শিরোনাম

সারাদেশ

কক্সবাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি: রিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহত রিনা আক্তারের ছেলে মো. ফয়সাল ওসমানী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদরে রিনা আক্তার (৪০) নামে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রিনা আক্তার ওই এলাকার আবু নাছেরের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু নাছের ও দারোয়ানসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিল্টন শাহ বলেন, নিহতের বড় ছেলে ফয়সাল বাদী হয়ে আসামি অজ্ঞাত রেখে এজাহার দিলে মামলা রজু হয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

google-news-channel-newsasia24

পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

ফরিদপুর প্রতিনিধি: পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথার সোনাপুর ইউনিয়নে। ধর্ষণের অভিযোগে মো. আবু বক্কার (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার ময়েনদিয়া এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া আবু বক্কার ওরফে লাল মিয়া পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা সোমবার রাতে সালথা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে আবু বক্কার ওরফে লাল মিয়া নামের ওই যুবক।

আরও পড়ুন:

পরে সোমবার রাতে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে পাশের একটি পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই যুবক। মেয়েটির চিৎকার শুনে উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কবিরুল হক বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় সালথা থানায় একটি এজাহার দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে সালথার ময়েনদিয়া এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: গাজীপুরে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায়।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তেলিরচালা এলাকায় শফিক খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে ৩০ জন গুরুতর আহত হওয়য় তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়েছে ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে গ্যাস সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি সিলিন্ডারটি বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন।

35 people burnt in gas cylinder explosion in Gazipu newsasia24 2

এসময় সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে রাস্তায় থাকা প্রায় ৩০-৩৫ জন দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:

পরের খবর আগে
  |

রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  |

তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

  |

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

পরের খবর আগে

অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন মোহাম্মদ মাইদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কুটি, মোহাম্মদ আরিফুল, মোহাম্মদ ইয়াসিন, মোহাম্মদ সোলেমান, মোহাম্মদ আকাশ, মোহাম্মদ নূর নবী, মোহাম্মদ নিরব, মোছাম্মৎ শিল্পী, মোহাম্মদ নাঈম মাহবুব মশিউর, মোতালেব।

google-news-channel-newsasia24

কালিয়াকৈর মৌচাক ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সোমবার বিকেল পৌণে ৪টায় কর্ণফুলীর একটি রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামে লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। ভেতরে এখনও আগুন জ্বলছে। বাহিরে ধোয়ার বের হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বুধবার (৬ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে আরও দুই-একদিন সময় লাগবে।

এদিকে আগুন লাগার পর চিনিকলের গুদামের অপরিশোধিত চিনির গলিত পানি সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে দূষিত হয়েছে নদীর পানি। গতকাল মঙ্গলবার থেকে নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১ নম্বর গুদামটির পোড়া চিনির গলিত পানি দুটি নালা হয়ে সরাসরি গিয়ে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছে। পানিতে পোড়া তেল ও ফেনার মতো ভাসছে চিনির বর্জ্য।

আরও পড়ুন>>চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে মারছে মাছ। স্থানীয়রা নদী থেকে হাত দিয়েই মাছ ধরছে। আবার কেউ কেউ জাল ফেলেও মাছ ধরছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকেই নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে হাত দিয়েই নদীতে মাছ ধরা যাচ্ছে। এভাবে দূষণ হতে থাকলে নদীর মাছ প্রায় হারিয়ে যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কারখানার ড্রেন ও নদী থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>>অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

তিনি বলেন, নমুনা পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পানির বিভিন্ন উপাদানের কী ক্ষতি হয়েছে তা বলতে পারবো।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। চিনির আগুনে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে আগুন নেভাতে সময় লাগছে।

এস আলম গ্রুপের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) মো. হোসেন রানা বলেন, একই স্থানে মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার এক নম্বর গুদামে আগুন লাগে।

এ গুদামে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। সবই পুড়ে গেছে। যার মূল্য হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন>>ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, চিনিকলের আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা বাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিপুলসংখ্যক সদস্য সহযোগিতা করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow
পরের খবর আগে
আরও পড়তে পারেন |

ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

আরও পড়তে পারেন |

অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

আরও পড়তে পারেন |

চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

পরের খবর আগে

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০৫০ সালে বাংলাদেশের সকল জেলার বেকারদের দিবেন তিনি কর্মসংস্থান,করবেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন । দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে কীভাবে এই দেশকে জাগিয়ে রাখা যায় সেই গবেষণা থেকেই একটি থিউরি আবিষ্কার করেন এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতারক সামসু উদ্দিন আহমেদ রিয়াদ(৪৫)।

নিজ থিউরি অনুযায়ী প্রতারক রিয়াদ বিভিন্ন জেলার কমশিক্ষিত বেকাদের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসেন ঢাকায় । চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে প্রতারক রিয়াদ নেন ব্ল্যাঙ্ক চেক ও ৩/৪ টা করে ফাঁকা স্ট্যাম্প। চাকুরীতে কিছুদিন যেতে না যেতে বিভিন্ন অজুহাতে রিয়াদ তাদের করেন চাকুরীচ্যুত।

পরবর্তিতে রিয়াদ ফিরেন তার পূর্ণরূপে, ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে রিয়াদ দেন চেক ডিজনার মামলা। চেক মামলায় রায় হয়ে যাবে ভয় দেখিয়ে রিয়াদ আদায় করেন টাকা। কুরিয়ার সার্ভিস নয় যেনো মামলার হাট বসিয়েছেন রিয়াদ। যে-হাটে একবার ক্রেতা হয়ে ঢুকলে আপনাকে মামলা নিয়ে বাড়ি যেতে হবে। মামলা ছাড়া আপনাকে বাড়ি ফিরতে দিবে না রিয়াদ।

সাম্প্রতিক সময়ে মাসুদ হোসাইনসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী ডিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ করলে উঠে আসে এমনই এক চঞ্চল্যকর তথ্য।

এই বিষয়ে এজে আর কুরিয়ার সার্ভিস এর সাবেক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে একটা চুরির মামলা দিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা চুরির মামলায় ১ মাস জেল খেটে জামিনে বের হলে পূনরায় আমায় দেয় আরেকটি চেকের মামলা উক্ত চেক মামলায় দেখানো হয় ১৩ লক্ষ টাকা, চুরির মামলা কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি বলে মামলাটি আদালত থেকে খালাস হয়ে যায় ।

Courier service is not a court of law! newsasia24

আরও পড়ুন: 

পরবর্তিতে আমাকে উক্ত চেকের মামলা রায় হয়ে যাবে বলে ভয় দেখি এক পর্যায়ে আমি ৪ লক্ষ টাকা রফাদফা করি, ৪ লক্ষ টাকা আমি গ্রামে বাড়ি থেকে দার দেনা লোন করে এনে দিলে ও এখনও আমায় দেয় নি কোনো লিখিত কাগজ,কাগজ চাইলে ও বলে পরে আসেন ।

আরেকজন ভুক্তভোগী এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজ এশিয়া২৪কে বলেন,আমাকে প্রথমে ৮ লক্ষ টাকার একটি চুরির মামলা দেয় রংপুরে আমি ৪৪ দিন কারাগারে ছিলাম,জামিনে বের হওয়ার পর ঐ যে আমার চাকুরী তে যোগদানের সময় একটি ব্ল্যাংঙ্ক চেক ছিলো সেই চেকে আমাকে আবার ১৬ লক্ষ টাকার আরেকটি মামলা দেয় ঢাকার আদালতে ।মামলা তুলার জন্য বারবার অফিসে গেলে আমার কাছ ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের আরেক ভুক্তভোগি সাবেক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন(২৫) সুপারভাইজ তিনি বলেন এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের মামলাবাজ এমডি আমাকে মোট ৫ টা মামলা দিয়েছে একটা চুরির মামলা,একটা হাফ মার্ডার মামলা,একটা অপহরন মামলা,২ টা চেক এর মামলা ।সুধু দর্শন মামলা দেওয়া বাদ ছিলো বলে জানান তিনি ।

