শিরোনাম

শিরোনাম

আইন না মেনে বিকট শব্দে পটকা-আতশবাজি; ফানুস উড়িয়ে নতুন বছর উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন না মেনে বিকট শব্দে পটকা-আতশবাজি ফোটানো আর ফানুস উড়িয়ে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪ উদযাপিত করা হয়েছে।

রাত ১২ টা বাজার সাথে সাথেই পটকা-আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে থার্টি ফাস্ট নাইট পালন করেছে ঢাকাবাসী। এসব আয়োজনে পুলিশের কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আইন ভেঙ্গে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে উদযাপন করা হয়েছে।

রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে (সময় অনুযায়ী ১ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে) রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ক্ষমতাবলে থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফুটানো, ফানুস ওড়ানো এবং মশাল মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: 

ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের আয়োজন করার সুযোগ ছিল না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল মানুষের বাসা-বাড়ির ছাদকেও। কিন্তু তাতে থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপন। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ঢাকার আকাশ। রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ প্রায় অধিকাংশ ভবনের ছাদেই রয়েছে আতশবাজি আর ফানুস ওড়ানোর আয়োজন। অনেকে আবার ছাদে বারবিকিউ পার্টিসহ পারিবারিক নানা আয়োজন করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

গাজীপুরে প্রেমিকাকে হত্যার সাতদিন পর আত্মসমর্পণ প্রেমিকের

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর সদর উপজেলায় বটি দিয়ে প্রেমিকার গলা কেটে হত্যার সাতদিন পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেছে প্রেমিক।

পরে প্রেমিকের দেয়া তথ্য মতে বাথরুম থেকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকায় প্রেমিক মিরাজের বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মারিয়া আক্তার ঝর্ণা (১৯) গাজীপুর সদর উপজেলার বিকেবাড়ী তালতলী এলাকার মুকুল হোসেনের মেয়ে। আটককৃত প্রেমিক মিরাজ মির্জাপুর ইউনিয়নের মনিপুর বাজার এলাকার স্থানীয় মজিবুর রহমান ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝর্ণার সঙ্গে মিরাজের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মিরাজকে বিয়ে করবে বলে ঝর্ণা মিরাজকে কথা দিয়েছিল।

পরবর্তীতে মিরাজ জানতে পারে ঝর্ণার সঙ্গে একাধিক ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। মিরাজ বিষয়টি ঝর্ণাকে জানালে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে ঝর্ণাকে হত্যার পরিকল্পনা করে মিরাজ। এর প্রেক্ষিত্রে গত ২৪ ডিসেম্বর মিরাজের নিজ ঘরে নিয়ে ঝর্ণাকে হত্যার পর ঘরের এ্যাটাচ বাথরুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, দুপুরের পর থেকেই মিরাজ থানার সামনে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। তার ঘোরাঘুরি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে থানার ভেতরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আরও পড়ুুন:

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে তার প্রেমিক ঝর্ণাকে খুন করার কথা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে মিরাজের ঘরের ভেতরের বাথরুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

জয়দেবপুর থানা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ঝর্ণাকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে। এ ঘটনায় প্রেমিক মিরাজ আটক করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

যুক্তরাষ্ট্রে ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করত শেখ আবির হোসেন (৩৪) নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি টেক্সাসের বিউমন্টে একটি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

গত শুক্রবার টেক্সাসের ক্রিস ফুড মার্টে তিনি নিহত হন। সেখানে তিনি স্টোর ক্লার্ক হিসেবে কাজ করতেন। দোকান থেকে সিগারেট নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই সন্দেহভাজন তাকে গুলি করে।

A-Bangladeshi-student-was-shot-dead-in-a-robbery-incident-in-the-United-States-newsasia24

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি লামার ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা সহকারী ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চ্যানেল কেএফডিএম জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবিরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

আরও পড়ুন:

আবিরের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিউইয়র্কে বসবাসরত এক পরিবারের সদস্য তার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর তাকে জানান।

বিউমন্ট পুলিশ এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ, নিহত ২

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে বালুবাহী ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। নিহতদের মধ্যে একজন ট্রাকের চালক ও অপরজন বাসের যাত্রী বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ট্রাকের চালক ও যাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

