নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাংকের কর্মকর্তা সেজে মাস্টার ও ভিসা কার্ড ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে লাখ টাকা আত্মসাৎ করে একটি প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
ব্যাংকের কর্মকর্তা সেজে মাস্টার ও ভিসা কার্ড ব্যবহারকারীদের কাছে ফোন দেন একটি প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এরপর তথ্য হালনাগাদ, কার্ডের পিন নম্বর ও মেইল আপডেট না করার কারণে কার্ডের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানানো হয় ওই গ্রাহককে। এতে কোনো কোনো গ্রাহক আতঙ্কিত হয়ে প্রতারকদের কথামতো কাজ করতে থাকেন।
আর এই সুযোগে ১৬ ডিজিটের কার্ডের নম্বর, কার্ডের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, কার্ডের বিপরীত পাশে উল্লিখিত ৩ ডিজিটের (সিকিউরিটি পিন নম্বর) সিভিভি নম্বর সংরক্ষণ করেন চক্রের সদস্যরা। পরে গ্রাহকের কাছে কথিত ওটিপি কোড পাঠান তারা।
এরপর কৌশলে আসল ওটিপি কোড সংগ্রহ করে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাড মানি’ করে টাকা হাতিয়ে নেন চক্রের সদস্যরা। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। এমনই একটি প্রতারণা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. রবিউল মিয়া ও নজরুল ইসলাম।
দিনাজপুর থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পাঁচটি মোবাইল ফোন এবং ১০টি সিম জব্দ করা হয়। এসব সিমের অধিকাংশই মিথ্য পরিচয়ে নিবন্ধিত। গতকাল শুক্রবার সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সিআইডি জানায়, ভিসা ও মাস্টার কার্ড ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল প্রতারক চক্র। এ ধরনের কয়েকটি ঘটনায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়।
আরও পড়ুন:
-
পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে ধোঁয়াশা
-
রাজশাহী রেল স্টেশনে যুবকের ঘুসিতে আনসার সদস্য নিহত
-
ফেসবুকে প্রেম, কোটি টাকা হারালেন নারী
সেই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিম। এরপর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা হয়। পরে দিনাজপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। তাদের স্থায়ী ঠিকানা ফরিদপুরের ভাঙ্গায়।
দুজন সম্পর্কে আত্মীয়। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতেই তারা দিনাজপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে প্রতারণার কাজ করে আসছিল। সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চক্রের এক সদস্য বিভিন্ন কার্ডধারীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে।
এরপর এসব নম্বর অন্য আরেক সহযোগীর কাছে পাঠায়। এরপর তারা বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের কর্মকর্তা সেজে কার্ড ব্যবহারকারীদের নম্বরে কল করে।
Follow