবিবার (৩০ জুন) রাতে র‍্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান। এরআগে সোনারগাঁয়ে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কারখানায় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসে।

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারণে গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

এছাড়া এ সকল ফোনের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।

চোরাইপথে আনা এ সকল মোবাইল চোরাকারবারিরা রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল বিক্রয়কারী মার্কেটে সরবরাহ করতো।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আবু তাহের ভারত হতে মোবাইল ফোন চোরাকারবারী এই চক্রটির মূলহোতা। তাহের গত তিন বছর পূর্বে কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকায় একটি মোবাইল ফোনের শো-রুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করে।

তখন থেকে পথে অবৈধভাবে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। একপর্যায়ে মোবাইলের শো-রুমে চাকরির পাশাপাশি সে নিজেও এসব ভারতীয় ব্রান্ডের চোরাই মোবাইলের চালান আনিয়ে কুমিল্লাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করে।

অল্প সময়ে সে নিজেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। তার নেতৃত্বে চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের ৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী তার এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে এই চক্রে জড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:

অপর গ্রেপ্তারকৃত রুবেল একজন গাড়ি চালক। প্রথমে সে রেন্ট-এ কার এর গাড়ি ভাড়ায় চালালেও পরে তাহের এর চক্রে যোগ দেয়। তাহের তাকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়ায় চালাতে দেয়। প্রাইভেটকারটি চালানোর আড়ালে চোরাইপথে আসা মোবাইল তাহেরের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতো।

গ্রেপ্তারকৃত নূরনবী ফেনী জেলার মহিপাল এলাকার জনৈক টিটু চৌধুরীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করতো এবং তাহেরের সাথে পরিচয়ের পর বাড়তি অর্থ উপার্জনের আশায় সে চোরাই মোবাইল ফোন পরিবহনের এই চক্রের প্রস্তাবে রাজি হয় এবং তাহেরের আদেশে মোবাইল ফোনের চালান বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করে।

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক: কু‌ড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিদ‌্যুৎস্পৃ‌ষ্ট হয়ে এক বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দলদ‌লিয়া ইউনিয়‌নের অর্জুন লালমস‌জিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আবু তাহের (৫৬) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৭)।

google-news-channel-newsasia24

স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার দিকে রাসেল মিয়া বা‌ড়িতে বৈদ‌্যুতিক বোর্ডের কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ‌্যুৎস্পৃষ্ট হলে ছেলের চিৎকার শুনে বাবা আবু তাহের তাকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসে। পরে বাপ-ছেলে দুইজনই ঘটনাস্থলে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ওই পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পুলিশ পাঠা‌নো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

বিয়ের আগেই যৌতুকের বলি রিমা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিয়ের আগেই যৌতুকের বলি হয়েছেন রিমা আকতার (২০) নামের এক তরুণী। হবু শ্বশুর বাড়ি থেকে ক্রমাগত যৌতুকের দাবির প্রতিবাদে বিয়ের দুদিন আগে আত্মহত্যা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে উপজেলার হাইদগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিমা ওই এলাকার হীরা তালুকদার বাড়ির মনির আহমদের মেয়ে। এদিন রাতেই মেহেদী অনুষ্ঠান ছিলো রিমা আকতারের।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল। হলুদ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে আত্মহত্যা করেন এই তরুণী। আত্মহত্যা করার পূর্বে লিখে গেছেন একটি চিরকুট। সেখানে লিখে গেছেন তার না বলা কথা।

সুইসাইড নোটে রিমা লিখে গেছেন- ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে। অনেক ভালোবেসেছো এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছো। আমি পারছি না এতো যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না, ভালো থেকো। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা আমি নিতে পারছি না। আমার পরিবারের কাছ থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না, আমি বাঁচতে পারতাম যদি আমি বেশি মান-সম্মানওয়ালা পরিবারে জন্মগ্রহণ না করতাম। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার পোস্টমর্টেম করে আমার সব যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে আমাকে কবরে পাঠিয়ো।’

চিরকুটের শেষে রিমা আরও লিখে গেছেন- ‘আর আমার পরিবারকে বলছি, মোরশেদকে তোমরা ছাড়বে না। ওকে ওর প্রাপ্য শাস্তি তোমরা দিবা।’

আরও পড়ুন>>নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ট্রাক, টোল আদায়কারী নিহত

রিমার পরিবারের সদস্যদের কাছে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হীরা গাজী তালুকদারের বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টায় বৈদ্যুতিক ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে ঝুলে পড়েন রিমা।

দীর্ঘক্ষণ রিমার ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্বজনরা তাকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পান রিমা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।

তৎক্ষণাৎ রশি কেটে তাকে নামিয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমা বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মারা যান। রিমা পটিয়া সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

