শিরোনাম

সারাদেশ

নড়াইলে ভাড়া বাসা থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

(মিশকাতুজ্জামান) নড়াইল: নড়াইলে এক কলেজ শিক্ষর্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তার নিজ ভাড়া বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, নিহত শিক্ষার্থীর নাম যুবরাজ দাস(২১)। সে নড়াইল নার্সিং কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ জানায়, নিহত যুবরাজ সহ তার চার সহপাঠি মিলে নড়াইলের একটি বাসভবনে ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

বুধবার দুপুরে যুবরাজের বন্ধুরা বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করেন।

কিন্তু যুবরাজের কোন সাড়া না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়।

পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে রুমের ভেতর প্রবেশ করেন। এসময় যুবরাজকে ফ্যানের সাথে জুলন্ত অবস্থয় দেখতে পান তারা।

আরও পড়ুন: 

পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

নিহত যুবরাজ সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গা গ্রামের গোপাল দাসের ছেলে।

সম্পর্ক গভীর করে বাসায় ডেকে টাকা আদায়, আটক ৪

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াসফিয়া। তৈরি করতেন সম্পর্ক। তারপর ফাদে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নিতেন তিনি। বাসায় ডেকে আপত্তিকর ছবিতুলে ব্ল্যাকমেইল করায় পারদর্শী।

তার আছে একটি চক্র। তাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ১ জন পুরুষ। অবশেষে পুলিশের কাছে আটক হোন তারা।

নারীদের মধ্যে ছিলেন, খাদিজা (২৭), মুনমুন (৩০) ও ওয়াসফিয়া খানম (২৬) এবং পুরুষ ব্যাক্তিটি হলেন হাদিউল ইসলাম বাবু (৩৪),

বুধবার (১১ অক্টোবর) মিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।

তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে বাবু ব্যবসায়ী, খাদিজা ও মুনমুন গৃহিণী এবং ওয়াসফিয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী।

এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড ওয়াসফিয়া । তিনিই মূলত পরিকল্পনা সাজান। প্রথমে একজনকে টার্গেট করা হয়। টার্গেট করে তার সাথে তৈরি হয় বন্ধুত্ব।

আরও পড়ুন:

অফলাইনে তাদের যেকোনো একজন মেয়ে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এরপর সেই নম্বরে নিয়মিত যোগাযোগ করে তৈরি করা হয়।প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্ক গভীর হলে টার্গেটকে বাসায় ডাকা হয়। বাসায় আসলেই চক্রের বাকি সদস্যরা মারধর করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে ফেলে।

এ সময় মেয়ে সদস্যরা প্রথমেই ওই ছেলের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে। তারপর শুরু হয় ব্লাকমেইল। সেই ছবি স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছে পাঠিয়ে বড় অংকের টাকা দাবি করত তারা।

টাকা না দিলে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে এবং সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে তারাও টাকা দিত তারা।

এইভাবে এক এনজিও কর্মকর্তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন খাদিজা। বাবার অসুস্থতার কথা বলে খাদিজা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নেন ২০০ টাকা।

এ টাকা নেওয়ার মাধ্যমেই পরিচিত হন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে সম্পর্ক আরও গভীর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার তাকে বাসায় ডাকেন খাদিজা। বাসায় আগে থেকেই ছিলেন বাবু, মুনমুন ও ওয়াসফিয়া।

তিনি বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেঁধে মারধর করে মোবাইল ও ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা। এরপর তার স্ত্রীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ঐ চক্র।

শেষে ১০ হাজার ২০০ টাকায় রফা করেন। টাকা নিয়ে রাতে তাকে ছেড়ে দিতে আসলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোক এসে তাদের আটক করেন।

পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে এবং মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে।

শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ নির্বাচিত আঃ রাজ্জাক

নাজমুল হাসানঃ পুলিশ প্রশাসনের কাজে সার্বক্ষনিক সহায়তার জন্য শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আঃ রাজ্জাক।

আজ শনিবার (০৭ অক্টোম্বর) সকাল ১০ টায় খুলনা রেঞ্জ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশের সম্মাননা স্মারক ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, আঃ রাজ্জাক সার্বক্ষনিক সর্তক থেকে ডিউটি করা সহ ইউনিয়নের মাদকদ্রব্য, বাল্য বিয়ে নির্মুলে ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল মামলার বিভিন্ন আসামীদের ধরতে পুলিশ প্রশাসনকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করায় রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আঃ রাজ্জাককে শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ হিসেবে এ সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়েছে।

