শিরোনাম

শিরোনাম

২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ

ভোলা প্রতিনিধি: ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুম রক্ষার্থে এ জারি করা হয়েছে।

বুধবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ২ নভেম্বর অর্থাৎ ২২ দিন পর্যন্ত এ জারি করা হয়েছে। এসময় মাছ ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহন, ও বিপণন সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।

তবে এ নিষেধাজ্ঞা মেনেছেন জেলেরা। তবে এতে চিন্তার ছাপও পড়েছে তাদের। কিভাবে দিন কাটবে? তাই এই সময়ে চাল বিতনের জন্য অনুরোধ করেন জেলেরা।

ভোলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. আখতার হোসেন বলেন, নিয়মিত নদীতে অভিযান চালানো হবে যাতে কেও মাছ ধরতে না পারে। প্রতিটি ঘাটে সচেতনমূলক সভা এবং লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

 

সম্পর্ক গভীর করে বাসায় ডেকে টাকা আদায়, আটক ৪

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াসফিয়া। তৈরি করতেন সম্পর্ক। তারপর ফাদে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নিতেন তিনি। বাসায় ডেকে আপত্তিকর ছবিতুলে ব্ল্যাকমেইল করায় পারদর্শী।

তার আছে একটি চক্র। তাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ১ জন পুরুষ। অবশেষে পুলিশের কাছে আটক হোন তারা।

নারীদের মধ্যে ছিলেন, খাদিজা (২৭), মুনমুন (৩০) ও ওয়াসফিয়া খানম (২৬) এবং পুরুষ ব্যাক্তিটি হলেন হাদিউল ইসলাম বাবু (৩৪),

বুধবার (১১ অক্টোবর) মিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।

তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে বাবু ব্যবসায়ী, খাদিজা ও মুনমুন গৃহিণী এবং ওয়াসফিয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী।

এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড ওয়াসফিয়া । তিনিই মূলত পরিকল্পনা সাজান। প্রথমে একজনকে টার্গেট করা হয়। টার্গেট করে তার সাথে তৈরি হয় বন্ধুত্ব।

আরও পড়ুন:

অফলাইনে তাদের যেকোনো একজন মেয়ে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এরপর সেই নম্বরে নিয়মিত যোগাযোগ করে তৈরি করা হয়।প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্ক গভীর হলে টার্গেটকে বাসায় ডাকা হয়। বাসায় আসলেই চক্রের বাকি সদস্যরা মারধর করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে ফেলে।

এ সময় মেয়ে সদস্যরা প্রথমেই ওই ছেলের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে। তারপর শুরু হয় ব্লাকমেইল। সেই ছবি স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছে পাঠিয়ে বড় অংকের টাকা দাবি করত তারা।

টাকা না দিলে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে এবং সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে তারাও টাকা দিত তারা।

এইভাবে এক এনজিও কর্মকর্তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন খাদিজা। বাবার অসুস্থতার কথা বলে খাদিজা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নেন ২০০ টাকা।

এ টাকা নেওয়ার মাধ্যমেই পরিচিত হন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে সম্পর্ক আরও গভীর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার তাকে বাসায় ডাকেন খাদিজা। বাসায় আগে থেকেই ছিলেন বাবু, মুনমুন ও ওয়াসফিয়া।

তিনি বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেঁধে মারধর করে মোবাইল ও ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা। এরপর তার স্ত্রীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ঐ চক্র।

শেষে ১০ হাজার ২০০ টাকায় রফা করেন। টাকা নিয়ে রাতে তাকে ছেড়ে দিতে আসলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোক এসে তাদের আটক করেন।

পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে এবং মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে।

আমাদের লক্ষ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বরিশাল হয়ে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী হয়ে একেবারে পায়রা পর্যন্ত রেলসংযোগ নেওয়া পরিকল্পনা আছে, ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে। তবে এটা কঠিন কাজ, আমাদের মাটির সক্ষমতা একটু কম তবুও আমাদের প্রচেষ্টা আছে।

আমাদের লক্ষ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা। সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মাওয়া প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা স্টেশনে উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে আমি আহ্বান করবো যে, বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি, বাংলাদেশ জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাবে, মাথা তুলে দাঁড়াবে।

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি আমরা গড়ে তুলবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ পর্যন্ত ১০০ লোকোমোটিভ, ৬৯৮ যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ৫১৬টি মালবাহী ওয়াগন, ৫০টি লাগেজ ভ্যানসহ রেলওয়েতে সংযুক্ত হয়েছে।

আর বিভিন্ন রুটে ১৪৩ নতুন ট্রেন চালু হয়েছে, ১৩৪টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থা উন্নত এবং আধুনিক করা হয়েছে। আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।

আমরা আশা করি বাংলাদেশে রেল যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বাড়বে। মানুষের জীবন মান আরও উন্নত হবে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সেনাপ্রধান জেনারেল শেখ মো. শফিউদ্দিন আহমেদ এবং সচিব হুমায়ুন কবির।

