নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বরিশাল হয়ে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী হয়ে একেবারে পায়রা পর্যন্ত রেলসংযোগ নেওয়া পরিকল্পনা আছে, ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে। তবে এটা কঠিন কাজ, আমাদের মাটির সক্ষমতা একটু কম তবুও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।
আমাদের লক্ষ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা। সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মাওয়া প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা স্টেশনে উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে আমি আহ্বান করবো যে, বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি, বাংলাদেশ জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাবে, মাথা তুলে দাঁড়াবে।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি আমরা গড়ে তুলবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ পর্যন্ত ১০০ লোকোমোটিভ, ৬৯৮ যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ৫১৬টি মালবাহী ওয়াগন, ৫০টি লাগেজ ভ্যানসহ রেলওয়েতে সংযুক্ত হয়েছে।
আর বিভিন্ন রুটে ১৪৩ নতুন ট্রেন চালু হয়েছে, ১৩৪টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থা উন্নত এবং আধুনিক করা হয়েছে। আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।
-
আরও পড়ুন:
-
শুধু জনসংখ্যা নয়, বয়সের শ্রেণীবিভাগ ও তথ্য উপাত্ত জানা জরুরি
-
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভিসামুক্ত চাইলেন এ কে আব্দুল মোমেন
-
বিশ্ব নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হলো বাংলাদেশ
আমরা আশা করি বাংলাদেশে রেল যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বাড়বে। মানুষের জীবন মান আরও উন্নত হবে।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সেনাপ্রধান জেনারেল শেখ মো. শফিউদ্দিন আহমেদ এবং সচিব হুমায়ুন কবির।