পুলিশের এমন ব্যতিক্রমি পদক্ষেপ দেখে সকল উপজেলার ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, আঃ রাজ্জাক ইউনিয়নের পাশাপাশি সর্বাত্বক পুলিশের কাজে সহায়তা করে আসছেন। সেজন্য উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ হিসেবে নির্বাচিত করে জেলা এসপি স্যারের নির্দেশনায় তাকে রেঞ্জ সেরা সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।

এতে করে তাদের মধ্যে আরো উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন:

 

আশরাফুলের অভাব দূর করলো ‘ টিম পজিটিভ বাংলাদেশ ‘

নিউজএশিয়া২৪ ডেস্ক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর দরিদ্র ভ্যান চালক মো. আশরাফুল আলম (৪৬)। পরিবারের উপার্জনের একমাত্র উৎস ভ্যান। প্রায় চার মাস আগে ৫০ হাজার টাকা ঋন নিয়ে একটি ভ্যান কিনেছিলেন। ভ্যান চালিয়ে চালাতেন সংসার এবং শোধ করতেন ঋনের বোঝা।

কিন্তু ভ্যাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই ভ্যানটি হারিয়ে ফেলেন আসরাফুল। চারিদেকে অন্ধকার দেখতে থাকেন। অবশেষে স্থানীয় থানায় চুরির অভিযোগ করেন আসরাফুল। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হারিয়ে যাওয়া ভ্যানটি আর পাওয়া যায়নি।

ঠিক এমন সময়,আসরাফুলের পাশে এসে দাড়ান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ টিম পজিটিভ বাংলাদেশ ( টিপিবি)। তাকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা সাহায্য করেন টিপিবি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ( ডাকসু) জিএস, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টিম পজিটিভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোরব) রাত ১০ টায় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি নিজেই এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসরাফুল কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভ্যান চুরির আট দিনের মাথায় টিপিবি’র সহায়তায় আবারও নতুন ভ্যান কিনতে পেরেছেন তিনি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টিম পজিটিভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী তার স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘ ‘চার মাস আগে এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আশরাফুল আলম অটোভ্যানটি কিনেছিলেন।

গত বুধবার বিকেলে স্থানীয় হাঁসদিয়া চর থেকে জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ভ্যানটি চুরি হয়ে গেছে! অথচ, ঋণের কিস্তি আর স্বামী-স্ত্রী দুজনের সংসার দুটোই চলতো ভ্যানের চাকায়! ‘

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানতে পেরে গতকাল আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধি মো: রাকিবুল ইসলামের মাধ্যেমে আমি আশরাফুল ভাইকে ফোন করে ঢাকা আসতে বলি।

আজ নিতান্ত অসহায় এই মানুষটিকে নতুন ভ্যান বানাতে Team Positive Bangladesh (TPB) এর পক্ষ থেকে ‘ভালোবাসার উপহার’ হিসেবে নগদ ১লক্ষ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। মানবিক সহায়তায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহৎপ্রাণ TPB সদস্য, জনৈক শ্রদ্ধেয় অগ্রজ ।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যান চালক আশরাফুল আলম নিউজ এশিয়া২৪কে বলেন, ভ্যান চুরি হওয়া আবার নতুন ভ্যান বানানোর জন্য টাকা পাওয়া। সবকিছু এখনও আমার কাছে স্বপ্নের মত লাগছে।

তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে এখনও যে এতো ভাল মানুষ আছে। তা নিজের না হলে তিনি বিশ্বাস করতে পারতেন না। উপহারের টাকা পেয়ে আমি খুব খুশি।

আরও পড়ুন: 

মুখোমুখি দুই ট্রাকের সংঘর্ষ: নিহত ১

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফায়জুর রহমান (৪০) নামে এক ট্রাক চালক নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুইজন। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে।

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে এই ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, নিহত ফায়জুর সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার মৃত তৈয়ব আলী ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি মালবাহী ট্রাক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার নারায়ণপুর পৌঁছায়।

আরও পড়তে পারেন:

এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ভৈরবমুখী অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক দুটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায়।

এ সময় চালক ও হেলপাররা আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে ট্রাক চালক ফায়জুল মারা যায়।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একজন ট্রাক ড্রাইভার মারা গেছে। তার মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাবা বিএনপির রোড মার্চে দেখে ছেলের বিষপান

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বাবা বিএনপির রোড মার্চে দেখে ছেলের বিষপান করেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে। ছেলের নাম ইমন। সে রাঙ্গুনিয়ার এক ছাত্রলীগ নেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাটে এ ঘটনা ঘটে।

ইমন পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

তার বাবা মোহাম্মদ জহির (৪৫) পোমরা ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন।

জানা গেছে, পোমরা ইউনিয়নে রোড মার্চ উপলক্ষে বিএনপি নেতারা জড়ো হচ্ছেন—এই খবরে তাৎক্ষণিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সেখানে ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমনও ছিলেন। এ সময় অন্য এক ছাত্রলীগ নেতা তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি ছবি পাঠান ।

ছবিতে ইমনের বাবাকে বিএনপির রোড মার্চে অংশ নিতে দেখা যায়। ইমন ছবিটি দেখার পর ছুঁটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন।

রাগারাগির এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ইমন বিষ পান করেন । পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. জয়দ্বীপ নন্দী বলেন, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে ইমনের বাবা জহির বলেন, আমি চট্টগ্রাম শহরে বিএনপির রোড মার্চ এ এসেছি শুনে ইমন বিষপান করেছে।

পোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘ইমনের বাবা সম্পর্কে আমার ফুফাত ভাই। সে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকায় আমার সঙ্গে তার কথাবার্তা হয় না।

চমেক হাসপাতালে ইমনকে নিয়ে যাওয়া তার চাচা মো. পারভেজ বলেন, ‘মেডিক্যালে ভর্তির পর তাকে ওয়াশ করা হয়েছে। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’

আরও পড়ুন: 

৩মিনিটের ঝরে ভেঙে গেছে ১৫টি বতসঘর

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ফরিদপুরের সালথায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত এনেছে।

মাত্র তিন মিনিটের ঝড়েই ভেঙ্গে গেছে ১৫টি ঘরবাড়িসহ অসংখ্য গাছপালা। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে ওই এলাকায়।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামে।

এলাকার হাফেজ মো. সগির মুন্সির (মসজিদের ইমাম) বসতবাড়ির দুটো বসতঘর ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।

বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র আধপাকা ঘরটির ওপর বিশাল গাছ ভেঙে পড়ে মূহুর্তের মধ্যে ঘরটি গুড়িয়ে যায়। তিনি কোনো রকমে বাথরুমে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

এছাড়াও এলাকার লিটু মুন্সি, ফারুক মুন্সি, মুরাদ মুন্সি, দবির মুন্সি, কাইউম মুন্সি, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানো কাজী, আতি কাজীর বসতঘরসহ অসংখ্য রান্না ঘর এবং অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এবং গাছ পড়ে সোনাতুন্দীর উত্তর পাড়ার একমাত্র ইটের সলিং এর রাস্তাটি বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়াও পুরো এলাকা বিদ্যুতবিহীনের ফলে অন্ধাকারাচ্ছন্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন: 

আমিন কলোনিতে আগুন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রামের আমিন কলোনিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিট।

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমিন কলোনিতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ।

আরও পড়ুন:সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হলে রেহাই নেই: শেখ হাসিনা

 

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, ৬টা ৩৫ মিনিটে আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করলো পুত্রবধুসহ দুই ছেলে

জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামীও ভাশুর শ্বশুরকে একটা বস্তায় ভরছে

 

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরের আলোচিত মো. হাসান (৬১) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ভুক্তভোগীর পুত্রবধূ আনারকলি।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি। এর আগে, একই আদালতে ভুক্তভোগী হাসানের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

আদালতে জবানবন্দিতে আনারকলি বলেন, আমার বাড়ি মহেশখালী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শফিকুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করি। তার ভাইয়ের নাম মোস্তাফিজুর রহমান।

১৯ সেপ্টেম্বর আমার শ্বশুর হাসান আলী আমার বাসায় আসেন। সেদিন তিনি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

পরদিন সকালে আমাদের ঘরের পাশের একটা খালি ঘরে আমার শ্বশুর, স্বামী ও ভাশুর মোস্তাফিজ যায়। ওই ঘরের ভিতর তারা কী করেছে আমি সব দেখিনি।