প্রশান্ত কুমার হালদারে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: প্রশান্ত কুমার হালদারে বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের রায় ঘোষনা করা হয়েছে। আজ রোববার (৮ অক্টোবর) তাকে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়।

২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় ১০ বছর এবং অর্থপাচারের দায়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং ২০১২এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিন ধারার সাজা একটার পর একটা চলবে। ফলে পিকে হালদারকে ২২ বছর কারাভোগ করতে হবে।

এর আগে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) একই আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন:

শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ নির্বাচিত আঃ রাজ্জাক

নাজমুল হাসানঃ পুলিশ প্রশাসনের কাজে সার্বক্ষনিক সহায়তার জন্য শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আঃ রাজ্জাক।

আজ শনিবার (০৭ অক্টোম্বর) সকাল ১০ টায় খুলনা রেঞ্জ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশের সম্মাননা স্মারক ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, আঃ রাজ্জাক সার্বক্ষনিক সর্তক থেকে ডিউটি করা সহ ইউনিয়নের মাদকদ্রব্য, বাল্য বিয়ে নির্মুলে ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল মামলার বিভিন্ন আসামীদের ধরতে পুলিশ প্রশাসনকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করায় রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আঃ রাজ্জাককে শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ হিসেবে এ সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়েছে।

পুলিশের এমন ব্যতিক্রমি পদক্ষেপ দেখে সকল উপজেলার ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, আঃ রাজ্জাক ইউনিয়নের পাশাপাশি সর্বাত্বক পুলিশের কাজে সহায়তা করে আসছেন। সেজন্য উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ হিসেবে নির্বাচিত করে জেলা এসপি স্যারের নির্দেশনায় তাকে রেঞ্জ সেরা সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।

এতে করে তাদের মধ্যে আরো উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন:

 

আশরাফুলের অভাব দূর করলো ‘ টিম পজিটিভ বাংলাদেশ ‘

নিউজএশিয়া২৪ ডেস্ক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর দরিদ্র ভ্যান চালক মো. আশরাফুল আলম (৪৬)। পরিবারের উপার্জনের একমাত্র উৎস ভ্যান। প্রায় চার মাস আগে ৫০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে একটি ভ্যান কিনেছিলেন। ভ্যান চালিয়ে চালাতেন সংসার এবং শোধ করতেন ঋনের বোঝা।

কিন্তু ভ্যাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই ভ্যানটি হারিয়ে ফেলেন আসরাফুল। চারিদেকে অন্ধকার দেখতে থাকেন। অবশেষে স্থানীয় থানায় চুরির অভিযোগ করেন আসরাফুল। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হারিয়ে যাওয়া ভ্যানটি আর পাওয়া যায়নি।

ঠিক এমন সময়,আসরাফুলের পাশে এসে দাড়ান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ টিম পজিটিভ বাংলাদেশ ( টিপিবি)। তাকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা সাহায্য করেন টিপিবি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ( ডাকসু) জিএস, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টিম পজিটিভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোরব) রাত ১০ টায় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি নিজেই এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসরাফুল কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভ্যান চুরির আট দিনের মাথায় টিপিবি’র সহায়তায় আবারও নতুন ভ্যান কিনতে পেরেছেন তিনি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টিম পজিটিভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী তার স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘ ‘চার মাস আগে এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আশরাফুল আলম অটোভ্যানটি কিনেছিলেন।

গত বুধবার বিকেলে স্থানীয় হাঁসদিয়া চর থেকে জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ভ্যানটি চুরি হয়ে গেছে! অথচ, ঋণের কিস্তি আর স্বামী-স্ত্রী দুজনের সংসার দুটোই চলতো ভ্যানের চাকায়! ‘

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানতে পেরে গতকাল আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধি মো: রাকিবুল ইসলামের মাধ্যেমে আমি আশরাফুল ভাইকে ফোন করে ঢাকা আসতে বলি।

আজ নিতান্ত অসহায় এই মানুষটিকে নতুন ভ্যান বানাতে Team Positive Bangladesh (TPB) এর পক্ষ থেকে ‘ভালোবাসার উপহার’ হিসেবে নগদ ১লক্ষ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। মানবিক সহায়তায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহৎপ্রাণ TPB সদস্য, জনৈক শ্রদ্ধেয় অগ্রজ ।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যান চালক আশরাফুল আলম নিউজ এশিয়া২৪কে বলেন, ভ্যান চুরি হওয়া আবার নতুন ভ্যান বানানোর জন্য টাকা পাওয়া। সবকিছু এখনও আমার কাছে স্বপ্নের মত লাগছে।

তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে এখনও যে এতো ভাল মানুষ আছে। তা নিজের না হলে তিনি বিশ্বাস করতে পারতেন না। উপহারের টাকা পেয়ে আমি খুব খুশি।

আরও পড়ুন: 

মুখোমুখি দুই ট্রাকের সংঘর্ষ: নিহত ১

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফায়জুর রহমান (৪০) নামে এক ট্রাক চালক নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুইজন। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে।