Bus-collided-with-truck--2 -killed-newsaia24

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতক্ষীরা থেকে আসা বিআরটিসির একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলা এলাকায় পৌঁছালে সামনে থাকা একটি বালুবাহী ট্রাক হঠাৎ ব্রেক করে থেমে যায়।

এ সময় বাসটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সড়ক ডিভাইডারের ওপরে উঠে সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই চালকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান বাসের এক যাত্রী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুুুুুুন:

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

রাজশাহীতে জামায়াত নেতাসহ দুই কারাবন্দির মৃত্যু

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামায়াত নেতাসহ দুই কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

Two-prisoners-including-Jamaat-leaders-died-in-Rajshahi-newsasia24

মৃত দুই কারাবন্দি হলেন, রাজশাহীর দামকুড়া থানা জামায়াতের আমির আবদুল লতিফ (৬৬) ও নওগাঁর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল হক (৯০)। জামায়াত নেতা আবদুল লতিফকে গত ১৮ ডিসেম্বর দামকুড়া থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এরমধ্যে জামায়াত নেতা আবদুল লতিফ হাজতি হিসেবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দী ছিলেন। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আজিজুল নওগাঁ জেলা কারাগারে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুুন>>ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আবদুল জলিল বলেন, নওগাঁ কারাগার থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) আজিজুলকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়। সেদিনই আজিজুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার আবদুল লতিফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শনিবার সকালে তারা দুজনেই মারা গেছেন। এই দুই বন্দি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

আরও পড়ুন>>প্রেমিকের উপর অভিমান করে শরীরে আগুন দেয়া প্রেমিকার মৃত্যু

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মেদ বলেন, তারা শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এরমধ্যে লতিফের হার্ড ও কিডনির সমস্যা ছিল। আর আজিজুল হক বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।

আরও পড়ুন>>জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। বিকেলের দিকে মরদেহগুলো নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

শীতকালে বিয়ে করার সুবিধা

লিমা পারভীন: শীত হলো বিয়ের মৌসুম। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতেই বেশিরভাগ মানুষেরা বিয়ে করেন। বিয়ের মতো এই বিপুল আয়োজন করতে লোকবলও লাগে প্রচুর। ফলে শীতের সময়ে বিয়ে করার অনেক সুবিধা আছে। বছরের এ সময়টাতে সবার ছুটি থাকে।

এ কারণে বিভিন্ন উৎসব ও আয়েজনে পরিবার, বন্ধুবান্ধবসহ সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া যায়। বিয়ের মেকআপ থেকে শুরু করে বিরেয় বাড়ির খাওয়া-দাওয়া শীতকালে সবটাই ভীষণ স্বস্তিদায়ক।

Advantages-of-getting-married-in-winter-newsasia24

বিয়েতে কনের সাজগোজ আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। কনে কী বেনারসী পরেছেন, কেমন রূপটান করেছেন, সবটাই অত্যন্ত কৌতূহলের একটি বিষয়। অনেক সময় বিয়ের লগ্ন অনেক রাতে থাকে। ফলে কনের সাজগোজ ঠিক থাকা জরুরি। গরমের তুলনা শীতে রূপটান দীর্ঘস্থায়ী হয়।

বিয়ে মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। বিয়ে বাড়ির খাবার হয় তেল-ঝাল ও মসলাযুক্ত। গরমকালে এসব খাবার শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই শীতকালে বিয়ে করলে এ ধরনের খাবার খাওয়া যায় নিশ্চিন্তে।

শীতকালে বিয়ে করলে বিদ্যুতের খরচে খানিকটা হলেও কমানো যায়। কারণ শীতকালে ফ্যান বা এসির ঝামেলা থাকে না। তাছাড়া অতিরিক্ত খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা কমে। অন্যদিকে শীতে গাঁদা, ডালিয়া ও গোলাপসহ বাহারি ফুলের দেখা মেলে। এ কারণে সহজলভ্যেই মেলে এসব ফুল। তাই বিয়ের ডেকোরেশনে ফুলের খরচও একটু কমে।

আরও পড়ুন:

বিয়েবাড়িতে সাজগোজ মানেই জমকালো হবে। ভেলভেট বা সিল্কের পোশাক পরলে বিয়েবাড়িতে তা বেশ মানানসই হয়। তবে গরমকালে এ ধরনের কাপড় পরা যায় না। তবে শীতকালে ভেলভেটের শাড়ি বা গাউন পরা যায়।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তারা হলেন, ওই এলাকার অটোরিকশাচালক জামাল উদ্দিন (৩২), তার মা আনোয়ারা বেগম (৬৫), দুই মেয়ে আনিকা আক্তার (৪), মোছা. ফাইজা (৬)।

