শিরোনাম

স্বাস্থ্য

কিভাবে বাসন মাজলে মানসিক চাপ কমে!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আমাদের সবারই কম বেশী মানসিক চাপ থাকে। চাকুরী থেকে শুরু করে গৃহিনীদেরও থাকে নানা মানসিক চাপ। এই মানসিক চাপ আমাদের মাথা ব্যাথারও মূল কারণ।

মানসিক চাপ কমানোর জন্য আমরা নানা ধরনের কাজ করে থাকি। ঘুরতে চাওয়া, টিভি দেখাসহ নানা ধরনের কাজের প্লান করা হয়।

এই বিষয়ে দারুন একটা সমাধান দিয়েছেন গবেষকরা। জানতে চান ?

বাসন মাজুন। মনোযোগ দিয়ে বাসন মাজতে শুরু করেন। এতে মন ভালো হয়ে যাবে।

যারা রান্নাঘরে বাসন মাজতে ভয় পান, তারা এবার লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে কাজে নেমে যেতে পারেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরাবলেছেন, বাসন মাজলে মানসিক চাপ কমে যায়।

বাসন মাজার বিষয়টি খুঁজে দেখতে এ গবেষণা চালান গবেষকরা। মাইন্ডফুলনেস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।

নিবন্ধের অন্যতম লেখক হ্যানলি বলেন, ‘আমার আগ্রহের জায়গায় ছিল কীভাবে আমাদের সাংসারিক কাজকর্মকে মন প্রশান্তির জায়গা হিসেবে তুলে ধরা যায়, তা নিয়ে কাজ করা। বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদের গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের ক্ষেত্রে আমরা ইতিবাচক ফল পেয়েছি।

আরও পড়ুন: 

৫১ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, যারা বাসন মাজার সময় সাবানের গন্ধ, পানির উষ্ণতা কিংবা বাসনের স্পর্শে মনোযোগ দিয়েছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ কমে গিয়েছে। অন্যদিকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত উৎসাহ ফিরে পেয়েছে।

এভাবে, আপনার এভাবে আপনাদের মানসিক চাপটি কমেয়ে ফেলতে পারবেন।

google news newsasia24

ফলো করুন

শীতে সুস্থ থাকতে এই ৮ টি খাবার অব্যশই খাবেন! জেনে নিন বিস্তারিত..

লিমা পারভীন: শীতকালে সুস্থ থাকতে হলে বাড়তি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

শীতকাল যেন সর্দি, কাশি আর গলাব্যথায় না কেটে যায়, তার জন্য নিয়ম করে খেতে হবে কয়েকটি খাবার।

১. পাতিলেবু, মোসম্বি ও কমলা যেমন জোগান দিতে পারে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর, তেমনই মেটাতে পারে ফাইবারের ঘাটতি। শরীরে ভিটামিন ‘সি’ এর চাহিদা পূরণ করতে ‘সাইট্রাস’ জাতীয় ফলের জুড়ি মেলা ভার।

২. পেয়ারাতেও থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।

WINTER-SAFE-HEALTH-8-TIPS-NEWSASIA24

৩. অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ও ক্যানসার প্রতিরোধী গুণে সমৃদ্ধ পালং শাক কিন্তু শীতকালে সত্যিই হয়ে উঠতে পারে ‘সুপার ফুড’। ভিটামিন ও মিনারেলস তো রয়েছেই, তার সঙ্গে বাড়তি ওজন কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর সবুজ পালং শাক।

৪. শীতে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে ও তাজা রাখতে সিদ্ধ ডিমের ভূমিকা অনন্য। ডিম পুরো বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাবার। এটিতে রয়েছে অনেক বিস্ময়কর উপাদান, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারি এইজন্যই এটি খুব জনপ্রিয়। ডিমের মধ্যে রয়েছে ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড। ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, যেমন—বি২, বি১২, এ ও ই; রয়েছে জিংক, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় মিনারেল।

