শিরোনাম

সারাদেশ

রাজশাহীতে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে কিশোরের মৃত্যু

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর পবা উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে তুহিন (১২) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে ও কিশোরেরর দাদি পারুল বেগম (৫৮) গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে কর্ণহার থানার চানপুর বাকশৈল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

rajsahi-paba-karrent-boy-die-newsasia24

তিনি জানান, সকালে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বিদ্যুতের তারের ওপর থেকে গাছপালার ডাল অপসারণ করছিল। এ সময় একটি বড় গাছের ডাল তারের ওপর পড়ে।

আরওে পড়ুন>>পলিথিনে মোড়ানো নবজাতক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার

এতে তারে টান পড়ে তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে যায়। খুঁটি তিনটির একটি গিয়ে শিশু তুহিন ও তার দাদি পারুল বেগমের ওপর পড়ে।

এ সময় তারা মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয়রা তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে তুহিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পারুল বেগম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন>>থানায় আটক ১২টি ছাগল

তিনি আরও বলেন, নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা মামলা করলে নেওয়া হবে। মামলা না করলে একটি অপমৃত্যুর মামলা করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

রাজশাহী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক রমেন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে তারের ওপর থেকে গাছের ডালপালা ছাঁটা হচ্ছিল। এ সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। তারা সবকিছু দেখছেন। কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

google news newsasia24

Follow

পলিথিনে মোড়ানো নবজাতক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বগুড়ার শেরপুরে মনপুর ইউনিয়নে পলিথিনে মোড়ানো মৃত অবস্থায় নবজাতক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মনপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে শেরপুর থানা পুলিশ।

bogura-child-died-newsasia24

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রবিবার রাতের কোনো এক সময়ে পলিথিন ও কাপড়ে মুড়িয়ে কারা যেন মির্জাপুর খাদ্যগুদামের পূর্বপাশে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন:

এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার রেজাউল করিম রেজা বলেন, মৃত নবজাতকটির পরিচয় জানা যায়নি। পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য নবজাতকের লাশটি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

google news newsasia24

Follow

থানায় আটক ১২টি ছাগল

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এবার থানায় আটক করা হলো ১২ টি ছাগল। ঘটনাটি ঘটেছে সান্তাহারে রেলওয়ে থানায়।

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে রেলওয়ে থানা চত্বরের বাগানের ফুলগাছ খাওয়ায় ১২টি ছাগল আটক করে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সান্তাহারে রেলওয়ে থানার ফুলের বাগান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেখানে নানা ধরনের ফুলগাছ লাগানো হয়।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সেই বাগানে বেশকিছু ছাগল প্রবেশ করে ফুলগাছগুলো খেয়ে ফেলে। এসময় থানার সামনে ডিউটিরত পুলিশ সদস্য সেখান থেকে কয়েকটি ছাগল আটক করেন।

পরে ওসির নির্দেশে স্টেশনের প্ল্যাটফরম এলাকা থেকে আরও কয়েকটি ছাগল আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ওইদিন সন্ধ্যার পর ছাগল মালিকরা থানায় এলে ছাগলগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

got-thana-arrest-newsasia24

আব্দুর রহিম নামের একজন বলেন, ‘আমার চারটি ছাগল আটকে রেখেছিল। আমার প্রতিবেশী ভাগিনাকে ছাগল নিতে পাঠিয়েছিলাম। তবে পুলিশ ছাগল ছাড়াতে প্রথমে ৪০০ টাকা চায়। পরে ৩০০ টাকা দিয়ে ছাগলগুলো নিয়ে আসি। আমাদের ছাগলগুলো যখন থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা হয় তখন সেখানে আরও আটটি ছাগল ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরে থানার বাগানে গিয়ে দেখি ৩-৪টি ফুলগাছ খেয়েছে ছাগল। অথচ ছাগল প্রতি ১০০ টাকা করে নিয়েছে পুলিশ। কী হিসেবে নিলেন তা আমাদের জানানো হয়নি।’

আরও পড়ুন: 

জানতে চাইলে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন বলেন, ছাগলগুলো প্ল্যাটফর্মে মূত্রত্যাগ করার কারণে নানা সমস্যা হয়। এছাড়া রেলওয়ে আইন অনুযায়ী রেলওয়ে সীমানায় গরু-ছাগলের প্রবেশ নিষেধ। অথচ সেখানে ছাগলগুলো ঢুকে ফুলগাছ খেয়ে ফেলে।