আমি একবার লুকিয়ে দেখতে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামী শফিক ও ভাশুর মোস্তাফিজ শ্বশুরকে একটা বস্তায় ভরছে। পরে বিকেলে জানতে পারে ওরা আমার শ্বশুরকে মেরে ফেলেছে।

তিনি বলেন, বিকেলে আমার স্বামী ও আমি লাশটা আমার ঘরে নিয়ে যায়। ওরা লাশটা টুকরো করে লাগেজ, স্কুল ব্যাগ ও বস্তায় ভরে। আমার স্বামী পলিথিন ও কসটেপ আমাকে দেয়। আমি সেগুলো ভাসুরকে দেই। রাতে একটা লোককে দিয়ে ওরা বস্তা ফেলে দেয়।

কোথায় ফেলে দেয় তা জানি না। পরদিন ভোরে আমি, শফিক ও মোস্তাফিজ লাগেজ ১২ নম্বর ঘাটের দিকে ফেলি। স্কুল ব্যাগে মাথা ছিল। সেটি আমি ও শফিক মিলে বিচে নিয়ে যাই। শফিক মাথাটা পুলিশ বক্সের একদম নিচের দিকে পাথরের ভেতর ফেলে দেয়।

সেসময় সে আমাকে ব্যাগটিও ফেলে দিতে বলে। কিন্তু আমি ফেলিনি। আমি স্কুলে প্রথম হওয়ায় ব্যাগটি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলাম। ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত আমার রোল নম্বর ১ ছিল। আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পিএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাই।

আমি খুনের বিষয়টি জানতাম না। পরে জেনেও চুপ ছিলাম। ভাবলাম সংসার ভেঙে যাবে কী না। অভাবের কারণে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় পরিবার আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি পুলিশকে ঝুড়ি ও ব্যাগ উদ্ধারে সহায়তা করি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে আনারকলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন (শনিবার) তাকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

প্রথমে তাকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে ভুক্তভোগী হাসানের কাটা মাথা উদ্ধারে অভিযানে যাই। কিন্তু মাথাটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। রিমান্ড শেষে আজ (মঙ্গলবার) অভিযুক্ত আনারকলিকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি লাগেজ থেকে মানুষের শরীরের আটটি খণ্ড উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল দুইটি হাত, দুইটি পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। প্রত্যেকটি অংশ টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।

তবে ওই লাগেজে ভুক্তভোগীর মাথা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, খণ্ড-বিখণ্ড এই মরদেহ পরিচয় শনাক্ত ও রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামেন পিবিআই কর্মকর্তারা। তারা প্রথমে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সহায়তায় নিহত ব্যক্তি মো. হাসান বলে শনাক্ত করেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হাসান বাঁশখালীর উপজেলার কাথারিয়া এলাকার সাহেব মিয়ার ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা লেখা আছে সিলেট সদরের সাধুর বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির এলাকায়।

পিবিআই জানায়, অন্তত ২৮ বছর ধরে ভুক্তভোগী হাসানের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না। এসময়ে তিনি কোথায় ছিলেন তাও জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। বছরখানেক আগে হঠাৎ তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

বাড়িতে হাসানের নামে কিছু পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। যেটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন ভুক্তভোগী হাসান। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২০ সেপ্টেম্বর নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার জমির ভিলা ভবনের একটি বাসায় স্ত্রী-সন্তানরা মিলে হাসানকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে ফেলেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

 

কাউনিয়ায় স্বামীর ঘরে স্ত্রীর লাশ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রংপুরের কাউনিয়ায় স্বামীর ঘরে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর নাম সনিয়া বেগম (২০)।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সনিয়া বেগম গোপিডাঙ্গা গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী এবং পাবনা সদরের চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সনিয়া বেগমের স্বামী রিপন মিয়া তাদের শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে যান।

স্বামী বাজারে যাওয়ার পর নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন সনিয়া। পরে প্রতিবেশীরা তাকে ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন।

তারা দেখতে পান ঘরের ভেতরে বিছানার চাদরে ও বালিশে আগুনের ধোয়া উঠছে এবং বিদ্যুতের ছেড়া তারের পাশে খাটের ওপরে সনিয়া অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।

এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) সকালে সনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

আরও জানা গেছে, তিন বছর আগে রিপন মিয়ার সঙ্গে সনিয়া বেগমের বিয়ে হয়। নিহতের স্বজনদের দাবি নিজ ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন।

এ ঘটনায় আজ ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।