Four-members-of-the-same-family-died-due-to-electrocution-in-Mymensingh's-Nandale-newsa2ia24

চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জামাল উদ্দিন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিজের বসতঘরে অটোরিকশা চার্জ দিতেন তিনি।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জামাল উদ্দিন ঘর থেকে অটোরিকশা বের করতে যান। অসাবধানতাবশত অটোরিকশাটি বিদ্যুতায়িত হয়ে জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তার চিৎকারে মেয়ে আনিকা ও ফাইজা দৌড়ে বাবার কাছে গেলে তারাও বিদ্যুতায়িত হন।

আরও পড়ুন:

এসময় জামাল উদ্দিনের মা তাদের উদ্ধারের জন্য গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

google-news-channel-newsasia24

Follow

প্রেমিকের উপর অভিমান করে শরীরে আগুন দেয়া প্রেমিকার মৃত্যু

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: প্রেমিকের উপর অভিমান করে নিজের শরীরে আগুন দেয়া ফেনীর সেই কলেজ ছাত্রী মাশকুরা আক্তার মুমু (১৯) মারা গেছেন।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা গেছেন। মুমুর বাবা আবদুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

The-death-of-the-lover-who-set-fire-to-the-body-of-the-lover-newsasia24

মাশকুরা আক্তার মুমু ফেনী ন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে শহরের পাঠান বাড়ি সড়কে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার রামনগর এলাকায়।

গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ওই ছাত্রী শরীরে আগুন দেয়।

আরও পড়ুুুুুুুুন>>জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

মুমুর পিতা আবদুল মালেক বলেন, গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মুমুর বিয়ের জন্য একটি প্রস্তাব আসে। এতে অসম্মতি জানিয়ে নাহিদ নামে এক সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানান। তখন থেকে আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়নি। পরে গত বছরের নভেম্বর মাসে নাহিদের ভাই লক্ষ্মীয়ারা বাজারে আমার সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলে।

তার ভাই বলেন, নাহিদ বিদেশে যাবে, সেখান থেকে ফিরে আপনার মেয়েকে বিয়ে করবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পরে নাহিদ তাকে প্রত্যাখ্যান করে। এসব কারনে অভিমানে মুমু নিজের শরীরে আগুন দেয়।এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে মুমুর প্রেমিক নাহিদ।

আরও পড়ুন>>কামরাঙ্গীরচরে শিশুকে ধর্ষণ

নাহিদের ভাই নাসির উদ্দিন সোহেল বলেন, তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের পারিবারিক কথাবার্তার বিষয়টি সত্য নয়।

ফেনী সদরের পুলিশ সুপার থোয়াই অং প্রু মারমা বলেন, ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

আদালতে ক্ষমা চাইলেন নৌকার প্রার্থী বাদশা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: দোষ স্বীকার করে আদালতে কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা এমপি।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রতিনিধির মাধ্যমে ওই আসনের অনুসন্ধান কমিটির প্রধান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আসাফ উদ দৌলার কার্যালয়ে লিখিত জবাব পাঠিয়েছেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না মর্মে শোকজ নোটিশের জবাবে তিনি লিখিতভাবে ক্ষমা চান পাশাপাশি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এর আগে নির্বাচনী পথসভা চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘নৌকায় ভোট দিতেই হবে, বাদশাকে ভোট দিতে হবে না হলে সব সোজা করে দেব’। এছাড়াও নানা ভাষায় সাধারণ ভোটারদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। ফলে, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ব্যাহত, আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ নোটিশ দেন।

লিখিত জবাবে তিনি বলেছেন, অজ্ঞাতসারে বা অসাবধানতাবশত অথবা বাক্য উচ্চারণের প্রকাশভঙ্গিতে কোনো ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। তবে আগামীতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না মর্মে অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: 

উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা এমপি তার নির্বাচনী প্রচারনার একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যাহত হয়। পরে ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এর ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। গত শুক্রবার লিখিত জবার দেওয়ার দিন ধার্য ছিল।

google-news-channel-newsasia24

ফজরে ঘুম থেকে উঠতে পারছেন না? জেনে নিন ৭ টি কৌশল !

