নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: তফসিল ঘোষণা উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিস্তারিত ভিডিওতে……
তফসিল ঘোষনা করলেন সিইসি
নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: জাতির উদ্দেশে তফসিল ঘোষনা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচারে এ ঘোষনা দেন তিনি।
ঘোষনায় তিনি বলেন, আগমাী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ (রবিবার) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এতে রিটার্নিং অফিসার রয়েছেন ৬৬ জন এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার রয়েছেন। মনোয়োন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোয়োন পত্র বাছাই হবে ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনের আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে আগামী ডিসেম্বরের ৬ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ এবং প্রতীক বরাদ্ধ করা হবে ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচনী প্রচারনা চলবে আগামী ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের ৫ তারিখ সকাল ৮ টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখে।
পরিশেষে, তিনি সবার কাছে সহযোগীতা কামনা করে বলেন, ভোট গ্রহণ যাতে সবার অংশ্গ্রহণমূলক এবং উৎসব মুখর হয়। কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন না ঘটে।
আজ তফসিল ঘোষনা; ভাষণ দেবেন সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আজ তফসিল ঘোষণা উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
জানা গেছে, আজ সকাল ১০টায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সংবাদ সম্মেলন করবেন । বিকেল ৫টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বৈঠকে বসবে। পরবর্তিতে সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি। ওই ভাষণেই তফসিল সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে।
তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া কমিশন ভবনে এনআইডি সংশোধনের জন্য ব্যক্তিগত শুনানি মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
-
সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা—এটাই আমাদের লক্ষ্য
-
গাজায় কুকুরে খাচ্ছে লাশ
-
একজন সরকারি কর্মকর্তার মানবিক কর্মকাণ্ড
-
অর্ধশত নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন
এর আগে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছিলেন, কবে, কখন, কীভাবে তফসিল ঘোষণা হবে তা নভেম্বরের প্রথমার্ধের শেষ দিন অর্থাৎ বুধবার সকালে গণমাধ্যমে জানানো হবে।
নভেম্বরের প্রথমার্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল দেওয়ার কথা আগে থেকেই জানিয়ে আসছিল নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে ১৫ নভেম্বর বুধবারই তফসিল ঘোষণা করা হবে কি না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, সব কিছুর বিষয়ে বুধবার জানিয়ে দেব।
Followআজ থেকে ফের ৪৮ ঘন্টার হরতাল
নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ থেকে ফের ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষনা করেছে বিএনপিসহ সমমনা ৩৬ রাজনৈতিক দল। মাঝে একদিন বিরতি দিয়ে ফের অবরোধের ডাক দিয়েছে তারা।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬ টা পর্যন্ত একদফা দবিতে অবরোধের ডাক দেয়া হয়েছে। এতে রাজপথ, রেল ও নৌপথ এ অবরোধের আওয়তাধীন থাকবে।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছিল।
আরও পড়ুন:
-
সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা—এটাই আমাদের লক্ষ্য
-
অর্ধশত নেতাকর্মী তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেছেন
-
অবরোধের প্রথম চিত্র; গাড়ী থাকলেও যাত্রী নেই
-
বিএনপি নেতারা ‘কাপুরুষ’
পরবর্তিতে একদিনের বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিন সর্বত্র অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা আটক হন। তাদের বেশীরভাগ নেতা বর্তমানে কারাগারে।
গুগোল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন
Followগাজায় কুকুরে খাচ্ছে লাশ
নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনির যুদ্ধ। শোচনীয় পরিস্থিতিতে ভুগছে পুরো গাজা।ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মরদেহ।
দাফনের জায়গা নেই। কুকুরের খাবার হয়ে উঠেছে লাশগুলো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুনির আল-বুর্শ সোমবার সকালে বলেছেন, রাস্তার কুকুররা আল-শিফা হাসপাতালের উঠোনে বেসামরিক লোকদের মৃতদেহ খাচ্ছে।
কারণ বোমা হামলার মধ্যে মৃতদের কবর দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, জায়গা অথবা সুযোগের অভাবে মৃতদের দাফন করতে না পারায়, সেগুলোতে পচন ধরছে।
ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও জ্বালানির সংকটে পড়া হাসপাতালটি ‘প্রায় একটি কবরস্থান’ হয়ে উঠেছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিশুরাও।
হাসপাতালটির প্রধান ডাক্তার আহমেদ মুখাল্লাতি বলেছেন, সুবিধার অভাবে বেশ কিছু শিশু ইতোমধ্যেই মারা গেছে।
জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার ফলে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতির মানে হলো, আমরা তাদের একের পর এক মারা যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।’
মৃতদেহ থেকে অচিরেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করেছেন মুখাল্লাতি। বলেছেন, লাশগুলো সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের বড় উৎস হবে।
হাসপাতালের ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এর প্রতিনিধিত্বকারী একজন সার্জন একই উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, ‘পরিস্থিতি খুবই খারাপ। হাসপাতালটিতে ৬০০ জন রোগী এবং ৩৭ জন শিশু রয়েছে।
কিন্তু বিদ্যুৎ, পানি ও খাবার কিছুই নেই। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভেন্টিলেটর না থাকলে মানুষ মারা যাবে।’
ইসরাইলি বাহিনী হাসপাতালটির আশপাশে বোমাবর্ষণ তীব্র করেছে।
আরও পড়ুন: >>গাজায় খাবার পানি শেষ
এমনকি রোগীদের হাসপাতালে আনার চেষ্টাকারী অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে অবিরামভাবে আক্রমণ করছে।
হাসপাতালের সামনে অনেক মৃতদেহের পাশাপাশি আহত মানুষ পড়ে রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের ভেতরে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থল সেনারা শুক্রবার এটি ঘেরাও করার পর থেকে অবরোধ অব্যাহত রেখেছে।
হাসপাতালের গেটের কয়েক মিটারের মধ্যে ইসরাইলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত গত তিন দিনে, ইসরাইলি স্নাইপারদের হামলার ভয়ে কেউ হাসপাতালে ঢুকতে বা বাইরে যেতে পারেনি।
এদিকে হাসপাতালটির নিচে হামাসের একটি ভূগর্ভস্থ টানেল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইসরাইলি সেনারা বলেছে, মাটির নিচে থেকে হামাস কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে। কিন্তু হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।
ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমায়ার জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালের আশপাশে মৃতদেহ আছে।
সেগুলো নজরদারি করা যাচ্ছে না। কবর দেওয়া যাচ্ছে না। এমনকি কোনো মর্গেও নেওয়া যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন:
- ২ মাস পর আবার কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো রাশিয়া
- জম্মু-কাশ্মীরে হাউসবোটের আগুনে ৩ বাংলাদেশি নিহত
- ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় ২৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত
- বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ
মুখাল্লাতি হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার এবং রোগীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার অনুমতির জন্য নিরাপদ ও গ্যারান্টিযুক্ত করিডোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
লিমা: এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন এক যুবক।
হোসেনপুর উপজেলার বাসুর চর গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন এক যুবককে। যুবককের পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ।
আজ (১৪নভেম্বর) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা কোনো ঘটনাকে আড়াল করার জন্য তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
নিহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা (৪২), মেয়ে মোহনা (১১) ও বন্যা (৭)।
জানা গেছে, একসঙ্গে স্কুলে যেতে ফারজানা নামে মোহনার এক সহপাঠী সকাল ৯টার দিকে তার বাড়িতে যায়।
ঘরের দরজা খোলা দেখে সে ঢুকে মোহনা ও তার মা-বোনকে আলাদা খাটে শুয়ে থাকতে দেখে।
এমন অবস্থায় তাদের ঘুম থেকে জাগাতে হাত ধরে টানাটানি করে ফারজানা। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া মেলেনি।
তখন ফারজানা ভয় পেয়ে যায়। সে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে এমন পরিস্থিতি দেখে পুলিশে খবর দেয়।
একই গ্রামের অধিবাসী সাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০১৭ সালের দিকে মঞ্জিল মিয়া সংসারের অভাব-অনটন ঘোচাতে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমান।
তাদের পরিবারের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধের দৃশ্যমান ঘটনা নেই। এমন নিষ্ঠুর ঘটনায় এলাকাবাসী হতবাক ও স্তম্ভিত।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, খবর পেয়ে মা ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বামী একজন সৌদি প্রবাসী বলে জানা গেছে।