জরিমানা বা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাগল ফিরিয়ে দিতে তিনি এবং তার কোনো পুলিশ সদস্য টাকা নেননি। ছাগলগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার সময় তাদের বেঁধে পালন করার জন্য বলা হয়।

google-news-channel-newsasia24

ফলো করতে ক্লিক করুন

শিশু ভ্যান চালককে হত্যা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: কুষ্টিয়ায় শিশু চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই করেছিল দুর্বৃত্তরা।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আদাবাড়িয়া এলাকার নিখোঁজের ৬ দিন পর শাহিন আলী (১১) নামের এক শিশু ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

koustia-child-murder-newsasia24

আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালের দিকে দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া এলাকার একটি মেহগনি বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্বৃত্তরা ভ্যানটি ছিনতাইয়ের জন্য শিশুটিকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে তার পরিবার ও পুলিশ।

নিহত শাহিন আলী প্রাগপুর ইউনিয়নের তেকালা গ্রামের প্রবাসী সাবের আলীর ছেলে। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই ভাড়ায় ভ্যান চালাত।

আরও পড়ুন>>গ্যাস বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে প্রতিদিনের মতো ব্যাটারিচালিত ভ্যান (পাখি ভ্যান) নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় শাহিন। তারপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরেননি।

নিখোঁজের পরে তার পরিবার দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। নিখোঁজের ৬ দিন পর রবিবার সকালে আদাবাড়িয়া এলাকার মাঠের মধ্যে একটি মেহগনি বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত শিশুর মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন>>যশোরে এক দড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মৃত শাহিনের মা কমলি খাতুন ও নানা নূর ইসলাম বলেন, শাহিন প্রায় বিকেলে তার দাদার পাখি ভ্যান গাড়ি নিয়ে ভাড়া মারতে তেকলা বাজারে যেত।

গত ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। আমাদের ধারণা কেউ পাখি ভ্যানটি ছিনতাইয়ের জন্য তাকে হত্যা করেছে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

দৌলতপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভ্যান ছিনতাই করতে তাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

google news newsasia24

Follow

গ্যাস বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন ।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ১টার দিকে কাশিপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

naraingonj-fire-newsasia24

দগ্ধ চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সুলতান মিয়া, সাহিদা আক্তার, নবী হোসেন ও আলী মিয়া।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে ওই ওই ফ্ল্যাট বাসায় বসবাস করা পরিবারের সবাই গ্রামের বাড়িতে যান। গ্রাম থেকে শনিবার রাতে বাসায় ফিরে রান্না ঘরে চুলা জ্বালাতে লাইটার জ্বালাতেই আগুনের বিস্ফোরণ হয়।

ঘরের ভেতর থাকা ওই চারজন দগ্ধ হন। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এ সময় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় প্লাস্টিক বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

‘গ্যাসলাইনের লিকেজ’ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

google news newsasia24

Follow

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান বিস্ফোরণ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেছে। সেখানে পৌঁছে আহত দগ্ধ কাউকে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরও পড়ুন: 

যশোরে এক দড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে এক দড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোলের বাহাদুর গ্রামে।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে বাহাদুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসােথেকে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন- ইয়ামিন (২৮) ও তার স্ত্রী তনু (২৪)। তাদের বাড়ি বাহাদুর গ্রামে।

পলিশসূত্রে জানা গেছে, ইয়ামিন এবং তনু আগে যশোরের পুলেরহাট থাকতেন। সেখানে তাদের একটি পোল্ট্রির ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন যায়গায় প্রচুর পরিমানে দেয়া হয়ে যান ইয়ামিন। ফলে তাদের বাড়ি এবং জমি বিক্রি করে চলে আসেন বাহাদুর গ্রামে। তাদের একটি ছোট সন্তান রয়েছে।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঐ দম্পতি বাসাটি ভাড়া নেন। আজ ভোরে প্রতিবেশীরা অনেকক্ষণ ধরে বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পান। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতর এক দড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা পুলিশের খবর দেয়। পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

google-news-channel-newsasia24

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, ভাড়া বাসা থেকে স্বামীর-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: 

কাভার্ড ভ্যান ও ইজিবাইকের সংঘর্ষ: নিহত ৩

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকের তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৪ জন।

আজ (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার চানভাঙা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

hobigonj-kavard-van-accident-newsasia24

নিহতরা হলেন চুনারুঘাট উপজেলার ফারুক মিয়ার ছেলে তানিম মিয়া (১৭), একই উপজেলার রামশ্রী গ্রামের আনোয়ার আলীর মেয়ে তামান্না আক্তার (১৪) ও উমেদনগর এলাকার ছমেদ আলীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫)।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে একটি যাত্রীবাহী ইজিবাইক চুনারুঘাট শহরের দিকে যাচ্ছিল। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা স্টেডফাস্ট নামক একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যানের সাথে ওই স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

আরও পড়ুন>>বাংলাদেশের বুকে প্রথম স্মার্ট গ্রাম

এ ঘটনায় তামান্না আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহতদের হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনলে তানিম মিয়া ও সুফিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়। অন্য আহতদের একজন নিজবা বেগম (৪০) নামে এক নারী হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

google news newsasia24

Follow

চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেলা ১২টায় শায়েস্তাগঞ্জ-চুনারুঘাট কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।

নিহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রোরণ করা হয়েছে। আহতদের হবিগঞ্জ ও চুনারুঘাট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

২৭ সদস্য বিশিষ্ট খোকসা অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

খোকসা প্রতিনিধি: ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কুষ্টিয়ার খোকসায় অনলাইন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা৫২.কম ও অন্যায়ের চিত্র পত্রিকার প্রতিনিধি নাহিদুজ্জামান শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দেশবন্ধু টিভি ও জাতীয় দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার প্রতিনিধি নাজমুল হাসান।

মঙ্গলবার (১২) ডিসেম্বর দুপুর ০২ টায় এই কমিটির নাম ও অনুমতি ঘোষণা করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে সভাপতি এ্যাড: রফিকুল ইসলাম সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নাজমুল হোসেন স্বাক্ষরিত অনুমতি পত্রে আগামী ২ বছরের জন্য কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।khoksa-online-press-club-comitee-newsasia24 2খোকসা অনলাইন প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর পারভেজ, খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন , মোঃ আকাশ উজ্জামান, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নূর ইসলাম এবং ফাহিম শাওন।

এছাড়াও সাংগাঠনিক সম্পাদক মমিন হোসেন ডালিম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোকাররম হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সুমন বিশ্বাস,মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সিমা আক্তার তুলি , কোষাধ্যক্ষ জালাল আহম্মেদ,ক্রিয়া সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান (সোনা), তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামিম হোসেন এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রাব্বিকুল হাসান রাফি।

google-news-channel-newsasia24

নির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম রানা , সাবুব আলম চঞ্চল, নাজমুল হক লাভলু, মনোয়ার হোসেন, আবির হোসেন, হাফিজুল ইসলাম বকুল, আনিছুর রহমান, মোঃ সাজ্জাদ আহম্মেদ (আজমল) , ভিক্টর বিশ্বাস চিতা, আশরাফুল ইসলাম , মোঃ ইমরান হোসেন ও পুস্কর মন্ডল ।

আরও পড়ুন: 

বাংলাদেশের বুকে প্রথম স্মার্ট গ্রাম

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুমিল্লায় ভূমিহীনদের জন্য তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক এক গ্রাম।

কুমিল্লার বরুড়ায় ভূমিহীনদের জন্য ৪ একর জায়গার ওপর তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক এক গ্রাম যার নাম বরুড়ার স্বপ্নের আশ্রয়ণ । কিন্তু স্থানীয়রা ভালোবেসে গ্রামটির নাম দিয়েছেন শামীমপুর।

এ গ্রামটি সম্পূর্ণ ইউরোপ ও আমেরিকার গ্রামের আদলে তৈরি করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের বুকে প্রথম স্মার্ট গ্রাম বলে দাবি স্থানীয়দের।

বরুড়া উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে ঝলম ইউনিয়নের চেঙ্গাচাল ও ফরিদপুর গ্রামের পাশে অবস্থান গ্রামটির। প্রতিষ্ঠা করেছেন এসকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান, শিল্পপতি এজেড এম শফিউদ্দিন শামীম।

সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত গ্রামটি তৈরিতে ৪ একর জমি কেনেন শিল্পপতি শফিউদ্দিন শামীম। পরে তা ভরাট করা হয় মাটি দিয়ে। দোতলা ফাউন্ডেশন দেওয়া একতলা বিশিষ্ট মোট ৬৫টি ইউনিট করা হয়। প্রতিটি বাসস্থানের আয়তন ১৩৫০ বর্গফুট।

আরও পড়ুন>>রাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রতিটি ইউনিটে ২টি থাকার কক্ষ, ১টি গোসলখানা, ১টি টয়লেট, ১টি রান্নাঘর ও ১টি টিউবওয়েল রয়েছে। যা ছোট একটি পরিবার বসবাসের জন্য খুবই উপযোগী।

এ ছাড়া এখানে বসবাসকারী ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য করা হয়েছে অত্যাধুনিক খেলার মাঠ। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশনের বিশেষ ড্রেনেজ, সেপটিক ট্যাংকিসহ যাবতীয় অত্যাধুনিক সব কিছু। সড়কের পাশে লাগানো হয়েছে ফুল ও খেজুর গাছ। যা সহজেই দৃষ্টি কাড়ে সবার।

