শিরোনাম

শিরোনাম

খোকসায় বিএনপির শোক সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

ফাহিম শাওন: সাম্প্রতিক ছাত্র-জনাতার অন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় কুষ্টিয়ার খোকসায় বিএনপির শোক সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি আজ সোমবার (১৯ অগাষ্ট) উপজেলার একতারপুর হাট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক এম.পি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন আগেও তিনি বলেছিন, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমি দেশ ছেড়ে পালাতে পারি না। পালাবো না। ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর আমরা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলাম। আমরা কিন্তু দেশ ছেড়ে পালাইনি।

bnp news khoksa newsasia24

আরও পড়ুন:

সনাতন ধর্মাবল্মীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আমরা সবাই ভাই ভাই। আমরা এক অপরের সাথী। আপনাদের উপর কেও যদি অত্যাচার করে তাহলে তাকে বেঁধে ধোলাই দিয়ে আমাদের খবর দেবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।

এছাড়াও তিনি অন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে খোকসা থানা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক রবিন রায়হান জসিম, শিমুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মমিন উজ্জামান মমিন, বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজ, খোকসা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক রকোনুুজ্জামান রোকন, খোকসা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ আরও নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

শিপনকে একা পেয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে তালেব

ফাহিম শাওন: কুষ্টিয়ার খোকসায় দুর্বত্তের হামলায় শিপন(৪২) নামের এক ব্যক্তি মারাত্বক আহত হয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিপন খেকসা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

গত শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) খোকসার বেতবাড়ীয়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত শিপন এলাকার হোসেন মন্ডলের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আহত শিপনের সাথে একই এলাকার তালেব মন্ডল (৫০) এর দীর্ঘ দিন জমি চাষাবাদ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শিপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে তালেব মন্ডল। সেই সুযোগ পেয়েও যায় তালেব।

গত শুক্রবার মাঠের কাজ শেষ করতে শিপনের সন্ধ্যা হয়ে যায়। এই সুযোগে আগে থাকা ওৎ পেঁতে থাকা তালেব তাকে হত্যার প্রস্তুতি নেয়। এক পর্যায় শিপন পাওয়ারটিলার নিয়ে মাঠ থেকে রাস্তায় উঠা মাত্রই লোহার রড দিয়ে মাথায় এলোপাথারি আঘাত করতে করতে থাকে তালেব।

shipon news khoksa newsasia242
রডের আঘাতে আহত শিপন মন্ডল। মাথার দুপাশে শেলায় দেয়া হয়েছে। ছবি: নিউজএশিয়া২৪

রডের আঘাতে মাথে ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় শিপনের। একপর্যায় শিপনের চিৎকার দিলে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসলে তালেব দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এক পর্যায় শিপন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তারা তাকে উদ্ধার করে খোকসা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আজ রবিবার (১৮ আগষ্ট) শিপনের বড় ভাই লিটন মন্ডল খোকসা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় কঠোর শাস্তির দাবি করেন শিপনের পরিবারের লোকজন।

আঙুল ছোঁয়ালেই চার্জ হবে স্মার্টফোন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: সারাক্ষণ স্মার্টফোনটি ব্যবহার করছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই ফোন চার্জ করতে ভুলে যান। সঙ্গে চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংক না থাকায় অনেকবার ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। তবে এখন আঙুল ছোঁয়ালেই স্মার্টফোন চার্জ হয়ে যাবে।

অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই, যে এটা কীভাবে সম্ভব! একেই সম্ভব করেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। কয়েক বছর আগে, বিজ্ঞানীরা এমন একটি ডিভাইস তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে আঙুল দিয়েই ফোন চার্জ করা সম্ভব। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এটি ঘাম থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। বর্তমানে এই ডিভাইসটি আবার জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।

ডেইলি মেইলের খবর অনুযায়ী, এই ডিভাইসটি তৈরি করেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। তাদের মতে, ঘুমানোর সময় ডিভাইসটি পরলে ঘাম থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। স্মার্টফোন বা ঘড়ি সেই বিদ্যুৎ দিয়ে সহজেই চার্জ করা যায়। তারা বলেছেন যে, আঙুলে প্রায় ১০ ঘণ্টা পরা থাকলে এটি ২৪ ঘণ্টা ফোন চার্জ করতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন>>ইলেকট্রনিক মুদ্রা গ্রহণকারীদের সুরক্ষায় নতুন আইন