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মুসলিমদের জন্য ঈমান আনার পরেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর জামাতে নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

কেউ কেউ এটাকে ওয়াজিবও বলেছেন। হাদিস শরিফে জামাতের প্রতি বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে ।

এক হাদিসে এসেছে, ‘জামাতের নামাজ একাকি নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদা রাখে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৫; মুসলিম, হাদিস : ৬৫০)

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মধ্যে এশা ও ফজরের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ দুই সময়ে মানুষ সাধারণত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে।

ফলে জামাতদুটিতে যথেষ্ট অবহেলা ও গাফিলতি হয়ে থাকে। এজন্য হাদিসে এর প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই।

তিনি বললেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত রয়েছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে আসতে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫৪)

সুন্নত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত। হাদিসে এর প্রভূত ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, যা অন্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়নি। এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও তোমরা এই দুই রাকাত কখনো ত্যাগ করো না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)

আরও পড়ুন>> জুমআর দিনের ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো জেনে নিন

ফজরের সময় জাগ্রত হওয়ার কিছু কৌশল তুলে ধরার হলো,

আল্লাহকে চেনা: আ্লাহতে চিনতে ও জানতে হবে। আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি জানেন যে অঅপনি কার ইবাদত করছেন? তাহলে ফজরে ঘুম থেকে উঠবেনই।

আন্তরিকতার সাথে প্রতিজ্ঞা: ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার ব্যাপারে আন্তরিকার সাথে প্রতিজ্ঞা করতে হবে। য্ভোবেই হোক আমি জেগে উঠবোই। এমন ভাবে প্রতিজ্ঞা করতে হবে। তবে এটা ভাবা যাবে না যে, যদি উঠতে পারি তাহলে উঠবো, বরং এভাবে ভাবুন যে, আমি ফজরের সময় জেগে উঠবোই, ইনশাল্লাহ।

ওজু করা: ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওজু করার অনেক ফজিলত রয়েছে। পাক-পবিত্র হয়ে ঘুমালে অনেক অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ফেরেস্তারা আপনার কাছে আসতে পারবে। এছাড়াও মহানবী (সা.) ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওজু করার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন ওজু করবে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৮৪)

বিতরের নামাজের পর দোয়া: শেষ রাতে উঠার অভ্যাস না থাকলে বিতরের নামাজ আদায় না করে ঘুমাবেন না। আর বিতরের নামাজ আদায়ের সময় আল্লাহর কাছে অনুনয়-বিনয় করুন, যাতে তিনি আপনাকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে সাহায্য করেন।

আরও পড়ুন> মসজিদের ইমাম-খতিবদের সম্মানী তিনগুন বাড়ানোর আশ্বাস

কোরআন পাঠ করা: ঘমাতেযোওয়ার কোরঅন পাঠ করার অনেক সওয়াব রয়েছে। আল-কোরআন টাঠের মাধ্যমেই মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি অবশ্যই আপনাকে ফজরের নামাজের জন্য জেগে উঠার দিকে নিবদ্ধ করবে। ঘমাতে যাওয়ার আগে সুরা সাজদাহ ও সুরা মূলক পড়ে ঘুমাবেন। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে বলেছেন, ঘমাতে যাাওয়ার আগে এ দুটি সুরা পড়ে ঘুমানোর অনেক ফজিলত রয়েছে।

ফজর নামাজের ফজিলত পুরস্কার: মুনাফেকীর হাত থেকে বেচে যাবেন, কিয়ামতের মাঠে আল্লাহর সামনে আলোকিত হয়ে দাঁড়ানো, সারাাদিন আল্লাহর হেফাজতে থাকা, অলসতা কেটে যাওয়া ইত্যাদি পুরস্কারের কথা স্মরন করুন। এটা আপনাকে ফজরে উঠতে সাহায্য করবে।

google-news-channel-newsasia24

বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের জাগিয়ে দেওয়ার জন্য বলা: পরিবারের অনান্য সদস্য কিংবা বন্ধুদের বলুন আপনাকে জাগিয়ে দিতে। একে অপরকে জাগিয়ে দেয়ার জন্য সাহায্য করুন। যদি আপনি আগে জেগে উঠেন, তাহলে অন্যদেরও জাগিয়ে তুলুন।

আরও পড়ুন:

ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর… ( পর্ব-২ )

ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর… ( পর্ব-৩ )