আরও পড়ুন>>রাজশাহীতে পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা

শুধু ইউনিটই নয়। গ্রামটিতে ঠাঁই পাওয়া মানুষদের জন্য গ্রামে ঢোকার মুখেই তৈরি করা হয়েছে দোতলা একটি মার্কেট। মার্কেটটির নিচতলায় করা হয়েছে ১০টি দোকান। ওপরের তলায় কমিউনিটি সেন্টার। গ্রামে বসবাসকারী মানুষদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হবে এ কমিউনিটি সেন্টার।

গ্রামটির নির্মাণের সকল কাজ শেষ। বৈদ্যুতিক সংযোগ টানানো হয়েছে। শুধু মিটার আর সংযোগ স্থাপন হলেই পরিপূর্ণ হবে গ্রামটি। তবে ইতোমধ্যেই প্রায় ২৫টি পরিবার বুঝে নিয়েছেন তাদের আবাসন।

আরও পড়ুন>>ফেসবুকে ও বিকাশে প্রতারনা; আটক ৩

এখানে ঠাঁই পাওয়া অশ্বদিয়া গ্রামের আব্দুল মমিন বলেন, আমি একটি বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করে সংসার চালাই। বাবার ১ তোলা সম্পত্তি নেই। কয়েক বছর আগে জটিল রোগে আক্রান্ত হই। পরিবার নিয়ে খুব সমস্যায় ছিলাম। কিন্তু শামীম সাহেবের দয়ার কারণে আমাকেও একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে এমন একটা বিল্ডিংয়ে থাকতে পারব।

পারুল আক্তার বলেন, আমি আজ ১১ বছর ধরে স্বামী পরিত্যক্তা। আমার দুটো সন্তান নিয়ে খুব বিপাকে আছি। থাকার মতো কোনো জায়গা নেই। আমার মেয়ে খুব মেধাবী। শামীম সাহেব স্কুল থেকে আমার মেয়ের নাম নিয়ে পরে আমাদেরকে একটি ঘর দিয়েছেন এখানে। আমার মেয়ে এখান থেকে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হবে। শামীম সাহেবের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

আরও পড়ুন>>মাগুরায় হঠাৎ কোটিপতি ইন্দ্রজিতের দখলদারিত্বে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সভাপতি আলমগীর বলেন, আপনার কাছে যে গ্রামটির কথা শুনলাম, আমার ইচ্ছে করছে এখনই গিয়ে দেখে আসি। আমি মনে করি যে ব্যক্তি গ্রামটি নির্মাণ করেছেন, তার মতো করে দেশের সকল বিত্তবানদের কোনো না কোনো ভূমিকা রাখা উচিত একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে। শফিউদ্দিন শামীমকে অনেক ধন্যবাদ ।

গ্রামটির প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি এজেড এম শফিউদ্দিন শামীম বলেন, আমি দেখেছি অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী আছে আমাদের সমাজে। যারা সঠিক পরিবেশ না থাকায়, আবাসন না থাকায় অল্প বয়সে কর্মজীবনকে বেছে নিচ্ছে। আমি এমন মেধাবীদের ভালো ভবিষতের জন্য প্রকল্পটির পরিকল্পনা শেষ করেছি।

google news newsasia24

Follow

রাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফুয়াদ আল খতিব নামের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।

ফুয়াদ আল খতিব শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।

rajsahi-student-die-man-newsasia24প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম জানান, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বাড়ি থেকে ফিরে হলকক্ষেই ছিলেন ফুয়াদ। কিন্তু রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং তাকে অনেক ডাকাডাকি করেন।

আরও পড়ুন>>রাজশাহীতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ

কিন্তু কোনো শব্দ পাওয়া না যাওয়ায় এবং শরীর ঠান্ডা দেখে প্রাধ্যক্ষকে জানান। তখন তিনি ঘটনাস্থলে যান।

পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রাধ্যক্ষ আরও জানান, ওই রাবি শিক্ষার্থী সিঙ্গেল কক্ষেই থাকতেন। তার কক্ষের দরজা খোলা ছিল এবং মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। শরীরেও কালশিটে দাগ ছিল।

আশপাশের কক্ষের কোনো শিক্ষার্থীই তার মৃত্যুর বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।

আরও পড়ুন>>ফেসবুকে ও বিকাশে প্রতারনা; আটক ৩

আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৃত শিক্ষার্থী ফুয়াদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম আমিনুল ইসলাম।

জানা গেছে, শনিবার রাতে তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে রাবি ক্যাম্পাসে ফেরেন।

আরও পড়ুন>>কুষ্টিয়ায় ভাই ভাইকে খুন

তারপর থেকে নিজের কক্ষেই ঘুমাচ্ছিলেন। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে দরজা খুলে কক্ষে প্রবেশ করে নিস্তেজ অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে।

google news newsasia24

Follow