আরও পড়ুন>>বাবা-মায়ের ‘অসচেতনতায়’ ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে মৃগী রোগ

৫. শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজি দেখা যায়। শীতকালীন সবজির মধ্যে গাজর অন্যতম। যদিও এখন সারাবছরই প্রায় গাজর চোখে পড়ে। গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরে রয়েছে শক্তি, শর্করা, চিনি, খাদ্যে ফাইবার, প্রোটিন। এইজন্যই এটির একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের মধ্যে অন্যতম।

৬. শাক-সবজিকে এককথায় শীতের খাবার বলে থাকে। শীতকালে লালশাক, পালং শাক, পুঁই শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটোসহ অনেক ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যায়। শীতের সময় এইগুলো বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এই শাক-সবজিতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সহ আরও কার্যকরী উপাদান। যা শরীর সুস্থ রাখতে, শক্তি বৃদ্ধি করতে, শরীরের গঠন বাড়াতে ও মন সতেজ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুন:

৭. মধুর উপকারিতা সবারই জানা। শীতের সময় দেহ সুস্থ রাখতে মধুর ভূমিকা অনন্য। এটি অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এবং এর প্রয়োজনীয়তা দেখে প্রায় সব ডাক্তাররাই বলেছেন নিয়মিত মধু খাওয়ার জন্য। ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু খুবই উপকারি। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। ঘুমানোর আগে বা সকালের নাশতার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

৮. সবুজ চায়ে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শীতের দিনে দুই থেকে তিন কাপ সবুজ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

google news newsasia24

খুলনায় তথ্য মিলবে ভারতের আমরি হাসপাতালের

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: খুলনা থেকেই তথ্য মিলবে ভারতের আমরি হাসপাতালের। আমরি হাসপাতাল খুলনায় নিজেদের তথ্য কেন্দ্র খুলেছে ।

ভারতে চিকিৎসা সুবিধার জন্য ভারতের বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবাদানকারী আমরি হাসপাতাল খুলনায় নিজেদের তথ্য কেন্দ্র খুলেছে।

d.ropok borua

ফলে খুলনা সহ বাংলাদেশের সব স্থনের মানুষই এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।

আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে সোনাডাঙ্গা এলাকার আমীন ম্যানসনে আমরি হাসপাতালের কর্ণধার রুপক বড়ুয়া তথ্যকেন্দ্রটি উদ্বোধন করে।

তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রথিতযশা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক দত্ত।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রুপক বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমরি হাসপাতালের সম্পর্ক বহুদিনের।

খুলনা তথা বাংলাদেশের সব মানুষকে কলকাতার চারটি হাসপাতালের শ্রেষ্ঠতম চিকিৎসক ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে তা পৌঁছে দিতেই এ তথ্যকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

আরও পড়ুন:

এখন থেকে খুলনাবাসী নিজ শহরে বসেই আমরির ডাক্তারদের অ্যাপয়নমেন্ট ও বিভিন্ন পরীক্ষা আর সার্জারির ব্যাপারে জানতে ও বুকিং করতে পারবেন।

এছাড়াও ভিসা ও গেস্টহাউস বুকিংয়ের সুবিধাও থাকবে এই তথ্যকেন্দ্রে।

google-news-follow-us-newsasia24
গুগোল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৫ নবজাতকই মারা গেছে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একে একে মারা গেলো একসঙ্গে জন্ম দেয়া মনসুরা আক্তার ও মামুন দম্পতির ৫ নবজাতকের ৫ জনই।

এনআইসিইউ’তে চিকিৎসারত একমাত্র মেয়ে শিশুটিকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও সেই সেই শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বান্ধারদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে অন্য ভাইবোনদের কবরের পাশে দাফন করা হয় শিশুটিকে।

dhaka shishu hospita

শিশুটির বাবা আমির উদ্দিন মামুন জানান, এই মেয়ে শিশুটির ওজনও খুবই কম ছিল।

শ্বাসকষ্টও ছিল। চিকিৎসকরাও অনেক চেষ্টা করেছে। তবে বাঁচাতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এনআইসিইউ’তে মারা গেছে।