এটি দিয়ে ফোন চার্জ করা এত সহজ নয়। গবেষক দল বলছে, এই স্ট্রিপটি আঙুলের সঙ্গে লাগানো যাবে। ঘুমানোর সময় আর্দ্রতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। একটানা ৩ সপ্তাহ পরার পর ফোনটি চার্জ করা যাবে। এই সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ এখনো চলছে।

এই ডিভাইসটি দেখতে অনেকটা ব্যান্ডেডের মতো। এটি আঙুলের উপর আটকানো হয়। এটিতে কার্বন ফোম ইলেকট্রোডের প্যাডিং রয়েছে, যা ঘাম শোষণ করে। তারপর এটি বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।

আরও পড়ুন>>ইন্টারনেটের খরচ কমেছে

ডিভাইসটি একটি পাতলা, নমনীয় ব্যান্ডেজ যা আঙুলের চারপাশে প্লাস্টারের মতো মোড়ানো যায়। কার্বন ফোম ইলেকট্রোডের প্যাডিং ঘাম শোষণ করে তা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। যখন হাত ঘামে ভিজে যায় বা স্ট্রিপের উপর চাপ পড়ে তখন এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই ডিভাইস আবিষ্কারের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সবার জন্য বাজারে আনা হয়নি। কবে আসতে পারে তাও জানা যায়নি।

google-news-channel-newsasia24

মাইগ্রেন নারীদের বেশি হয়

লিমা পারভীন: মাথার ভেতরের রক্ত চলাচলের তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হয়। রক্ত চলাচল কমে গেলে হঠাৎ করে চোখে সব অন্ধকার দেখা যায় এবং পরে রক্ত চলাচল হঠাৎ বেড়ে গিয়ে প্রচ- মাথাব্যথার অনুভূতি তৈরি হয়।

চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজন মহিলার একজন এবং প্রতি পনেরোজনে একজন পুরুষের মাইগ্রেন হয়ে থাকে।

কারণ মহিলাদের হরমোনাল চেঞ্জ বেশি হয়। মাসিক, প্রেগনেন্সি ও মেনোপজÑ এগুলো মাইগ্রেন পেইনের সঙ্গে রিলেটেড। অনেক সময়ে মেনোপজের পর মাইগ্রেনের সমস্যা কমতে থাকে, আবার পিরিয়ডের আগে এটি বেশি হয়ে থাকে।

সাধারণ লক্ষণ : মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তি বোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। চোখের ওপর হালকা চাপ দিলে আরাম লাগে। মাথার দুই পাশে কানের ওপর চাপ দিলে এবং মাথার চুল টানলেও ভালো লাগে। তখন শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় মাথাব্যথা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন>>দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে, জানেন কী?

করণীয় : মাইগ্রেন থাকলে প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। যেসব খাবার খেলে ব্যথা শুরু হতে পারে, যেমন কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রিম, মদ ইত্যাদি একদম বাদ দিতে হবে। বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। জন্মবিরতিকরণ ওষুধ যারা খায়, তাদের সেটা সেবন না করাই শ্রেয়। প্রয়োজনে অন্য পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেতে পারে। পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেন অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।

আরও পড়ুন>>বিয়ের পর স্ত্রীকে একঘেয়ে লাগলে কী করবেন?

চিকিৎসা : নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন মাইগ্রেন সমস্যা নিয়ে। বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানোর জন্য ডাক্তার সাধারণত পিজোটিফেন, অ্যামিট্রিপটাইলিন, বিটাব্লকার-জাতীয় ওষুধ কার্যকর। মাথাব্যথা শুরু হলে প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ওষুধ ভালো। বমির ভাব কমানোর জন্য মেটোক্লোর প্রোমাইড, ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ওষুধে মাথাব্যথা না কমলে সুমাট্রিপটান, আরগোটামাইন-জাতীয় ওষুধে অনেক সময় যথেষ্ট স্বস্তি পাওয়া যায়।

google-news-channel-newsasia24

তারেক রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাস

নিজস্ব প্রতিনিধি: কার্টুনিস্ট মেহেদি ফারুক গত ৭ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি কার্টুন শেয়ার করেন। এতে তারেক রহমানকে নেতিবাচক চরিত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