আরেক ভুক্তভোগী মাসুদ হোসাইন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ২০১১ সাল থেকে এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মরত ছিলাম,চাকুরী তে নিয়োগের সময় কোম্পানিটি আমার একটি ব্লাঙ্ক চেক রাখে ফেরতযোগ্য বলে।কোম্পানীটির বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি দেখে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেই ।

অব্যহতির ২ বছর পর কোম্পানীটি তে থাকা আমার ঐ ব্লাঙ্ক চেকে আমাকে ২৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০০ টাকার একটি মামলা দেয় ।কাগজে কলমে উল্টো কোম্পানীটির কাছে আমি ৫ মাসের বেতন পাই সেটা না দিয়ে উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে প্রতিনিয়ত।তাই আমি কোম্পানীর মামলাবাজ মালিক রিয়াদের যথাযত শাস্তি দাবী করছি।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) মাহবুবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কোম্পানীটি তে শুরু থেকে কাজ করে আসছি জিএম হিসেবে,কোম্পানীতে নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি স্টাফদের কাছ থেকে ২ বা ৩ টি ব্লাঙ্ক চেক ও ফাঁকা ৩/৪ করে স্ট্যাম্প নিয়ে থাকি,যারে করে ঐ স্টাফ গুলো চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে চাইলে বা চলে গেলে আমরা ঐ চেকে তাদের নামে মোটা অংক বসিয়ে মামলা দিয়ে দেয় মালিক রিয়াদ সাহেবের পরামর্শে।স্টাফদের চেক ও স্ট্যাম্প রিয়াদ তার কাষ্টোরিতে রাখে বলে ও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: 

ভ্যাট ট্রেক্স কিভাবে দেয় সেটা জানতে চাইলে তিনি বলে কি আর বলবো ভাই মানুষের ভিতরে একটা মনুষ্যত্ববোধ থাকে না তার ভিতরে মনুষ্যত্ববোধ ও নাই ।রিয়াদ সাহেব সরকার’কে কি পরিমান ভ্যাট ফাঁকি দেয় তা আপনাদের বলে বুজাতে পারবো না।মাসে তার ইনকাম ১২ কোটি টাকা সরকার কে ভ্যাট দেয় রিয়াদ ১ লক্ষ টাকা।

স্থাপনার ভ্যাট না দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রতিটি অফিসের ডিড দুই নাম্বার করছে সরকার কে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া জন্য ।বরিশাল সহ বেশ কয়েক জেলায় এরই মধ্য ভ্যাটের লোক হানা দিয়ে তার আসল রহস্য উদঘাটন করে পেলেছে কুড়িগ্রামে এরই মধ্যে দুই নাম্বার ডিট দেওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা ও দিয়েছে রিয়াদ সাহেব। হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেখায় ৬ হাজার টাকা হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেয় ৬ লক্ষ টাকা ।মালিটোলা অফিসের সেল আছে ৩০ লক্ষ টাকা ঐখানে সেল দেখায় ১৫ হাজার টাকা।

আরেকটা গুরুত্বপূন্য তথ্য হলো এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে তার ফিটনেস বিহীন কাবার ভ্যান এর সংখ্যা একশত(১০০) এর অধিক ।ফিটনেস না থাকা সত্তেও এই কাভারভ্যান গুলো সারা বাংলাদেশে তার মাসিক হারে চলে যেটাকে আমরা মান্তলী বলি।রাস্তায় সার্জেট পুলিশ ধরলে তাদের একটি মান্তলী কাগজ দেখায় যেই কাগজ প্রতিটি গাড়িতে থাকে ।মাস শেষে প্রতিটি সার্জেন্ট টিআইদের বিকাশ নাম্বার টাকা পাঠিয়ে দেন রিয়াদ সাহেব।

যে পরিমান অনিয়ম রিয়াদ সাহেব করেন তা আপনাদের বলে বুজানো যাবে না তবে এইভাবে একটা কোম্পানী চলতে পারে না।

সরজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, প্রতারনার মাধ্যমে রিয়াদ আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা ।আয়ের মূল উৎস হলো সারাদেশে বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক আনা-নেওয়া ডেলিভারী করা,মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ,মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার,ট্রেক্স ফাঁকি দেওয়া সিগারেটসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল রিয়াদ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌছে দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে । বেশ কয়েকবার রিয়াদের বিভিন্ন শাখা অফিস থেকে বিপুল পরিমান মাদক,মেয়াদ উত্তীন ভেজাল ওসুধ মাদকসহ নানা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছে র‍্যাব,পুলিশ,মহানগর ডিবিসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

প্রতারনার টাকায় রিয়াদ ঢাকাসহ নিজ এলাকা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় ও নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড় ও ক্রয় করেছেন বিঘায় বিঘায় জমি ।আত্মসাৎ ও প্রতারনার টাকায় রিয়াদ চড়েন কালো রংয়ের ল্যান্ড ক্রুজার প্যারাডো গাড়িতে ।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া প্রতারক রিয়াদ এর এমন উত্থান দেখে হতবাগ তার নিজ এলাকার লোকজন,অনেকে বলছেন আলাউদ্দিন এর আর্চর্য চেরাগ পেয়েছেন রিয়াদ । তা নাহলে এতো তাড়াতাড়ি রিয়াদ কিভাবে হয় এতো সম্পদ এর মালিক ? নতুন হাতিয়ার হিসেবে রিয়াদ নেমেছেন এখন রাজনীতির মাঠে দুই হাতে টাকা উড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ।

সেনবাগ উপজেলার বেশ কয়েকজন নবীন ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, রিয়াদের সাংগঠনিক কোনো পদ-পদবী নেই অবৈধ উপায়ে কিছু টাকা ইনকাম করছে তা দিয়ে নিজেকে নেতা বানানোর মিথ্যা চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।মেম্বার হওয়ার যার ক্ষমতা নেই তিনি কিভাবে হবে উপজেলার চেয়ারম্যান ?এটা তো ভাবায় যায় না।এমন লোক কে আমরা সবাই বয়কট করলাম ।

আরও পড়ুন:

প্রতারক রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগ,গত ৭/২/২০১৮ সালের কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট,ঢাকা কর ফাঁকির দায়ে রিয়াদ কে (৫,৩২,৬২,৬২৫,৬৪) পাঁচ কোটি বত্রিশ লক্ষ বাষট্টি হাজার ছয় শত পঁচিশ টাকার ভ্যাটের মামলা ।যা না দিয়ে রিয়াদ করেছে ব্যবসা।

রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে ২ অক্টোবর-২০২০ সালের ৪২০/৪৬৮/৪৭৩/৫০৬/১০৯ পেনাল কোর্ড যোগসাজসে সরকারী সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,ডিএমপি কমিশনার,ঢাকা রেন্জ ডিআইজির সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা ।এতো অভিযোগের পর ও প্রতারক রিয়াদ আছেন বহাল তবিয়তে ?

প্রতারক রিয়াদ গড়ে তুলেছেন অপরাধ চক্র ।তার চক্রের অন্যতম মূলহোতা গিয়াস উদ্দিন শেখ,যার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ প্রতারনার মামলায় বেশ কয়েকদিন গিয়াস উদ্দিন শেখ ও আল-মামুন জেল খেটেছেন।কিন্তু জেল খাটে নি প্রতারক রিয়াদ ,হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলে ও উক্ত মামলার সার্জসিট ভুক্ত আসামী রয়ে গেছেন প্রতারক সামসু উদ্দিন রিয়াদ ।উক্ত চক্রের সদস্য আল মামুন,শিমুল,রাকিব নুরে আলমসহ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।

চেক মামলার রায় করতে পারলে টাকার গুলো ভাগ-ভাটোয়ারা হয় সবার মধ্য এমনই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মহানগর পুলিশ ।

আরও পড়ুন:

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতারক রিয়াদের বিষয়ে জানতে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃআশরাফ বলেন,এমই এক অভিযোগ আমরা ডিএমপি কমিশনার স্যারের অফিস থেকে পেয়ে আমরা তদন্ত করছি সত্যতা পেলে নিয়মিত মামলা নিবো।

এই বিষয়ে রিয়াদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদউত্তর দিতে পারেননি।

 

ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আজ সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪) বিকেল ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল বর্তমানে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। তিনি কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।

শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক মাঝে মধ্যেই অস্ত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে আসতেন।

আরও পড়ুন>>চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

যতটুকু জেনেছি, আজ তিনি অসময়ে তার ক্লাস নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তার ক্লাস করতে অপারগতা জানায়। এই নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষক তার পায়ে গুলি করেন।

কলেজ শিক্ষার্থীরা জানায়, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ক্লাস চলাকালে সময় ছাড়াও প্রায় সময় তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন।

আরও পড়ুন>>অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

এদিন বিকেলে ক্লাস চলাকালে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসের সময় শিক্ষক অষ্টম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে।

তার চিৎকারে সবাই এগিয়ে এসে ডা. রায়হান শরিফকে আটক করে তালাবদ্ধ করে রাখে। আহত অবস্থায় তমালকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী আন্দোলন করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী।

আরও পড়ুন>>নাটোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজ ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষক রায়হান শরিফ তমালের ডান পেয়ে গুলি করেন। ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে তমালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। আজ বিকেল ৫টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়।

আরও পড়ুন>>দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি যুবককে হত্যা

এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে আহত হন শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, নাজমুল হাসান: বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত বৃষ্টি খাতুনের পরিবারের আহাজারি থামছেই না।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নাম নিয়ে ঢাকায় সাংবাদিকতা করলেও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার নিজ গ্রামে তাকে সবাই চেনে বৃষ্টি খাতুন নামে। নাম নিয়ে জটিলতায় এখনো লাশ হস্তান্তর না হওয়ার পাশাপাশি নিজ গ্রামে লাশ দাফন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বৃষ্টির পরিবার।তবে তারা আশা করছেন মরদেহ আসলে কোনরকম সামাজিক জটিলতা ছাড়াই দাফন করা যাবে তার।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী । তিনি ঢাকায় লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন।

আরও পড়ুন>>মুসলিম নাকি হিন্দু? খোকসার বৃষ্টি খাতুন

অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর অভিশ্রুতির লাশ অন্য ৪৫ জনের মতো মর্গে নেওয়া হয়। পরিচয় শনাক্তের পর অন্যদের লাশ হস্তান্তর করা হলেও ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও অভিশ্রুতির লাশ হস্তান্তর হয়নি পরিচয় নিয়ে জটিলতায়।

আরও পড়ুন>>দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি যুবককে হত্যা

তবে আইনি জটিলতার শেষে লাশ হস্তান্তর হলে নিজ এলাকায় সবুজ শেখের মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের দাফন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে তার পরিবার। তবে আশা করছেন তারা আশা করছেন কোনরকম সামাজিক জটিলতা ছাড়াই দাফন করা যাবে করা যাবে তার দাফন। তবে বাধা সৃষ্টি হলে নিজ পারিবারিক কবরস্থানেই শেষ আশ্রয় হবে বৃষ্টি খাতুনের।

google-news-channel-newsasia24

Follow

নাটোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া পৌরসভার বালুভরা এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তৃশা রানী (১৪) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া পৌরসভার বালুভরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তৃশা রানী নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার জামনগর ইউনিয়নের চাপাপুকুর গ্রামের তাপস কুমারের মেয়ে ও কৈপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নান জানান, সোমবার সকাল ৭টায় রানীনগরের ভাণ্ডার গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তৃশা তার বাবার মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি বাগাতিপাড়া যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন:

এ সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘাতক ট্রাকটিকে স্থানীয় জনতা তাড়া করে আটক করেছে।

সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে। আর ঘাতক ট্রাক আটক রয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

“ভাইস চেয়ারম্যান” পদ প্রার্থী আব্দুর রহিম সরদার গণ সংযোগ করলেন বেনাপোলে

বেনাপোল প্রতিনিধি: আসন্ন ৬ষ্ঠ জাতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শার্শা উপজেলায় “ভাইস চেয়ারম্যান” পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বলিষ্ঠ কন্ঠঃস্বরের অধিকারী,রাজপথের লড়াকু সৈনিক,অত্র উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি-আব্দুর রহিম সরদার।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিজের শতভাগ জয়লাভের আশা নিয়ে প্রায় প্রতিদিন শার্শা উপজেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত ছুটে চলেছেন ভোটারদের দোয়া ও সমর্থণ পাওয়ার আশায়।