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে এই ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, নিহত ফায়জুর সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার মৃত তৈয়ব আলী ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি মালবাহী ট্রাক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার নারায়ণপুর পৌঁছায়।

আরও পড়তে পারেন:

এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ভৈরবমুখী অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক দুটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায়।

এ সময় চালক ও হেলপাররা আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে ট্রাক চালক ফায়জুল মারা যায়।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একজন ট্রাক ড্রাইভার মারা গেছে। তার মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শুধু জনসংখ্যা নয়, বয়সের শ্রেণীবিভাগ ও তথ্য উপাত্ত জানা জরুরি

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শুধু মোট জনসংখ্যা জানাই যথেষ্ট নয়, বিভিন্ন বয়সের শ্রেণীবিভাগ ও তথ্য উপাত্ত জানা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন যেকোনো নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের মানুষের জন্য সেই নীতি নেওয়া হচ্ছে, কোন বয়সের মানুষের জন্য এবং কত সংখ্যক মানুষের জন্য নেওয়া হচ্ছে সেই তথ্যও অতি গুরুত্বপূর্ণ।

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন জরুরি, কারণ বয়স্ক মানুষের চাহিদা আর যুবকদের চাহিদা এক নয়।

আবার যুবকদের চাহিদা আর শিশু-কিশোরদের চাহিদা এক নয়। নানা বয়স, ধর্ম-বর্ণের মানুষের চাহিদা সনাক্তকরণ এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যই সরকারের প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন: 

তিনি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত এই সমস্যাগুলো সমাধান করার আশ্বাস দেন এবং জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদেরকে কাজ করার কথা বলেন।।

মন্ত্রী বলেন, হয়তো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে প্রত্যাশিত সেবায় ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে আমাদেরকে নাগরিক সেবায় ভোগান্তি দূর করা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রাশেদুল হাসান, ইউনিসেফ এর চিফ অফ চাইল্ড প্রটেকশন মিস নাটালি ম্যাককলি।

বাবা বিএনপির রোড মার্চে দেখে ছেলের বিষপান

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বাবা বিএনপির রোড মার্চে দেখে ছেলের বিষপান করেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে। ছেলের নাম ইমন। সে রাঙ্গুনিয়ার এক ছাত্রলীগ নেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাটে এ ঘটনা ঘটে।

ইমন পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

তার বাবা মোহাম্মদ জহির (৪৫) পোমরা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন।

জানা গেছে, পোমরা ইউনিয়নে রোড মার্চ উপলক্ষে বিএনপি নেতারা জড়ো হচ্ছেন—এই খবরে তাৎক্ষণিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সেখানে ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমনও ছিলেন। এ সময় অন্য এক ছাত্রলীগ নেতা তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি ছবি পাঠান ।

ছবিতে ইমনের বাবাকে বিএনপির রোড মার্চে অংশ নিতে দেখা যায়। ইমন ছবিটি দেখার পর ছুঁটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন।

রাগারাগির এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ইমন বিষ পান করেন । পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. জয়দ্বীপ নন্দী বলেন, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ইমনের বাবা জহির বলেন, আমি চট্টগ্রাম শহরে বিএনপির রোড মার্চ এ এসেছি শুনে ইমন বিষপান করেছে।

পোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘ইমনের বাবা সম্পর্কে আমার ফুফাত ভাই। সে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকায় আমার সঙ্গে তার কথাবার্তা হয় না।

চমেক হাসপাতালে ইমনকে নিয়ে যাওয়া তার চাচা মো. পারভেজ বলেন, ‘মেডিক্যালে ভর্তির পর তাকে ওয়াশ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’

আরও পড়ুন: 

৩মিনিটের ঝরে ভেঙে গেছে ১৫টি বতসঘর

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ফরিদপুরের সালথায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত এনেছে।

মাত্র তিন মিনিটের ঝড়েই ভেঙ্গে গেছে ১৫টি ঘরবাড়িসহ অসংখ্য গাছপালা। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে ওই এলাকায়।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামে।

এলাকার হাফেজ মো. সগির মুন্সির (মসজিদের ইমাম) বসতবাড়ির দুটো বসতঘর ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।

বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র আধপাকা ঘরটির ওপর বিশাল গাছ ভেঙে পড়ে মূহুর্তের মধ্যে ঘরটি গুড়িয়ে যায়। তিনি কোনো রকমে বাথরুমে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

এছাড়াও এলাকার লিটু মুন্সি, ফারুক মুন্সি, মুরাদ মুন্সি, দবির মুন্সি, কাইউম মুন্সি, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানো কাজী, আতি কাজীর বসতঘরসহ অসংখ্য রান্না ঘর এবং অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এবং গাছ পড়ে সোনাতুন্দীর উত্তর পাড়ার একমাত্র ইটের সলিং এর রাস্তাটি বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়াও পুরো এলাকা বিদ্যুতবিহীনের ফলে অন্ধাকারাচ্ছন্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন: