নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তালিকায় ‘শীর্ষ’ মোটরসাইকেল চোর আবুল কালাম আজাদ ।
১৩ বছরে প্রায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছেন। ধরা পড়েছেন অন্তত ৪৫ বার। তাঁর বিরুদ্ধে ৫৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
চুরি ঠেকাতে চালকের কী ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া উচিত, এ বিষয়ে ‘চোরের গুরু’ আবুল কালাম আজাদ তিন ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন।
আবুল কালাম আজাদের প্রথম পরামর্শ হচ্ছে, মোটরসাইকেলে অ্যালার্ম লাগানো যেতে পারে। এতে করে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। কোনো মোটরসাইকেলে অ্যালার্ম বাজলে ধরা পড়ার ভয়ে চোর সেটি চুরি করতে আগ্রহী হয় না।
আরও পড়ুন>>মাগুরায় হঠাৎ কোটিপতি ইন্দ্রজিতের দখলদারিত্বে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
দ্বিতীয়ত, জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো যেতে পারে। এর মাধ্যমে খুব সহজে মোটরসাইকেলের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব।
আর তৃতীয়ত, উন্নত মানের ‘ডিস্ক লক’ ব্যবহার করা হলে সেটি ভাঙতে অনেক সময় লাগে। এ ধরনের তালা লাগানো থাকলে চোর ঝুঁকি নিতে চায় না।
আবুল কালাম আজাদ সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এর আগে গত ৫ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন।
সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন>>যাত্রী বেশে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, অনেকে মোটরসাইকেলের ‘হ্যান্ডল লক’ করে মোটরসাইকেল রেখে চলে যান। এটি মোটেও নিরাপদ নয়।
কারণ, এই লক ভেঙে মোটরসাইকেল চুরি করতে ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড সময় লাগে। আবার অনেকেই ‘ঢালাই তালা’ ব্যবহার করেন। এই তালা ভেঙে মোটরসাইকেল চুরি করতে দেড় মিনিটের মতো লাগে।