শনিবার(২ মার্চ) বিকালে তিনি অত্র উপজেলার বন্দর সংলগ্ন ৪নং বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তার কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।

আরও পড়ুন>>প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকা

সেখানে পৌছলে,সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান-মোঃ বজলুর রহমান সহ ঐ পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মেম্বর এবং ওয়ার্ড আ.লীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ মহিলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ,শ্রমিকলীগ এবং বেনাপোলের গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ তাকে স্বাগত জানান।

ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনঅফিসিয়ালী অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ব্যাক্তিবর্গকে ছালাম জানিয়ে প্রার্থী আব্দুর রহমান সরদার বলেন-“ছাত্র জীবণের অবসান ঘটিয়ে জনসেবায় কাজ করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ৬ষ্ঠ জাতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছি। আপনাদের দোয়া ও সমর্থন চাই”।

আরও পড়ুন>>মুসলিম নাকি হিন্দু? খোকসার বৃষ্টি খাতুন

“আমাকে এ নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে এ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডকে উন্নয়নের রোল মডেল সহ গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ চাই। আমি নির্বাচিত হলে আমার এ উপজেলায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে ও জুয়া বন্ধে কাজ করে যাব। এ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডকে ডিজিটাল ও আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলবো। এ জন্য সকলের দোয়া ও সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি”।

সভা শেষে তিনি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ঐ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যান এবং সাধারণ ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং নির্বাচনে জয়লাভে তাদের দোয়া ও সমর্থণ চান।

google-news-channel-newsasia24

Follow

মুসলিম নাকি হিন্দু? খোকসার বৃষ্টি খাতুন

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুসলিম নাকি হিন্দু? এই বিতর্কে মর্গে পড়ে আছে রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহত এক তরুণীর লাশ। তার বাবা দাবি করা ব্যক্তি বলছেন, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। তবে সহকর্মী ও পরিচিতরা বলছেন, লাশটি অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর।

আজ শুক্রবার (০১ মার্চ ২০২৪) বিকেল থেকে এই নিয়ে চলে পাল্টাপাল্টি লাশ দাবি।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা সবুজ শেখ। আগুনে পুড়ে মারা গেছে তার মেয়ে বৃষ্টি খাতুন- এমন খবর কানে আসার পর কুষ্টিয়া থেকে ছুটে এসেছেন ঢাকায়।

রাত থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে পড়ে থাকা মেয়ের লাশ দেখে সনাক্ত করেন তিনি। বাবা পরিচয় দেওয়া সবুজ শেখ বলেন, তিনি ও তার মেয়েসহ পরিবার মুসলিম ধর্মাবলম্বী। সেই অনুযায়ী দেখান বৃষ্টির পরিচয় পত্রের কপি।

আরও পড়ুন>>কনসার্টে নিয়ে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ

এরপরই বাঁধে বিপত্তি। লাশটি দেখে তার সহকর্মীরা দাবি করেন, নিহত তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব দে বলেন, নিহত ওই তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সনাতন ধর্মের অনুসারী তিনি। পূজার্চনায় নিয়মিত অংশ নিতেন রমনা কালী মন্দির ও ঢাকেশ্বরীতে।

বিপ্লব দে ও অভিশ্রুতির সহকর্মীরা দাবি করেন, তিনি দ্যা রিপোর্ট অনলাইন পোর্টালের ইলেকশন কমিশন বিটের রিপোর্টার। এই নামেই সবাই চেনেন তাকে।

অন্য একটি অফিসে যেই সিভি পাঠিয়েছিলেন সেখানেও তার নাম, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তার বাবা-মাকে খুঁজে বের করে তাদের হাতে লাশ বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি তাদের।

আরও পড়ুুুন>>ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন।

তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার সরকার বহন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

google-news-channel-newsasia24

Follow