নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভিসামুক্ত চাইলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সিলেটের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত ১১তম ফ্রেন্ডশিপ ডায়লগের প্রথম দিনের অধিবেশন শেষে এসব কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, শিলচরের পর এই ডায়লগ উভয় দেশের নানা প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে খোলামেলা কথা হয়েছে।
উভয় দেশের সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথম দিনে পাঁচটি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরা হযেছে। পাঁচটির একটি ইকোনমিক, আরও আরও বিনিয়োগ।
এ ছাড়াও বিদ্যুৎ সমন্বয়ের কথা বলেছি। আমরা ভারত থেকে ১ হাজার ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনি, আরও কিনতে চাই। নেপাল থেকেও এনার্জি কিনতে ভারত আমাদের সাহায্য করবে।
তাছাড়া দেশের নদীগুলোর কথা বলেছি, যাতে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হয়। আগে নানা কারণে সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটতো। এখন সেগুলো কমেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। ঐতিহাসিক এই সম্পর্ক অনেক সুদৃঢ় ।
তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের এই ত্যাগের কথা কখনো ভুলবে না।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ সংলাপে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াবে।
স্পিকার বলেন, দুই দেশের সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই নীতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারত পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ভিনসেন পালা, ভারতের সাবেক সংসদ সদস্য স্বপন দাস গুপ্ত, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সাবেক মন্ত্রী ভিনসেন পালা বলেন, বাংলাদেশ ‘গুড গভর্নেন্স’ তৈরিতে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমান সরকার অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। সম্পর্ক ভালো থাকায় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় অনেকটা কমে গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সংলাপের প্রথম দিনে আলোচনা সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।