সেই কার্টুন রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে শেয়ার করেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তাকে নিয়ে নেতিবাচক কার্টুন বানানো হলেও তিনি এর প্রশংসা করেছেন। নেটিজেনরা তার প্রশংসা করে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, সমালোচনার প্রশংসা করে গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘আমি গভীরভাবে আনন্দিত যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হয়েছে। ২০০৬ সালের আগে বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট বিশেষ করে শিশির ভট্টাচার্য প্রায়ই আমার মা (খালেদা জিয়া) ও আমাকে নিয়ে কার্টুন তৈরি করতেন।’

তিনি লেখেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে জোরপূর্বক গুমের শিকার হতে দেখেছি। তার কাজের জন্য তাকে অকল্পনীয় নির্যাতন এবং কারাবরণ করতে হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেকে একই ধরনের নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন।’

পোস্টে তিনি আরও বলা হয়, ‘শিশির ভট্টাচার্য অবশেষে কার্টুন তৈরি করা বন্ধ করে দেন। আমি কার্টুনিস্ট মেহেদির ভক্ত, শিশির ভট্টাচার্যের কাজও উপভোগ করতাম। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, তিনি শিগগিরই আবারো নিয়মিত রাজনৈতিক কার্টুন তৈরি শুরু করবেন।’

গত ১৬ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে থাকা তারেক রহমান দেশে যোগাযোগ করছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। গত বৃহস্পতিবার তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা করেছেন বিএনপির মহাসমাবেশে। মেহেদি ফারুকের আঁকা কার্টুনে বোঝানো হয়েছিল, ক্ষমতা লিপ্সায় তারেক রহমান ভার্চুয়াল দুনিয়া ছেড়ে বাংলাদেশের দিকে আসছেন।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

মন্দিরে পদপিষ্টে ৭ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিহারের বাবা সিদ্ধনাথ মন্দিরে শিবের মাথায় পানি ঢালাকে কেন্দ্র করে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই। যাদের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সোমবার সকালে জেলাশাসক অলংকৃতা পাণ্ডে জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

বিহারের জেহনাবাদ জেলার বাবা সিদ্ধনাথ মন্দির রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিবমন্দির। শ্রাবণ মাসে সেখানে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিড় বেশি থাকে। রবিবার রাতে শিবপূজা উপলক্ষেই অনেক ভক্তের সমাগম হয়েছিল মন্দিরটিতে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। অনেকে ভলান্টিয়ার হিসেবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। একসময় ভিড় বেড়ে যাওয়ায় তারা পুণ্যার্থীদের তাড়া দেন।

এমনকি অভিযোগ, লাঠিও চালানো হয় ভিড়ের ওপর। তার পরেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মন্দির থেকে বেরোনোর জন্য। এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। আহতের সংখ্যা ৩০-এর বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার সকালে মৃত এবং আহতদের স্বজনরা মন্দির চত্বরে জড়ো হন। কিন্তু দেহগুলি শনাক্ত করা যায়নি এখনো। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তার পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

কিছু দিন আগে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে একটি ধর্মীয় জমায়েতে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক ভক্তের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বিহারে আবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জমায়েতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

আরও পড়ুন

google-news-channel-newsasia24

বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক ও লোগো

নিজস্ব প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।

বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।

এর আগে দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের পোশাক-লোগো পরিবর্তন করা হবে।

কারণ হচ্ছে, কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আর এ পোশাকে ফিরতে চান না। অর্থাৎ নতুন পোশাক ও লোগো নিয়ে কর্মে ফিরতে চান। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ বাহিনীর পোশাক ও লোগোর পরিবর্তন করা হবে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

খোদার কসম এটা মুক্তি পাওয়ার পরে তোমরা ভাইবো না আমি আগেই জানতাম

বিনোদন ডেস্ক: নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে ফারুকী নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দিয়ে নিজের নতুন সিনেমার খবর জানিয়েছেন।

এ ফারুকী পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজকে নতুন সরকার দায়িত্ব নিবে। এক সময় ভাবছিলাম এই ফ্যাসিজমের থেকে বোধ হয় আমাদের জীবদ্দশায় আর মুক্তি নাই।

বাংলার সর্বস্তরের তরুণেরা আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তির খোঁজ দিয়েছে। এদের সবাইকে স্যালুট এবং প্রফেসর ইউনুসকে অভিনন্দন জানানোর মধ্য দিয়ে আমার অনলাইন অ্যাকটিভিজমের আপাতত বিরতি। এখন সময় আমার নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার।’

এ নির্মাতা লেখেন, ‘এর আগের অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আমি বানাই ৪২০। প্রকৃতির কি বিচিত্র খেয়াল আবার আসছে সেরকম একটা দুষ্ট কিছু, তাও আরেক অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে,যেটার শ্যুট করছি ফ্যাসিবাদের কালে। খোদার কসম এটা মুক্তি পাওয়ার পরে তোমরা ভাইবো না আমি আগেই জানতাম এই সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার আসবে। নাইলে এইটা কোন সাহসে বানাইলাম?’