শিশুটির বাবা আরও জানান, ৫টি বাচ্চাকেই নিজের বাড়িতে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১২ অক্টোবর সকালে ঢাকা মেডিকেলে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৫ সন্তানের জন্ম দেন মনসুরা আক্তার।

যাদের একটি ছেলে ও ৪টি মেয়ে।

এর আগে ঢাকা মেডিকেলের ডা. মনীষা ব্যানার্জি জানান, জন্মের সময়ই ৫ নবজাতকের ওজন খুবই কম ছিল।

এছাড়াও ছিল নানান জটিলতা।

জন্মের পরপরই তাদেরকে এনআইসিইউ’তে রাখা হয়। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর একটি শিশু মারা যায়।

এরপরে একে একে আরও ৪ টি শিশু মারা যায়।

নবজাতকদের মা গৃহিণী মনসুরা আক্তার জানান, এবারই প্রথম গর্ভধারণ। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি।

নিয়মিত চেকআপের জন্য শিবপুরের একটি ক্লিনিকে যান। সেখান থেকে তাদের বলা হয়, তার গর্ভে ৫টি নবজাতক রয়েছে।

তাদের ঢাকায় এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন।

সেজন্য ১২ অক্টোবর সকালে তারা ঢাকায় আসার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করে রাখেন।

আরও পড়ুন:

তবে ১২ অক্টোবর ভোরে মনসুরার প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

তার স্বামী মামুন জানান, রাস্তায় গাড়িতে অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

ওইদিন সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা ৫টি বাচ্চার নরমাল ডেলিভারি করেন।

আজ ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৭

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ (৯ নভেম্বর) ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছে ১৭ জন। নতুন রোগী ভর্তি ১৭৩৪ জন।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

dengu jor

এনিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৭৩৪ জন ডেঙ্গুরোগী।

বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৩৬০ জন রোগী।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন:

বাবা-মায়ের ‘অসচেতনতায়’ ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে মৃগী রোগ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিশ্বে ১০ বছরে প্রায় ১৫০ শিশুর মধ্যে একজনের মৃগী রোগ ধরা পড়ে।

বাংলাদেশে মৃগী রোগ প্রতি ১ হাজার জনে ৮ দশমিক ৪ জন।

শিশুদের মধ্যে মৃগীরোগ বেশি দেখা যায় । প্রতিটি ধরনের চিকিৎসা রয়েছে।

mirgi rog

তবে অনেক ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের ‘অসচেতনতায়’ ভয়াবহ আকার ধারণ করে মৃগী রোগ।

আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃগী সচেতনতা মাস উপলক্ষ্যে ইন্সটিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে শিশু নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম একটি করে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে বলা হয়, মৃগী রোগ বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে সাধারণ স্নায়ুবিক রোগ।

বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের মৃগীরোগ রয়েছে।

মৃগীরোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ লোক নিম্ন আয়ের দেশে বাস করে।

এটি অনুমান করা হয় যে মৃগীরোগে আক্রান্ত ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ খিঁচুনি মুক্ত থাকতে পারে যদি সঠিকভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়।

এতে বলা হয়, কিছু মৃগীরোগ ওষুধের মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য।

কিছু মারাত্মক ধরনের মৃগী রোগ আছে যা ওষুধের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন এবং মস্তিষ্কের বিকাশের ওপর প্রভাব ফেলে।

খিঁচুনির ওষুধ ছাড়াও কিছু বিকল্প চিকিৎসা রয়েছে।

বিকল্পগুলো হলো কিটোজেনিক ডায়েট, ইমিউনোথেরাপি, নিউরোস্টিমুলেশন, এপিলেপসি সার্জারি।

বক্তারা বলেন, মৃগী রোগ সম্পর্কে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে।