তবে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক।তিনি আরও জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের ফরেনসিক বিভাগ ও সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু
- আপনার দাম্পত্য জীবন মধুর করুন
- বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
একই সঙ্গে এর রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগ কাজ শুরু করেছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার বাড়িতে যাতায়াতকারী একই গ্রামের ৩৫ বছর বয়সি এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রয়োজনে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু
লিমা: চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং আরেকজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে দুই বন্ধু গোসল করতে নেমে মাহমুদ উল্লাহ (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সিফাত (১০) নামে শিশু এখনও নিখোঁজ।
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার কাজীপাড়ার নতুনপাড়া ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশু মাহমুদ উল্লাহ সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামের আ. রাজ্জাকের ছেলে এবং সিফাত একই এলাকার মো. হানিফের ছেলে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মাহমুদ উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করতে পারলেও সিফাত নিখোঁজ রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
- একজন সরকারি কর্মকর্তার মানবিক কর্মকাণ্ড
- মীর মোশাররফ হোসেনের ১৭৬ তম জন্ম বার্ষিকী পালন
- খোকসায় দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১
- একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৫ নবজাতকই মারা গেছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুল ইসলাম একজনের মরদেহ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে তারা আপ্রান চেষ্টা
করছে।
বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুণী শিল্পীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিয়েছেন।
এ বছর ২৭ ক্যাটাগরিতে মোট ৩২টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনাকে (রওশন আর রোজিনা)।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার যুগ্মভাবে পেয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন সুচিন্ত্য চৌধুরী (চঞ্চল চৌধুরী)। ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।
আর প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু। যথাক্রমে ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘শিমু’ সিনেমার জন্য তারা এ পুরস্কার পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন। ‘শিমু’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি এ পুরস্কারটি পেয়েছেন।
এছাড়া পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন আফসানা করিম (আফসানা মিমি)। ‘পরাণ’ ও ‘পাপ-পুণ্য’র জন্য তারা এ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে এস. এম. কামরুল আহসানের ‘ঘরে ফেরা’। আর শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হয়েছে ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়ার ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন সুভাশিষ ভৌমিক, ‘দেশান্তর’ সিনেমার জন্য। আর শ্রেষ্ঠ কৌতুক চরিত্রে পুরস্কার পেয়েছেন সাইফুল ইমাম (দিপু ইমাম), ‘অপারেশন সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের জন্য।
যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হয়েছে যথাক্রমে ‘রোহিঙ্গা’ ও ‘বীরত্ব’ সিনেমার জন্য বৃষ্টি আক্তার ও মুনতাহা এমিলিয়া। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক মাহমুদুল ইসলাশ খান (রিপন খান), ‘পায়ের ছাপ’ চলচ্চিত্রের জন্য।
শ্রেষ্ঠ গায়ক শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার)। ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এ ‘এ মন ভিজে যায়…’ গানের জন্য তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শ্রেষ্ঠ গায়িকা হয়েছেন আতিয়া আক্তার আনিসা। শ্রেষ্ঠ গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন ও শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন।
আরও পড়ুন:
- তিশার মেয়ে ইলহামের সিনেমায় অভিষেক
- আকাশে ডানা মেলেছে মিমি
- ছেলের ভিডিও বার্তায় মিঠুনের চোখে জল
- হুমায়রা হিমু জুয়ায় আসক্ত ছিলেন: র্যাব (ভিডিও)
আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই
নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: তরুণ প্রজন্মকে সাবধান করে কথাসাহিত্যিক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, রাজাকারদের মন্ত্রী বানানোর মতো ভুল আর করা যাবে না ।