আরও পড়ুন :

সবশেষ ফারুকী লেখেন, ‘সো, গাইজ গেট রেডি ফর আ ওয়াইল্ড রাইড সুন। ডিটেলস কামিং শর্টলি। আপাতত এইটুকু বলা যাক, এটা আমার প্রিয় জরা – পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। আর কে না জানে, স্যাটায়ার হচ্ছে সেই চাবুক যেটা ক্ষমতাবানদের আতঙ্কিত করে। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

google-news-channel-newsasia24

‌‌‌‌‌‌‍দেশ ও দল বাঁচাতে, ময়দানে নামছেন হাসিনাপুত্র জয়!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এবার দেশ ও দল বাঁচাতে রাজনীতির ময়দানে নামবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়! সক্রিয় রাজনীতিতে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত তিনি। নিজেই জানিয়েছেন হাসিনাপুত্র। দল আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এই মুহূর্তে আমেরিকার ওয়াশিংটনে রয়েছেন জয়। হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। একের পর এক ভিডিও বার্তাও দিচ্ছেন।

বাংলাদেশে হামলার শিকার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। যা নিয়ে সরব হয়েছেন হাসিনাপুত্র। রাজনীতিতে নাম লেখানোর তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কি সিদ্ধান্ত বদল করলেন তিনি?

এনিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে জয় জানান, “এই মুহূর্তে আমাদের দল এবং কর্মীরা সংকটে রয়েছেন। তাঁদের হিংসার হাত থেকে বাঁচাতে যা যা করার দরকার, তা আমি করব।

যদি রাজনীতিতে নামা প্রয়োজন পড়ে আমি পিছিয়ে আসব না। আমার রাজনীতিতে আসার তেমন কোনও ইচ্ছে ছিল না। আমেরিকাতেই পাকাপাকিভাবে থাকতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে ভাবাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে, দেশের নেতৃত্বে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। দলের স্বার্থে আমি সক্রিয় রাজনীতির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

আরও পড়ুন:

দল ও বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতেই হবে। আমি সামনে এগিয়ে যাব।”

দিন দুয়েক আগেই ভিডিও বার্তায় জয় জানিয়েছিলেন, “আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা বাদ দিয়ে কোন দল যদি আলোচনার জন্য এগিয়ে আসে তা হলে আমরা সকলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশে এখন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো গণতান্ত্রিক বড় দল। আওয়ামী লীগ মরে যায়নি।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই এই দলকে কোনওদিন শেষ করা সম্ভব নয়।” ফলে এই বক্তব্য থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল যে মায়ের উত্তরসূরি হিসাবে রাজনীতিতে নামতে আগ্রহী জয়।

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা

খোকসা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শহরের ময়লা পরিস্কারের কাজ করতে দেখে খুশি খোকসার মানুষ। এদেরকেও সহযোগিতা করছে এলাকার মানুষ।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১২ টা থেকে তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে কাজ শুরু করেন।

Khoksa student newsasia24 2
কুষ্টিয়ার খোকসার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, ছবি: নিউজ এশিয়া ২৪

এসময় শিক্ষার্থীরা সবার উদ্যেশে বলেন, আপনারা যেখানে শেখানে ময়লা আর্বজনা ফেলবেন না। ময়লাগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবেন।

আরও পড়ুন :

এছাড়াও সড়কের কোথাও কোন প্রকার চাঁদা দিতে নিষেধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ খোকসা থানা শাখার পক্ষ থেকে এলাকার পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার মানুষের শান্তি ফেরাতে, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারামারির হাত থেকে রক্ষা করতে রাতে পাহারার দিচ্ছেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ খোকসা থানা শাখার স্বেচ্ছা সেবক কর্মীরা।

google-news-channel-newsasia24