শিশুদের মৃগী রোগ শুরুতেই নির্ণয় করা সম্ভব হলে এবং যথাযথ চিকিৎসা শুরু হলে দীর্ঘমেয়াদি অক্ষমতা প্রতিরোধ সম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এসময় তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ৫০ মিলিয়ন মানুষ মৃগী রোগে আক্রান্ত। এই রোগ যে কোনো বয়সের মানুষের হতে পারে।

উপাচার্য বলেন, এ রোগ যদি শুরুতে ধরা যায় ও চিকিৎসা দেওয়া যায় তাহলে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব ।

এ রোগের সব ধরনের চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু নিউরোলজি বিভাগে রয়েছে।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের যত অর্জন সব কিছুই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার যোগ্য উত্তরসূরি দ্বারাই অর্জিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কন্যা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানাই।

আরও পড়ুন:

তার অনুমতি সাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সংবর্ধনা দিতে চায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইপনার ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ডা. মাজহারুল মান্নান।

আপনার কি পিঠ ও কোমর ব্যাথা? জেনে নিন কারণ ও প্রতিকার..

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ পিঠ ও কোমর ব্যাথায় ভুগছেন। এটি যেকোন বয়সেই হতে পারে। তবে দেখা যায়, পুরুষের থেকে নারীরা এই রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগেন।

এই সমস্যার রোগী দিন দিন বেড়েই চলছে। গর্ভকালে অধিকাংশ নারীই পিঠ ও কোমর ব্যথায় ভোগেন। কারও কারও ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দীর্ঘ হয়।

গর্ভাবস্থায় পিঠ ও কোমরব্যথা হওয়ার অনেকগুলো কারন রয়েছে। গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বাড়ে ফলে শরীর ভারী হয়। তাই পেশি ও সন্ধির ওপর চাপ বাড়ে।

ওস্টিওপরোসিস নামের একটি রোগ রয়েছে, যার জন্যও পিঠ ও কোমরে ব্যথা হতে পারে। যাদের ওজন বেশি, তাদেরও এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে ওজন কমিয়ে ফেলা এবং ব্যায়াম করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

এছাড়াও শিক্ষার্থীরা টানা ক্লাস করছে এবং অনেকে ল্যাপটপ বা মোবাইলে অফিসের কাজ করছে । ফলে অনেকে নতুন করে পিঠ ও কোমরব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: 

ডা. মো. রেজাউল করিম জানান, বেশি সময় ধরে কম্পিউটার বা মোবাইলের সামনে বসে না থেকে মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া উচিৎ।

অনেকেই ব্যাথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই ওষুধ সেবন করেন, এটি তার জন্য খুবই মারাত্বক হতে পারে। এটা মোটেও উচিৎ নয়। ব্যাথানাশক ওষুধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

অনেকে ব্যাথার জন্য প্যারাসিটামল সেবন করেন, এর জন্য লিভার ফেল হতে পারে, অন্যদিকে, যাদের কিডনির জটিলতা রয়েছে তাদের জন্য আরও বিপজ্বনক প্রভাব পড়তে পারে। তাই কোন ওষুধই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিৎ নয়।

কিডনিজনিত ব্যথা সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে ডান বা বাঁ পাশে হয়। এই ব্যথা নড়াচড়া করে এবং কোমরের দুই পাশেও যেতে পারে। এই ব্যথায় কিছুতেই আরাম পাওয়া যায় না।

পিঠ ও কোমরব্যথা থেকে পরিত্রাণের উপায়?