আরও পড়ুুন>>সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

রিমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদ একজন ব্যাংকার। তিনি আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করেন। রিমা ও মোরশেদ দুজন একই এলাকার। তাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কও চলছিল।

রিমার ছোট চাচা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে একই এলাকার ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে রিমার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে আমরা উভয় পরিবার ছেলেমেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিকভাবেই শুক্রবার (২৮ জুন) বিয়ের তারিখ ঠিক করি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে হওয়ার কথা ছিল তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রিমা ও মোরশেদ মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলছিল। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে রশিতে ঝুলে পড়ে রিমা।’

আরও পড়ুন>>শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

রিমার বাবা মনির আহমদ ঘটনার জন্য হবু স্বামী মোরশেদকে দায়ী করে তার শাস্তি চেয়ে বলেন, ‘তার লোভের বলি হয়েছে আমার আদরের মেয়ে তারা বরযাত্রীর পরিবর্তে টাকা চেয়েছে, তাতেও আমরা রাজি হয়েছি।

তারা কোনো কিছু (যৌতুক) দাবি নেই বলে আসলেও বিয়ের কয়েকদিন আগ থেকে একের পর এক যৌতুক দাবি করে আসছিল। আমি তার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এবং সরকারের কাছে এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’

রিমার ভাই আজগর হোসেন বলেন, ‘বিয়েতে বরযাত্রী খাওয়া-দাওয়া বাবদ মোরশেদের পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

তারপরও আমার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ এবং বিয়ের খরচ হিসেবে আরও নগদ টাকা দাবি করে। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যৌতুক দাবি করার অপমান সইতে না পেরে আমার বোন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তারা যে এতটা যৌতুক লোভী হবে তা আমাদের জানা ছিল না। নিজের প্রাণ দিয়ে আমার বোন তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে গেছেন।’

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ট্রাক, টোল আদায়কারী নিহত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের তিস্তা টোলপ্লাজায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাসুদ রানা (৪০) নামে টোল আদায়কারী এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় টোলপ্লাজার টোল ঘর ভেঙে দুমরে-মুচরে যায়।

সোমবার (২৪ জুন) সকালে তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাসুদ রানা জামালপুর জেলার বকসিগঞ্জ থানার ফজল হকের ছেলে। তিনি ৩ বছর ধরে রেগনাম পেন্টা নামে টোলপ্লাজার মালিকের অধীনে কর্মরত ছিলেন।

টোলপ্লাজার লোকজন জানান, সকালের দিকে রংপুর থেকে লালমনিরহাটগামী একটি ১০ চাকার পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় ঢুকে পড়ে।

এ সময় চাকায় পিষ্ট হয়ে টোল আদায়কারী মাসুদ রানা নামে এক শ্রমিকের শরীর হতে হাত-পা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় । পরে টোলপ্লাজায় ডিউটিরত পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকটিসহ ট্রাকের চালক ও সহকারীকে আটক করে।

খবর পেয়ে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

টোলপ্লাজার স্বত্বাধিকারী রেগনাম পেন্টা গ্রুপের ম্যানেজার শহিদ বলেন, মাসুদ গত তিন বছর থেকে আমাদের কোম্পানিতে সততার সাথে কাজ করে আসছে। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সেই সাথে ঘাতক ট্রাকচালকের কঠিন শাস্তি চাই।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাকচালক ও সহকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত

ফাহিম শাওন: কুষ্টিয়ার খোকসায় মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনটির ১১ জন সদস্য।

শুক্রবার (২১ জুন) মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির উপদেষ্টা সম্রাট হোসাইন এর উদ্যোগে খোকসার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে একশটি নিম গাছের চারা রোপন করা হয়। বৃক্ষরোপন কর্মসূচিটির পরিচালনা করেন সংগঠনটির সদস্য চয়ন, নাসিম ও রাব্বী।

উপদেষ্টা সম্রাট হোসাইন বলেন, মাটি ও মানুষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে আমরা বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের জাগলবা, মুকশিদপুর, চাঁদট, বনগ্রামসহ বেতবাড়ীয়ার বিভিন্ন স্থানে একশতটি নিম গাছের চারা রোপন করেছি। এতে পরিবেশ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

উল্লেখিত, খোকসার প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রামীণ রাস্তার দুপাশে একশতটি নিম গাছের চারা ও মসজিদ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলজ গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে।

আরও পড়ুন:

উক্ত কর্মসূচির পৃষ্ট পোষকতায় পল্লী গ্রুপ, খোকসা উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকা, সোহান কোচিং কুষ্টিয়া, মধু ফ্যাশন কুমারখালী ও খোকসার মা মাটি মানুষেরা। মিডিয়া পার্টনার ছিলো সাপ্তাহিক তিলোওমা, পাক্ষিক স্বাস্থ্যসেবা ও কুষ্টিয়ার সময়।

google-news-channel-newsasia24