আজ মঙ্গলবার(১৪নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন প্রজন্মকে উল্লেখ করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে একটা সত্যিকারের রেনেসাঁ, একটা সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে উঠেছিল। আমরা ভেবেছিলাম, আগের সেই সাম্প্রদায়িকতা, হানাহানি আর ফিরে আসবে না।
কিন্তু কিছুদিন পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করলো, মুক্তিযুদ্ধে কি এত মানুষ মারা গেছে? রাজাকারদের গাড়িতে মন্ত্রীর পতাকা তুলে দেওয়া হলো। আমাদের আর এমন ভুল করা চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে বাংলাদেশ তৈরির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, তা বাস্তবায়নের জন্য তরুণ প্রজন্মকে সম্প্রীতির বাংলাদেশের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।’
আলোচনায় সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘দেশে সম্প্রীতি বারবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কখনও ধর্মের নামে কখনও রাজনীতির নামে। সামনে নির্বাচন। নির্বাচনের এলেই আমরা ভয়ে থাকি।
আইনজীবী ড. ফারজানা মাহবুব বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং নারীর অধিকার না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না।
ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদকে তৃণমূলের ছড়িয়ে দিতে না পারলে সাম্প্রদায়িকতা শেষ হবে না।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এ দুটো জিনিস বাংলাদেশের সংবিধান থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল।
এরপর থেকেই ধর্মকে রাজনীতির জন্য ব্যবহার শুরু হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষতার অপব্যাখ্যা দিয়ে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে একাত্তরকে আমরা রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে প্রমিথিউসের মতো দাঁড় করাতে পারিনি বলে আজকের এই সংকট।
আরও পড়ুন:
- পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি ডিএমপি’র ১০টি নির্দেশনা
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামী ১ ডিসেম্বর
- আমি জানি, আমার কোনো সমস্যা নেই
- রণক্ষেত্র গাজীপুর, ৫ পুলিশ সদস্য আহত
আমারা সম্প্রীতির বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনও ঠাঁই নাই।
এ অবস্থায় আমরা যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সাংস্কৃতিক জাগরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।’
গোলটেবিল সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
আপনার দাম্পত্য জীবন মধুর করুন
লিমা:দাম্পত্য জীবন মধুর করার জন্য আমরা জীবনে কত কিছুই না করি।
আসুন জেনে নেই কি করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়:
১. একে অপরকে সময় দিন:
দাম্পত্য জীবনে এক অপরকে সময় দিন,একসাথে মধুর সময় কাটান,মনের কথা গুলো শেয়ার করুন এতে আপনাদের সম্পর্ক ভালো হবে।কিন্তু আধুনিক যুগে আমরা সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকি।এই ব্যস্ত থাকাটা আমাদের দাম্পত্য জীবনে অনেক বড় একটা সমস্য্ হয়ে দাঁড়ায়।
২. সঙ্গীর সাথে আলোচনা করুন:
মনে কোনও রকম সন্দেহ হলে কিংবা কোনও সমস্যায় পড়লে সঙ্গীর সঙ্গে তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যায়। গোপনীয়তা যত কমবে, ততই সহজ হবে সম্পর্কের রসায়ন।
৩. বিশেষ দিনগুলো মনে রাখা:
সঙ্গীর জন্মদিন বা নিজেদের বিয়ের তারিখ, কিংবা জীবনের বিশেষ দিনগুলি মনে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ দিনগুলিতে অবশ্যই একান্তে সময় কাটান। সঙ্গীকে পছন্দের উপহার দিন।
৪. কাজ অদলবদল করা:
মাঝে মাঝে পরস্পরের কাজের চাপ কমাতে সঙ্গীর কাজ ভাগ করে নিন। এমনিতেই ছেলেদের কাজ, মেয়েদের কাজ বলে সাংসারিক কাজে কোনও প্রভেদ হয় না। সম্পর্কে নতুন মশলা যোগ করতে এ ওর কাজে সাহায্য করুন, কখনও সখনও সে কাজ সেরেও দিন নিজেই।
৫. একে অপরের প্রশংসা করুন:
একে অপরের দোষ-ত্রুটি গুলো ভুলে গিয়ে প্রশংসা করুন। । সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের প্রশংসা করা খুব প্রয়োজন।
- আরও পড়ুন:
- শীতে মোজা ও জুতার কারনেও পা ফাটে; তাহলে কি করবেন?
- বয়স ৪০ হয়ে গেলে গর্ভধারন কি ঝুঁকিপূর্ণ? জেনে নিন বিস্তারিত
- ত্বকের মাধ্যমে রোগের লক্ষন নির্নয় করবেন যেভাবে
- জীবনকে উন্নতি করার কার্যকরী ৫ টিপস
৬.একে অপরের প্রতি বিশ্বাস করা:
একে অপরের প্রতি বিশ্বাস করা খুবই প্রয়োজন।দাম্পত্য জীবন বিশ্বাসের উপর টিকে থাকে।
৭.অসুস্থ হলে সেবা করা:
দাম্পত্য জীবনে একজন অসুস্থ হলে আরেকজনের উচিত তাকে সেবা করা। কখনো তাকে অবহেলা করা উচিত না কারণ মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে যায় তখন সে সব থেকে বেশি অসহায় হয়ে পরে। তাই একজন অসুস্থ হলে আরেকজনের উচিত তাকে মন প্রাণ দিয়ে সেবা করা,তার পাশে দাঁড়ানো যাতে সে কখনো মনের কাছে কষ্ট না পায়।