সাধারণ কিছু অভ্যাসের কারনে পিঠ ও কোমরব্যথা হতে পারে। আমাদের হাঁটা-বসা-ঘুম, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভুল অভ্যাসের কারনে ও অঙ্গভঙ্গি এবং ব্যবহৃত সামগ্রী থেকেই এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়।

নরম বিছানা ও এলোমেলোভাবে ঘুমালে কোমর ও পিঠে ব্যাথা হতে পারে।

wrong-sit-chair-newsasia24

চেয়ারের ডিজাইন অনেক ক্ষেত্রেই এ ব্যথার জন্য দায়ী। চেয়ারের ডিজাইন এমন হতে হবে যেন আপনার পিঠের স্বাভাবিক বাঁকানো ভাব স্বাভাবিক থাকে। পিঠের কোথাও যেন অস্বাভাবিক চাপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী না হয়।

আরও পড়ুন:

wrong-sleep-mode-newsasia24

আবার ঘুমানোর ক্ষেত্রে, কেউ উপুড়, কেউবা হযবরল অবস্থা করে হাত-পা এলোমেলো রেখে ঘুমান। এটা ঠিক নয়। ঘুমানোরও ক্ষেত্রেও সঠিক অঙ্গভঙ্গি খুবই প্রয়োজন। ডান পাশ হয়ে ঘুমাতে হবে। উপুর হয়ে ঘুমানো মোটেও উচিৎ নয়।

আজ ডেঙ্গুতে আরও সাত জনের মৃত্যু

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ ডেঙ্গুতে আরও সাত জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭৮৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৭ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৮ জনে।

newsasia24

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৭৮৭ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪১৩ জন।

আরও পড়ুন:

কি?ঢাকার বাইরের এক হাজার ৩৭৪ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা একজন, ঢাকার বাইরের ছয়জন।

এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৭১ হাজার ১৭৫ জন।

তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৯ হাজার ১৬০ জন আর ঢাকার বাইরের এক লাখ ৭২ হাজার ৬ জন।

৬ ধরনের লোক ডালিম থেকে দূরে থাকুন, জেনে নিন কারা?

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে তাঁকে ডালিম বা বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বেদানায় ফাইবার, ভিটামিন কে, সি এবং বি, আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টিগুণ থাকে।

তবে বেদানায় অনেক গুন থাকলেও সবার জন্য এটি মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক কাদের এই বেদেনা খাওয়া ঠিক হবে না?

ত্বকের অ্যালার্জি: যাদের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারন, ডালিম খেলে শরীরে রক্ত ​​বাড়ে।

Pomegranate-newsasia24-3

বেদানায় এমন কিছু উপাদান আছে যা অ্যালার্জির সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার ত্বকে অ্যালার্জি থাকলে, আপনি যদি ডালিম খান, তাহলে আপনার শরীরে লাল গোটা বেরোতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপে ভুগলে: যাঁদের রক্তচাপ কম, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ বেদানায় একটি শীতল ভাব রয়েছে, যা আমাদের শরীরে রক্ত ​​চলাচলের গতি কমিয়ে দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন রক্তচাপের জন্য ওষুধ গ্রহণকারীরা ডালিম খেলে ক্ষতি হতে পারে। এতে উপস্থিত উপাদানগুলি ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তবে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের জন্য বেদেনা আশির্বাদ।

অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে: যাঁরা অ্যাসিডিটিতে ভোগেন, তাঁদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। ডালিমের ঠান্ডা প্রভাবে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। যার কারণে পেটে খাবার নষ্ট হতে শুরু করে।

কাশিতে ভুগলে: বেদানা ঠাণ্ডা প্রকৃতির, তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের লোকেরা যদি প্রচুর পরিমাণে ডালিম খান, তবে তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

আরও পড়ুন:

বেদানা সাধারনত ঠান্ডা ফল। তাই সাধারনত গরমকালেই এই ফল খাওয়া হয়। যাদের সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লাগার সমস্যা আছে তাদের বেদানা খওয়া উচিত নয়। এর ফলে আরো ঠান্ডা লাগতে পারে। তাদের বেদানার পরিবর্তে গরম কিছু খাওয়া উচিত।

Pomegranate-newsasia24-2

মানসিক রোগে আক্রান্ত: মানসিক রোগে আক্রান্ত যেসব রোগীরা, যারা নিয়মিত মানসিক রোগের জন্য ওষুধ খান তাদের জন্য বেদানা প্রায় বিষের সমান।

কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়।

কারণ বেদানায় একটি শীতল ভাব রয়েছে, যা আমাদের শরীরে রক্ত ​​চলাচলের গতি কমিয়ে দেয়। এবং ঠান্ডা হওয়ার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।

টিনেজ প্রেগন্যান্সি কি?

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক:  কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।

১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি কিশোরী যখন গর্ভবতী হয় তখন তাকে টিনেজ প্রেগন্যান্সি বলে।

WHO-এর হিসাব মতে, বিশ্বব্যাপী ১ মিলিয়ন কিশোরী প্রতি বছর বাচ্চা প্রসব করে।

UNICEF-এর মতে, প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জন জন্ম নেয় কিশোরী মায়ের গর্ভে।

১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি কিশোরীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মায়ের দায়িত্ব নিতে পারে না। একজন কিশোরী যখন মা হয় তখন এর প্রভাব পড়ে তারশরীর, আবেগ, সামাজিক জীবনের ওপর।

এর জটিলতা হিসাবে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশু, অল্প ওজনের শিশু, যৌনরোগ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

উন্নয়নশীল এবং স্বল্প-আয়ের দেশ গুলোতে ৯৫ শতাংশ কিশোরীর গর্ভধারণ করে ।বাল্যবিবাহ, দারিদ্র্য, অপর্যাপ্ত শিক্ষা ,লিঙ্গ বৈষম্য, গ্রামীণ বাসস্থান, গর্ভনিরোধক কম ব্যবহার করা এবং অপর্যাপ্ত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য কিশোরী গর্ভধারণে অবদান রাখে।

আরও জানা যায়, উন্নত দেশের জন্য পর্নোগ্রাফি এবং বিবাহপূর্ব যৌন আচরণ কিশোরী গর্ভধারণের বড় কারণ।

আরও পড়ুন:

 

টিনেজ প্রেগন্যান্সি থেকে মুক্তির উপায়:

টিপিপি জাতীয়ভাবে পালন।

পিতামাতা-সন্তান সম্পর্কে, স্কুল, ক্লিনিক এবং বাড়ি-ভিত্তিক শিক্ষার জন্য ভিডিও বা লিখিত উপকরণ বিতরণ।

বিয়ের আগে চাপ ব্যবস্থাপনা আরেকটি যৌন শিক্ষা যা কিশোরিদের টিনেজ প্রেগন্যান্সি থেকে মুক্তি দেয়।

পিতামাতা-সন্তানদের কন্ডম ব্যবহারের কারণ ও উপকার সংক্রান্ত আলোচনা করা।

কিশোরী গর্ভধারণ এবং এসটিআই প্রতিরোধের জন্য যৌনাচার বর্জন শিক্ষা কার্যক্রম হলো সবচেয়ে কার্যকরী এবং স্বাস্থ্য-উন্নয়নকারী উপায়।

যৌন শিক্ষার উদ্যোগটি যুবকদের যৌনবিরত থাকার বিষয়ে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে তোলে, তাদের সম্পর্কের সীমানা এবং চাপ প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে এবং তাদের গর্ভনিরোধক ব্যবহার এবং যৌন সংক্রামিত রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে অবহিত করে।

কিশোরী গর্ভধারণ প্রতিরোধ একটি সম্মিলিত দায়িত্ব এবং চিন্তা যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এবং সুস্থ জীবনের জন্য সমাজের প্রতিটি সদস্যের অংশগ্রহণের প্রয়োজন।

কিশোরী গর্ভধারণ প্রতিটি সমাজের একটি প্রধান মহামারি ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজের সবারই জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিক উদ্যোগ রয়েছে যা তাদের সমাজের প্রতিক্রিয়াশীল এবং সক্রিয়ভাবে কিশোর গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে অবদান রাখে